রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস।
রোদে নিয়ে আমাদের অনেক দিধা রয়েছে রোদে যাব, নাকি যাব না? ঘরে বসে বসে এমন চিন্তা কমবেশি সবার মনেই আসে থাকে । এবং যার কারণও আছে বটে। যেমন রোদের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে, ত্বক পোড়া, ঘাম হওয়া প্রভৃতি বেশ কিছু কারণ রয়েছে। তবে রোদ ত্বকের দারুণ উপকারী গুণাগুণ রয়েছে। ভিটামিন ডি তৈরি করে। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে তা দিয়ে তৈরি হয় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। তাই তো ভিটামিন ডি-কে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’। কিন্তু ত্বক কীভাবে পায় ভিটামিন ডি? রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয় এই ভিটামিন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় একটা, আর তা হলো কতটুকু রোদ দরকার ও রোদে থাকার সঠিক পদ্ধতি কী?
ভিটামিন ডির উপকারিতা
হাড় শক্ত করে: শরীরে ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন ডি। এই ২টি উপাদান হাড়ের মূল গঠন তৈরি করে। ভিটামিন ডির অভাবে হাড় দুর্বল হয় এবং আস্তে আস্তে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, এবং পরে যাকে অস্টিওপরোসিস রোগও বলা হয়। ্ছাড়াও বেশ কিছু রোগ ভিটামিন ডি এর অভাবে হয়ে থাকে।
আরো পুড়ুনঃ নিউমোনিয়ার কারণ,লক্ষণ, প্রতিরোধ।
শিশুদের জন্য উপকার: শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের হাড়ের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডির অভাবে শিশুদের হাড়ে বিকৃতি বা রিকেট রোগ হতে পারে।
ত্বক ছাড়াও হাড় ও দাঁতের জন্য দরকারি ভিটামিন ডি
ত্বক ছাড়াও হাড় ও দাঁতের জন্য দরকারি এই ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, নার্ভ সিস্টেম ও মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী ভিটামিন ডি। এ ছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও কয়েক ধরনের ক্যানসার সমস্যার সমাধানে কাজে দেয় ভিটামিন ডি।
ত্বকের জন্য কেন দরকার
বিশেষভাবে ত্বকের জন্য কয়েক ধরনের উপকার করে ভিটামিন ডি।
👉রুক্ষ ও প্রাণহীন ত্বক গ্লোয়িং,
👉বয়সের ছাপ দূর করা,
👉গ্রোথ ও রিপেয়ার,
👉বয়সের ছাপ দূর করা,
👉ত্বকের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো,
👉বয়সের ছাপ দূর করা,
👉ব্রণ কমানো,
👉ফাইন লাইন ও কালো দাগ কমানোর মতো কাজ করে এই ভিটামিন।
প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র পরিমাণ
প্রতিদিন ভিটামিন ডি নিতে হবে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণে। বাড়তি ভিটামিন ডির জন্য বেশি রোদে থাকলে হিতে হবে বিপরীত। ভিটামিন ডি মাপার দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি মাইক্রোগ্রাম (এমসিজি) ও অন্যটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট (আইইউ)। মেডিসিন ইনস্টিটিউটের খাদ্য ও পুষ্টি বোর্ডের মতে, শিশু ও তরুণদের প্রতিদিন ৬০০ আইইউ বা ১৫ এমসিজি ভিটামিন ডি দরকার।
কখন যাবেন রোদে
💦তথ্য অনুসারে বলা হয়েছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস হতে পারে। অর্থাৎ, আপনি বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদে আপনার ত্বক জন্য সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে।
দুপুরের ঠিক আগমুহূর্তে রোদে যাওয়ার সঠিক সময়। কারণ এই সময়ে সূর্যের তাপ বেশি থাকে। তাই অল্প সময়েই আপনি পেয়ে যাবে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি। বিভিন্ন গবেষণা বলে, এই সময়টাতে ভিটামিন ডি নেওয়ার জন্য শরীর সব থেকে বেশি উপযোগী থাকে। অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিড ডে-র পরে রোদে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। এতে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়সঠিক উপায়
রোদে গেলেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে না। বরং মানতে হবে সঠিক নিয়ম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ সময়ে যতটা সম্ভব ছোট হাতার পাতলা কাপড় পরতে হবে, যেন রোদ সরাসরি গায়ে লাগে। মুখে রোদ লাগাতে না চাইলে সূর্যের দিকে পিঠ এলিয়ে দিয়ে বসতে পারেন। ত্বক খুব বেশি স্পর্শকাতর না হলে সানস্ক্রিন ছাড়া কিছু সময় রোদে বসলে ত্বক বেশি ভিটামিন ডি পাবে। এ ছাড়া চাইলে সানগ্লাস ও হ্যাট পরেও রোদে বসা যায়।
বেশি রোদে ক্ষতি
ত্বক রোদে পুড়লে কালচে ভাব আসা ছাড়াও অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
যেমন ঃ-
ত্বক কিছু জায়গায় লালচে হয়ে যাওয়া,
💢চুলকানি,
💢র্যাশ,
💢ফুলে যাওয়া প্রভৃতি।
💢লম্বা সময় রোদে থাকলে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি (ইউভি রে) চোখের রেটিনায় মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
💢এতে চোখে ছানির সমস্যা বাড়ে।
💢রোদে অনেক সময় থাকলে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়।
💢চামড়ায় ভাঁজ পড়া, চামড়া আলগা হওয়া ও ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।
💢অনেক বেশি সূর্যের ইউভি রে ত্বকের ক্যানসারের জন্য দায়ী।
তাই সারা দিনে কেবল ১০ থেকে ৩০ মিনিটের রোদই ভিটামিন ডি-র জন্য যথেষ্ট।
ভিটামিন ডির উৎস
ভিটামিন ডির অন্যান্য উৎসগুলো হলো -
● ডিমের সাদা অংশ
● চিজ
● কড লিভার অয়েল বা মাছের তেল
● দুধ, সয়ামিল্ক
● ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট ও ট্যাবলেট
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।