প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধের নিয়ম কানুন
আসসালামু আলাইকুম
প্রতিদিনই কোন না কোন ঔষধ গ্রহণ করছি কিন্তু এমন তো হচ্ছে না যে আমরা ওষুধ গুলোর ভুল ডোজ নিয়ে ফেলছি বা কিভাবে খেতে হবে না জেনেই খেয়ে ফেলছি যদি এমন হয় যে যেটা মাত্রাটা বা যে পরিমাণে খাওয়া দরকার ছিল সেই পরিমাণে না খেয়ে একটু ভুল খেয়ে ফেলেছি কি হবে তাতে আপনি কি জানেন যে ঔষধের মাত্রা ভুল হওয়ার জন্য হয়তোবা সাথে সাথে কোন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন না।
কিন্তু আস্তে আস্তে এমন হতে পারে যে আপনার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ওষুধের ভুল মাত্রায় আপনি আপনার জীবনটি নষ্ট করতে করছেন। অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলছেন তাই ওষুধের প্রয়োজনীয় নিয়মগুলো অবশ্যই জানা জরুরি।
প্রয়োজনে কিছু ঔষধের নিয়ম কানুন
১। ব্যথা নাশক ঔষধ -
যেমন ডাইক্লোফেনা,ন্যাপ্রোক্সেন অ্যাসপিরিন,ও কিটোরোলা এগুলো ভরা পেটে গ্রহণ করতে হবে অন্যথায় আপনার আলসার হয়ে যেতে পারে বা পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
২। প্রোটন পাম্প ইনহেবিটর
গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ যেমন- ওমি প্লাজল , প্যান্টুপাজল ইসুমেপ্লাজল এগুলো খাবার আগে গ্রহণ করা ভালো এতে করে পাকস্থলীতে কম এসিড তৈরি করবে ।
৩। এন্টিহিস্টামিন
যা ঠান্ডা সর্দি ও এলার্জিতে গ্রহণ করতে হয় যেমন- লোরাটাডিন, সিটিজিন, ফেক্সোফেনাডিন এগুলো খালি পেটে গ্রহণ করলে এর কার্যকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
৪। অ্যান্টাসিড
অ্যান্টাসিড খাবার পর পর না খেয়ে ৩০ মিনিট পর খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
৫। সেপ্রোফ্লক্সাসিন
এটি একটি সর্বাধিক প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক। খাবার খাওয়ার দুই ঘন্টা পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করে এটি গ্রহণ করা ভালো এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এবং উল্লেখ্য যে সেপ্রোফ্লক্সাসিন খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যে এন্টাসিড ও দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়া ভালো।
৬। ক্যালসিয়াম আয়রন ও মাল্টিভিটামিন
ক্যালসিয়াম আয়রন ও মাল্টিভিটামিন এই ঔষধ গুলো খাবার খাওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে বা পরে খাওয়া ভালো।
গর্ভাবস্থায়
গর্ভাবস্থায় ঔষধ গ্রহণের সময় যথেষ্ট সচেতন হতে হবে অন্যথায় ভ্রূণের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে যে সকল ঔষধ গুলো গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয় যেমনঃ-
যে সকল ঔষধ গর্ভবতী মহিলাকে কখনোই দেয়া যাবে নাঃ
1.উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন- এ
2. টেট্রাসাইক্লিন
3. ষ্ট্রেপ্ট্রোমাইসিন
4. ক্লোরামফেনিকল
5. কোট্রাইমোক্সাজল
6. সিপ্রোফ্লোক্সাসিন
গর্ভাবস্থায় পরিহার করা সবচেয়ে ভালঃ
2. কৃমিনাশক
3. ডায়াজিপাম
যে সকল ঔষধ এক বছরের কম বয়সী শিশুদের দেয়া উচিৎ নয়ঃ
1. এসপিরিন
2. সালফোনামাইড
3.সিপ্রোফ্লোক্সাসিন
৮ বৎসরের নীচে সকল শিশুর জন্য প্রযোজ্য নয়ঃ
১. টেট্রাসাইক্লিন
২ক্লোরামফেনিকল
এছাড়া যাদের হাঁপানি আছে তাদের ব্যথা নাশক ঔষধ এবং বেটা ব্লকার এটেনো লাল প্রোপানালল এগুলো গ্রহণ না করাই ভালো
আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আরো জানুনঃ
শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।