কমিউনিটি প্যারামেডিক কি ?
কমিউনিটি প্যারামেডিক হল এমন এক ধরনের স্বাস্থ্য সেবা যেখানে শুধুমাত্র জরুরি চিকিৎসা নয়,রোগ প্রতিরোধ,দীর্ঘমেয়াদী রোগের তত্ত্বাবধান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও পরামর্শ দিয়ে থাকেন প্যারামেডিকরা।
কমিউনিটি প্যারামেডিক কেন প্রয়োজন ?
শহর থেকে দুরবর্তী গ্রামাঞ্চল, বন্যাদুর্গত হাওড় অঞ্চল, চরঞ্চল, পাহাড়ী ও মফস্বল এলাকা,এছাড়াও গ্রাম, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা মূলক পরামর্শ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার চাহিদা পূরণ করার জন্য কমিউনিটি প্যারামেডিক প্রয়োজন ।
প্রত্তন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও সাধারণ রোগ পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রেজিস্টার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ করেন প্যারামেডিকরা। দরিদ্র ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার জন্যই কমিউনিটি প্যারামেডিকরা কাজ করে থাকে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের অভাব থাকলেও কমিউনিটি প্যারামেডিকদের মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্সের উদ্দেশ্য :
১। প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান।
২। স্থানীয় পর্যায়ে গভার্নমেন্ট রেজিস্টার্ড কমিউনিটি প্যারামেডিক কর্মী গড়ে তোলা।
৩। গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান, এবং পরিবার পরিকল্পনা প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা।
৪। নিরাপদ মাতৃত্ব তথা নরমাল ডেলিভারিতে সহায়তা করা।
৫।দীর্ঘমেয়াদী রোগের তত্ত্বাবধান যেমন - ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির জন্য নিয়মিত সেবা প্রদান করা।
৬। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কমিউনিটি প্যারামেডিক চাহিদা প্রদান করা।
৭। প্রত্তন্ত অঞ্চলগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও সাধারণ রোগ পর্যবেক্ষন করে প্রয়োজন অনুযায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ রেজিস্টার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া।
৮। নিজ উদ্যোগে স্বাস্থ্য সেবা কমপ্লেক্স তৈরি করে উদ্যোক্তা হয়ে উঠা।
২ বছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স এ শিক্ষনীয় পাঠ :
১। এনাট্মি ও ফিজিওলোজি,ফার্মাকোলজি,মাইক্রোবায়োলজি,প্যাথোলজি,বায়োকেমিস্ট্রি।
২। আচরণ পরিবর্তনে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি
৩। পরিবার পরিকল্পনা ও জেন্ডার
৪। ক্লিনিক ব্যবস্থাপনা এবং দক্ষতা অর্জন ও চেকলিস্ট
৫। নিরাপদ মাতৃত্ব ও মিডওয়াইফারি
৬। প্রজনন স্বাস্থ্য
৭। সংক্রমন এবং অসংক্রমন রোগ সমুহ
৮। সীমিত নিরাময়মূলক সেবা
৯। শিশু স্বাস্থ্য
১০। স্বাস্থ্য খাতে উদ্যোক্তা সৃষ্টি
১১। ইংরেজি
২ বছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স এর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা :
যে কোন সাল এর যে কোন গ্রুপ হতে এসএসসি পাস হলেই এই কোর্সটি করা যাবে। এই কোর্সটি হয়ে থাকে দুই বছর মেয়াদি। যাদের পক্ষে উচ্চশিক্ষার স্বপ্নের চেয়ে বাস্তব কাজ জরুরী তারাই এ সকল স্বল্প মেয়াদী কোর্স করে থাকে।এই কোর্সটি করার জন্য বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ হতে হবে।
বাংলাদেশে কমিউনিটি প্যারামেডিকের সম্ভাবনা
বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে।যার ফলে গ্রামাঞ্চলে থাকা সাধারন মানুষগুলো অনেক ভোগান্তিতে থাকে। কিন্তু প্রশিক্ষিত কমিউনিটি প্যারামেডিকরা এই অভাব পূরণ করতে পারে। কমিউনিটি প্যারামেডিক শুধুমাত্র একজন স্বাস্থ্যকর্মী নয়, বরং স্বাস্থ্য রক্ষার একজন গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক। ভবিষ্যতে এই পেশার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে, বিশেষত উন্নয়নশীল দেশে যেখানে স্বাস্থ্যসেবার জন্য নতুন নতুন পথ খোঁজা হচ্ছে । যার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ অন্যতম।
আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।
বাংলাদেশে কাবাডি/হা-ডু-ডু খেলার ইতিহাস ও নিয়ম কানুন
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ ।
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।
বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।