ইউরিক এসিড কি? এই এসিড খেলে কি হয়,এর নরমাল রেঞ্জ,এর লক্ষণ এবং ইউরিক এসিডের ঘরোয়া চিকিৎসা !

  ইউরিক এসিড কি? 

Any Help24


✌ ইউরিক এসিড কি? 


👉ইউরিক এসিড হলো কার্বন, হাইড্রোজেন নাইট্রোজেনের হেয়ারোসাইক্লিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত C5H4N4O3। এটি আয়ন ও লবণ তৈরি করে যা ইউরেট ও এসিড ইউরেট নামে পরিচিত। যেমন-অ্যামোনিয়াম এসিড ইউরেট। ইউরিক এসিড হলো পিউরিন নিওক্লিওটাইডের বিপাকীয় ভাঙ্গনের ফলে তৈরি দ্রব্য বা ইহা মূত্রের এক্টি সাধারণ উপাদান।



  ইউরিক এসিড খেলে কি হয়ঃ-



👉উচ্চমাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের কারণে গেঁটে বাত কিংবা গিরায় গিরায় ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি অকেজো সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিউরিন থেকে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। অতিরিক্ত প্রোটিন এছাড়াও আমিষ খেলে কিংবা বেশি  পরিমান অ্যালকোহল খেলে শরীরের মধ্যে পিউরিন নামক এক ধরনের নন এসেনসিয়াল এমাইনো  অ্যাসিড তৈরি হয়।



  ইউরিক এসিডের লক্ষণঃ-



👉শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হলো পা ফুলে যাওয়া। এছাড়াও  রয়েছে পেশিতে টান ধরা এবং গিটে ব্যথা হবে।



  ইউরিক এসিড নরমাল রেঞ্জঃ-



 👉ইউরিক অ্যাসিড এক ধরনের গুরুতর রোগ। তাই এর স্বাভাবিক মাত্রা জানা খুবই প্রয়োজন [Uric Acid Normal Range]। এক্ষেত্রে একজন পুরুষ মানুষের শরীরে 7.00 মিলিগ্রাম/ডিএল এর নীচে এবং মহিলার শরীরে 6.5 মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে ইউরিক অ্যাসিড থাকা উচিত।



  ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবারঃ-



 ইউরিক অ্যাসিড বেড়লে যে যেই সব খাবার খাওয়া যাবে না। 



👉যেমনঃ কলিজা, কিডনি, ফুসফুস,মগজ,ইত্যাদি  এই ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। এছাড়াও অধিক চর্বিযুক্ত গরুর মাংস,মহিষের মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, এই  ধরনের মাংস  খাওয়া  নিষেধ।এবং যদি এই ধরনের  মাংস খেতে চান তাহলে  চর্বি ছাড়া মাংস খেতে হবে কিন্তু অনেক অল্প  পরিমানে থেতে হবে। 



  ইউরিক এসিড কমানোর খাবারঃ- 



👉ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে তা শরীরের বাইরে বের করে দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে ইসবগুল, ওটস, ব্রোকলি, আপেল, কমলা,নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি,গাজর, শসা, সেলারি, বার্লি,ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন। কলাও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে অনেক সাহায্য করে।



 ইউরিক এসিড বাড়ে কোন খাবারেঃ- 



👉ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে পাওয়া একপ্রকার রাসায়নিক যা আমাদের দেহে যকৃতে উৎপন্ন হয় এবং পিউরিনযুক্ত খাবার হজমের সময়ও তৈরি হয়। বিভিন্ন ডাল, মাশরুম, পালং শাক, সীম, বরবটি, আম, কলা, সফেদা, খেজুর, কিসমিস, আখ, তাল এমনকি বিয়ারও পিউরিনযুক্ত খাবারের তালিকায় আসে। ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে কিডনিতে পোঁছায়।



আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে 

বার্ধক্যের পুষ্টি

গলা ব্যাথার কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা।




  ইউরিক এসিডের ঘরোয়া চিকিৎসাঃ-



👉ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে তা শরীরের বাইরে বের করে দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে ইসবগুল, ওটস, ব্রোকলি, আপেল, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি,গাজর,  শসা, সেলারি, বার্লি ইত্যাদি খেতে পারেন। কলাও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।




 ইউরিক এসিডের ব্যায়ামঃ- 



১. অ্যারোবিকঃ


 👍ব্যায়াম হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা নাচ ভালো ব্যায়াম হতে পারে। প্রথম দিকে ১০ মিনিট করে এসব ব্যায়াম করলেই চলবে। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত করতে হবে সপ্তাহে ৫ দিন। পাশাপাশি সঠিক ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।



২. সাঁতারঃ 

 👍সপ্তাহে ২ দিন ১৫ মিনিট করে সাঁতার কাটতে হবে। অস্তে অস্তে সময় বাড়াতে হবে । 



৩. স্ট্রেচিংঃ 

 👍 শুরুতে হাতের কবজি মুষ্টিবদ্ধ করে চার দিক ঘোরাতে হবে। তার পরে ঘড়ির কাঁটার দিকে উল্টো দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ঘোরান। এভাবে ১০ বার ব্যায়ামটি করুন।



৪. পায়ের পাতা ধরাঃ 

 👍বসে পা ২ টি সোজা করে হাত দিয়ে পায়ের পাতা ধরার চেষ্টা করতে হবে। ৩০ সেকেন্ড ধরে রেখে আবার সোজা হয়ে বসুন। এই ভাবে ১০ বার করতে হবে।



👉এ ছাড়া অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে কিংবা সন্ধি ফুলে গেলে বরফ অথবা ঠান্ডা সেঁক ভালো কাজ করে। অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে হবে।



  ইউরিক এসিড টেস্ট কিঃ-



👉ইউরিক অ্যাসিড এক গুরুতর রোগ। তাই এর স্বাভাবিক মাত্রা জানা খুবই প্রয়োজন [Uric Acid Normal Range]। এক্ষেত্রে একজন পুরুষ মানুষের শরীরে 7.00  মিলিগ্রাম/ডিএল এর নীচে এবং মহিলার শরীরে 6.5 মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে ইউরিক অ্যাসিড থাকা উচিত। এর থেকে বেশি কম হলে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।



 ইউরিক এসিডের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি



👉অ্যালোপিউরিনল [অ্যালোপ্রিম, লোপুরিন, জাইলোপ্রিম]  এবং ফেবুক্সোস্ট্যাট (ইউলোরিক) এর মতো ওষুধগুলি আপনার শরীরে তৈরি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ সীমিত করতে সহায্য করে।


আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে 

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।

ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।

সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।

নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।

চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।

শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।

হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।

মাম্প্‌স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।

Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।

নতুন পোলিও টিকা (এনওপিভি২)

টাইফয়েড জ্বর 

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর 

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন 

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী  এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?

রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার 

রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণচিহ্নচিকিৎসা এবং উপদেশ ?

কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ 

 

NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন