ভিটামিন এ-এর প্রয়োজনীয়তা, অভাবজনিত রোগ এবং এর উৎসগুলো কী কী?

ভিটামিন এ

এর প্রয়োজনীয়তা, অভাবজনিত রোগ এবং এর উৎসগুলো কী কী, চিকিৎসা?

any help24

শুধুমাত্র ভিটামিন এ-এর অভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। যার ফলে আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন খুব সহজেই। শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। ভিটামিন এ অভাবজনিত বিভিন্ন রোগ গুলো তাদেরই হয় যারা ভিটামিন এ যুক্ত খাবার কম খায়, তাদের কিন্তু শরীরে ঘাটতি থেকে যায় আর নিম্মউক্ত রোগগুলো হতে পারে। 

শরীরে ভিটামিন এ-এর প্রয়োজনীয়তা কী?

দৈনিক খাবারে পূর্ণবয়স্ক পুরুষের জন্য দিনে ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ থাকা দরকার। এবং  একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর জন্য ভিটামিন এ ৭০০ মাইক্রোগ্রাম থাকা উচিত ।

শরীরের জন্য এই ভিটামিনের কাজগুলো কী কী ?

👉দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
👉শরীরের কোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
👉রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
👉প্রজননক্ষমতা চালু রাখে
👉ত্বক সতেজ রাখে
👉টিউমার ও ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে
👉কোষ, ত্বক, দাঁত ও অস্থি গঠনে ভূমিকা রাখে

অভাবজনিত রোগ কী কী ?


ভিটামিন এ শিশুদের প্রয়োজন ৯ মাস থেকে ৪ বছরের শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ অভাবজনিত রোগ বেশি দেখা যায়। এতে করে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বিঘ্ন ঘটে। ক্যারাটোম্যালেসিয়া রোগটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয় পাঁচ বছরের শিশুরা, যার ফলে কর্ণিয়ায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। যদি এই রোগের দ্রুত চিকিত্‍সা করা না হয় তাহলে অন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভিটামিন এ সঠিক মাত্রায় শিশুর শরীরে না থাকলে হাম ও ডায়রিয়া দেখা দেয়।

চলুন  সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেইঃ

রাতকানা


রাত কানা রোগটি ভিটামিন এ-এর অভাবে হয়ে থাকে থাকে । এই রোগটি হলে রোগী দিনের বেলায় অর্থাৎ সূর্যের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারে। কিন্তু রাতের বেলায় দেখতে অসুবিধা সৃষ্টি হবে। অনেকে রাতে একেবারে দেখতে পায় না, আবার অনেকে ভুল দেখে।

রক্ত স্বল্পতা


ভিটামিন এ শরীরে কম থাকলে আয়রন ফাংশন ব্যাহত হয়, ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। যার থেকে অ্যানিমিয়া হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।

ত্বকে প্রিম্যাচিউর এজিং সাইন


শরীরে রকম বয়সে মুখে বলিরেখা দেখা দেয়, বার্ধক্যের ছাপ চলে আসে।এই ভিটামিনে অভাব হলে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি

📌📢গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে ২১% মানুষের শরীরে টিউমার বা স্কিন ক্যান্সার হয় ভিটামিন এ-এর অভাবে (তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া)


 চলুন জানা যাক কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন এ?


ক্যারোটিন থেকে মূলত ভিটামিন এ তৈরী হয়। ভিটামিন এ তৈরীর উৎস দু’টি----

👉প্রাণীজাত
👉উদ্ভিদজাত।

উদ্ভিদজাত উৎস 

সাধারণত যে শাকসবজি বা ফলের রঙ যত গাঢ় হয় তাতে ভিটামিন এ বেশি পরিমাণে থাকে। হলুদ ও সবুজ শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল, এছাড়া গাজর, বাদাম, মিষ্টি কুমড়ো, কমলা লেবু,পাকা পেঁপে, মাখন, ব্রোকলি, অ্যাভোকাডো, চীজ ইত্যাদিতে ভিটামিন এ থাকে।

প্রাণীজাত উৎস

মাংস, ডিম, কলিজা ইত্যাদি খাবার থেকে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। মূলত মাংসাশী প্রাণী, মাছের তেল বা তেলযুক্ত মাছ। শিশুর শরীরে ভিটামিন এ এর অভাব দূর করতে মায়ের বুকের দুধ, ৬ মাস পূর্ণ হলে ফলমূল, সবুজ-হলুদ শাকসবজি, ডিম এগুলো খাওয়াতে হবে।

প্রেগনেন্সিতে ভিটামিন এ-এর প্রয়োজনীয়তা কি কি?


একজন নারীর গর্ভাবস্থায় শরীরে তার নিজের এবং গর্ভের সন্তানের জন্য ভিটামিন এ এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থার সময়টিতে নারীদের রাতকানা রোগ রোধে আলাদা করে ভিটামিন এ ট্যাবলেট খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। তার কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন এ শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং বিভিন্ন সম্যস্যা দেখাদেয় যেমন হাড় এবং জয়েন্টে পেইন, চোখে ঝাপসা দেখা, বমি হওয়া বমি বমি ভাব, ত্বক রুখ হয়ে যাওয়া বা ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। প্রেগনেন্সিতে ভিটামিন এ-এর চাহিদা পূরণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া টা কিন্তু যথেষ্ট।


📌📢বিশেষ করে প্রথম ট্রাইমেস্টারে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ গ্রহণ গর্ভের শিশুর জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ বাচ্চার ইমিউনিটি ফাংশন ও গ্রোথের জন্য এই ভিটামিনেরও প্রয়োজন, তাই প্রয়োজনুসারে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ গ্রহণ করা উচিত। 📌📢




বাজারের পাওয়া যায় এমন কিছু ভিটামিন এ   ঔষধের নামঃ



any help24





আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে 

যৌনস্বাস্থ্য ভালো রাখে যে ১০টি খাবার খাবেন

পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।

সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।

ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।

সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।

নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।

চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।

শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।

হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।

মাম্প্‌স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।

Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।

নতুন পোলিও টিকা (এনওপিভি২)

টাইফয়েড জ্বর 

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর 

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন 

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী  এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?

রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার 

রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণচিহ্নচিকিৎসা এবং উপদেশ ?

কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ 

 

NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন