সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
এটি সাধারণত ভাইরাস(Virus) দিয়ে হয়ে থাকে তবে ব্যাকটেরিয়া (Bacteria)দিয়েও সেকেন্ডারি ইনফেকশন হতে পারে।
আমরা এখন জানব ভাইরাস সমূহের নাম
মূলত রাইনো ভাইরাস অ্যাডেনো ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস গুলি সবচাইতে সাধারণ সর্দি সৃষ্টিতে ২০০ টির ও বেশি ভাইরাস ট্রেন জড়িত থাকে। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাসও নতুন করে যুক্ত হয়েছে।
ব্যাকটেরিয়ার নাম
পারটুসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে থাকে।
কিভাবে ছড়ায়
ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এটি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবে ছড়ায় মানুষের সংস্পর্শে আসলেও এটি ছড়িয়ে যেতে পারে কিংবা যদি কোন ব্যক্তি শরীর সাধারণ সর্দি কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হয় তাহলে তার কাছ থেকে আর পার্শ্ববর্তী যে আছে তার কাছে এটা চলে যেতে পারে এছাড়া একই পরিবারের যদি আক্রান্ত থাকে সেইম জিনিস যদি ব্যবহার করে সেই ক্ষেত্রে এটি হতে পারে।
লক্ষণ
সাধারণ সর্দি কাশির লক্ষণ সমূহ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ায় আলাদা আলাদা হয়ে থাকে—
১। ভাইরাসের কারণে যদি আক্রান্ত হয় তাহলে যে সকল লক্ষণ গুলো থাকবে—-
👌নাক চুলকানো
👌হাঁচি হবে
👌গা ম্যাচ ম্যাজ করবে
👌 গলা ব্যথা হবে
👌শরীর ব্যথা হতে পারে
👌অল্প অল্প জ্বর হতে পারে
👌নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়তে পারে
👌মাথা ভার হয়ে যেতে পারে।
২।ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হলে যে সকল লক্ষণ গুলো থাকবে
👌সব সময় জ্বর হবে পাকা
👌সর্দি বের হবে মাথা ব্যথা হতে পারে
👌কান ব্যথা হতে পারে
👌গলা ব্যথা হতে পারে
👌জ্বরের মাত্রা বাড়তে পারে।
চিকিৎসা সমূহ
পূর্বের মতোই লক্ষণ যেরকম আছে ঠিক এইরকম ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার জন্য চিকিৎসাটা একটু আলাদা রয়েছে তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে এন্টিহিস্টামিন সাধারণত ব্যবহার করা হয় ভাইরাস আক্রান্ত হলে সিম্পল ট্রিটমেন্টএন্টিহিস্টামিন এবং প্যারাসিটামল দিয়ে চিকিৎসা করা যায় ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল এবং সাথে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়ে থাকে
ইনফ্লুয়েঞ্জ (influenza)
এটি মূলত ভাইরাস সংক্রমণ যা প্রধানত গ্রুপে এ মিক্সো ভাইরাস দিয়ে হয়ে থাকে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে যে সকল লক্ষণ থাকবে
👉হঠাৎ মাথা ব্যথা গা ম্যাজম্যাজ করা সহ সারা শরীর ব্যথা হবে
👉 জ্বর ১০৪ ডিগ্রী পর্যন্ত হতে পারে সরাসরি সম্পন্ন শরীর ব্যথা থাকবে
👉 মুখ চোখ লাল হয়ে যাবে
👉গলা বসে যাবে এবং কাশি হবে
চিকিৎসা পদ্ধতি
যদি সাধারণ সর্দি কাশে সহ ইনফ্লুয়েঞ্জ আক্রান্ত হয় তাহলে এন্টিহিস্টামিন প্যারাসিটামল এবং এন্টিবায়োটিক সমন্বয় চিকিৎসা করতে হবে। এর সাথে সাথে তাকে জিংক দিতে হবে যাতে তার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরে শক্তি পায়।
ঘরোয়া প্রতিরোধ
যদি সর্দি কাশি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই রোগীকে জ্বরের মাত্রা যদি বেড়ে যায় ঔষধের পাশাপাশি তাকে কিছু ঘরোয়া প্রতিষেধক দিতে হবে তাকে বেশি মাত্রায় জ্বর উঠে গেলে ঘন ঘন শরীর মুছে দিতে হবে টক জাতীয় জাতীয় যে সকল খাবার আছে সেই খাবার গুলো দিতে হবে যেমন মালটা জাম্বুরা আনারস কমলা এই টাইপের খাবারগুলো দিতে হবে এবং তার জিনিসপত্র গুলো একটু আলাদা করে দিতে হবে যাতে তার জিনিসপত্র ব্যবহার করে আরেকজন আক্রান্ত না হয়ে যায়।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।