গ্রামীণফোন ও স্কিটো সিমের পার্থক্য কি? কোনটিতে বেশি সুবিধা?

 ✅গ্রামীণফোন ও স্কিটো সিমের পার্থক্য কি? কোনটিতে বেশি সুবিধা?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। জিপির অধিকাংশ গ্রাহক ভালো নেটওয়ার্কের জন্য গ্রামীণফোনকে তাদের মূল অপারেটর হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই  গ্রামীণফোন নিয়ে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো এর খরচ অন্যান্য অপারেটর হতে অনেক বেশি।

👉যদিও মাঝে মধ্যেই গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন  ধরণের অফার দিয়ে থাকেন, তবুও তা অন্যান্য অপারেটরের তুলনায় কিছুটা কমওই বলা চলে। আর এর ফলেই তরুণ ও শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রামীণফোন কম আকর্ষণীয়। তরুণরা কম দামে ভালো ইন্টারনেট এবং কলিং সেবা পেতে চান। আর তরুণদের জন্যই গ্রামীণফোন ২০১৭ সালে বাজারে এনেছিলেন স্কিটো নামে একটি নতুন সিম। ২০২২/২০২৩ সালে এসে এই সিম কেমন সার্ভিস দিচ্ছে এবং এর সুবিধাগুলো নিয়েই আমরা আজকে জানবো।

👊 স্কিটো সিম কি? Skitto কি?

👉সোজা কথায় বলতে গেলে স্কিটো হচ্ছে গ্রামীণফোনেরই একটি সাব-ব্র্যান্ড। অর্থাৎ স্কিটো সিম গ্রামীণফোনের হলেও এর সুযোগ সুবিধা সাধারন গ্রামীণফোনের সিম হতে একটু ভিন্নতর। স্কিটো সিম মূলত ডিজিটাল সিম হিসেবে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্রথাগত ভাবে বলা যায় জিপি সিমের বদলে এই সিমের ম্যানেজমেন্ট সহজ করা হয়েছে।

👉পুরো সিমের সকল প্রকার কাজ অ্যাপ এর মাধ্যমে করে ফেলা যায়। এছাড়া ট্যারিফ বা খরচের দিক থেকেও সাধারন গ্রামীণফোন সিম হতে এটি অনেকটাই সাশ্রয়ী। তাই তরুণদের কাছে এই সিমটি খুবই  জনপ্রিয়। স্কিটো সিম মূলত ইন্টারনেট ব্যবহারের দিকে খুব বেশি নজর দেয়। তাই এই সিমে সবসময় খুব ভালো ডাটা অফার থাকে । এছাড়া কলিংয়ের ক্ষেত্রে এই সিমে সাধারন একটি ট্যারিফ থাকে সকল নাম্বারে কথা বলার জন্যই।

👊 কাদের জন্য স্কিটো সিম?

👉তরুন বা নতুন প্রজন্ম যারা টেকনোলজির সাথে খুব ভালো খাপ খাইয়ে নিতে পারেন তাদের জন্যই মূলত এই সিম বাজারে এনেছিলো গ্রামীণফোন। এই সিমের সকল ধরণের সার্ভিস স্কিটো নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। পুরনো ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে এই সিমে কোনো ম্যানেজমেন্ট বাধ্যবাধকতা নেই বললেই চলে। কোডের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন ও  অনেক ঝামেলাপূর্ণ। এতে অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং এতো কোড মনে রাখাটাও খুবই কষ্টকর। তাই সকল কিছু এর অ্যাপের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রন করা যায় । আর তাই আপনি যদি ব্যাসিক ফিচার ফোন ব্যবহার করেন তবে এই সিম নিয়ন্ত্রনে আপনাকে নানা ধরণের সমস্যায় পড়তে পারে । যাদের স্মার্টফোন আছে তাদের জন্যই মূলত এই সিমটিকে নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন।

👉সিমে ইন্টারনেট ডাটার দাম কম হওয়ায় এটি খুবই সাশ্রয়ী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য। আর তাই শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুব ভালো একটি পছন্দ হতেই পারে। তবে যারা টেকনোলজি বা ডিজিটাল অ্যাপে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না তাদের জন্য এই সিম নহে। অনেক মানুষ আছেন যাদের কাছে ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট ঝামেলাযুক্ত মনে হয়। তাদের জন্য স্কিটো সিম খুব একটা কাজে আসবে না।

আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে । 

Mobile Security Tips মোবাইল সুরক্ষা টিপস।

ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) কি?

বাটন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক সহ আরও অনেক সুবিধা!

Chat GPT কী ? কীভাবে কাজ করে চ্যাট জিপিটি ?

👊 গ্রামীণফোন ও স্কিটো সিমের পার্থক্য কি?

👉গ্রামীণফোন ও স্কিটো সিমের মধ্যে নেটওয়ার্ক ছাড়া সকল বিষয়েই অনেক পার্থক্য আছে। গ্রামীণফোন বিভিন্ন রকম ব্যবহারকারীর জন্য বিভিন্নরকম প্যাকেজ ও প্ল্যান রেখেছে। তবে স্কিটো শুধুমাত্র তরুণদের জন্যই অনেক বেশি প্ল্যান রাখে আর তাদের চাওয়া-পাওয়াকে  অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। গ্রামীণফোন ও স্কিটো সিমের মধ্যে পার্থক্য গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করবোঃ-

💥১. প্রথমত কলরেটের পার্থক্য নিয়ে কথা বলা যাক। প্যাকেজভেদে গ্রামীণফোন বিভিন্ন ধরনের কলরেট দেয়। প্যাকেজভেদে পালস রেটও আলাদা। তবে স্কিটো সিমে এতো ঝামেলা না রেখে সবার জন্য একই কলরেট দেয়া হয়েছে। এখানে কোন এফএনএফ নাম্বার বা এই ধরণের সুবিধা নেই। সকলের জন্যই স্কিটো সিমে ৯০ পয়সা/মিনিট কলরেট ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ ছাড়া। এছাড়াও সবার জন্যই আছে ১ সেকেন্ড পালস। তবে এই কলরেট গ্রামীণফোনে বিভিন্ন রকম। এফএনএফ নাম্বারের জন্য আছে আলাদা কলরেট ও পালস সিস্টেম। তাই যারা সহজ জিনিস পছন্দ করেন তাদের জন্য স্কিটো কথা বলতে সেরা।

💥২. স্কিটো সিমের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এতে বিভিন্ন শর্তের আড়ালে কলরেট বা অফারগুলো বাঁধা থাকে না। আপনি গ্রামীণফোনে প্রতিটি অফারের পিছনেই বিভিন্ন শর্ত দেখতে পাবেন। তাই স্কিটো এর সোজা হিসাবের সুবিধার জন্য অনেকেরই পছন্দ হতে পারে। এখানে লুকানো কোন চার্জও থাকে না।

💥৩. স্কিটো সিমের সবথেকে বড় সুবিধা এর ইন্টারনেট অফারগুলো। স্বল্প মুল্যে বেশ ভালো অফারের ইন্টারনেট ডাটা পেতে পারেন এই সিমে। কিন্তু গ্রামীণফোনে ইন্টারনেট ডাটার ক্ষেত্রে খুব বেশি অফার পাবেন না। তাই কম খরচে ডাটা পেতে স্কিটো সেরা।

💥৪. স্কিটো সিমের নিয়ন্ত্রন সম্পূর্ণ অ্যাপের মাধ্যমে করতে হয়। অ্যাপ হতেই আপনার মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যালেন্সসহ সবরকমের ব্যালেন্স চেক করে নিতে হয়। গ্রামীণফোনের মতো আলাদা ইউএসএসডি কোডের দরকার নেই। গ্রামীণফোনের নিজস্ব অ্যাপ থাকলেও স্কিটো অ্যাপটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর ও ব্যবহার করাটা খুব সহজ।

💥৫. রিচার্জের ব্যাপারটিতেও স্কিটো সিম গ্রামীণফোন হতে আলাদা। এই সিমে রিচার্জ করতে হলে স্কিটোর নিজস্ব নাম বা পদ্ধতি ব্যবহার করে রিচার্জ করতে হয়।

👊 স্কিটো সিমের সুবিধা কি?

👉স্কিটো সিমের সবথেকে বড় সুবিধা এটি ব্যবহার সহজ এবং সাশ্রয়ী। স্কিটো সিমের আরেকটি সুবিধা হলো এটি গ্রামীণফোনের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেই সেবা দেয়। তাই সবথেকে বিস্তৃত ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক হতেই আপনি কম মুল্যে সেবা পেয়ে যাচ্ছেন। স্কিটো সিমের ইন্টারনেট ডাটার মূল্য বেশ কম। গ্রামীণফোনের হাই স্পিড ৪জি ইন্টারনেট সেবা গ্রামীণফোনের সিম হতে কম মুল্যে পেয়ে যাবেন স্কিটোর মাধ্যমে।

👉আর এক অ্যাপের মধ্যেই সকল প্রকার সেবা থাকায় স্কিটো সিমের সবকিছু এক স্থানেই পেয়ে যাবেন। এর আরেকটি সুবিধা হলো এতে জটিল কিছুই করা হয়নি কিছু। কলরেট বা এসএমএস সবকিছুতেই নির্দিষ্ট একটি মূল্য রাখা হয়েছে। ফলে আপনাকে বেশি ভাবতে হবে না খরচ নিয়ে, দ্রুত সব হিসাব করে ফেলতে পারবেন। অ্যাপটিও বেশ সুন্দর আর সহজ হওয়ায় ব্যবহারকারীদের কাছে ভালো লাগবে।

👊 স্কিটো অ্যাপঃ-

👉স্কিটো সিমের সবচেয়ে বড় ফিচার হলো এর অ্যাপ সুবিধা। খুব ভালো কিছু সুবিধা নিয়ে এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে যা গুগল প্লেস্টোর হতে বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ইন্সটল করতে পারবেন  খুব সহজেই । এই অ্যাপ হতেই সিমের প্রয়োজনীয় সকল কাজ করতে পারবেন। দেখতে পারবেন সকল রকমের ব্যালেন্স, সিম ব্যবহারের হিস্টোরি। করতে পারবেন রিলোড, ভোলটিই সেবা সরাসরি অ্যাপ হতেই চালু করতে পারবেন। এছাড়া ব্যালেন্স এবং ডাটা ট্রান্সফারের মতো সুবিধাও রয়েছে এই অ্যাপের মধ্যে।

👉অ্যাপের মধ্যেই সকল ধরণের ডাটা প্যাকের অফার ও নিয়মিত ডাটা প্যাক পেয়ে যাবেন খুব সহজেই এবং এখান থেকেই একটিভ করে নিতে পারবেন খুব সহজেই। বিভিন্ন সার্ভিস ব্যবহারের উপর স্কিটোর নিজস্ব কিছু রিওয়ারডিং সিস্টেমও থাকবে । এছাড়া অ্যাপ হতেই মিস কল অ্যালার্ট, পে অ্যাজ ইউ গো চালু বা বন্ধ করা, ইমারজেন্সি লোন নেয়া ইত্যাদি বিভিন্ন জরুরী ফিচার অ্যাপের মধ্যেই আছে। সিম চুরি হয়ে গেলে অ্যাপ থেকে সিমটি ব্লকও করে দিতে পারবেন। অ্যাপটি দেখতে বেশ সুন্দর এবং সব কাজ দ্রুত ও সহজভাবে করা যায়। অন্য সকল সিম হতে স্কিটো সিমকে আলাদা করেছে এই ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ।

👊 স্কিটো সিমে রিচার্জ ও কাস্টমার সার্ভিস যেভাবে পাবেনঃ-

👉স্কিটো সিমের রিচার্জ ব্যবস্থা গ্রামীণফোন সিম হতে আলাদা। গ্রামীণফোন সিম হিসেবে স্কিটো সিমে রিচার্জ করলে তা আসবে না। ফ্লেক্সিলোড দোকানে গিয়ে আপনাকে আলাদা করে জানাতে হবে যে আপনার সিমটি স্কিটো সিম যেহেতু গ্রামীণফোনের সঙ্গে নাম্বার সিরিজ একই হওয়ায় না বললে এটি বুঝে নেয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেটে স্কিটো সিমে রিচার্জের জন্য আলাদা অপশন পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে অ্যাপ হতেও নিজের ব্যাঙ্ক বা কার্ড হতে রিচার্জ করতে পারবেন। অন্য কোন বন্ধুর স্কিটো নাম্বারে অ্যাপ হতে রিচার্জ করে দেবার সুবিধাও আছে এই সিমে। 

👉স্কিটো সিমের সকল ধরণের সমস্যা ও সিম সম্পর্কিত সকল প্রকার বিষয়েই গ্রামীণফোন নিজেই সমাধান কর থাকেন। তাই যে কোন জিপি সিম কাস্টমার কেয়ার বা সার্ভিস পয়েন্ট হতে আপনি এই সিমের জন্য সকল কাজ করতে পারবেন। সিম রিপ্লেস বা সিমের মালিকানা পরিবর্তন বা এই ধরণের কাজগুলো গ্রামীণফোন নিজেই করে থাকে। এছাড়া নতুন সিম কিনতে চাইলেও গ্রামীণফোনের কাস্টোমার কেয়ারে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া স্কিটো সিমের অ্যাপের ভিতরেই  কাস্টোমার সাপোর্ট নিতে বিভিন্ন পদ্ধতি দেওয়া রয়েছে।

👉সব দিক থেকে বিবেচনা করলে স্কিটো সিম হতে সেরা সুবিধা পেতে পারেন তরুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীরা। স্কিটো সিমটি পুরোপুরি নতুন ধরণের সিম বলে এটি বয়স্কদের জন্য কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ মনে হতে পারে। তবে স্মার্টফোন ইউজাররা এই সিম ব্যবহার করলে বাড়তি অনেক সুবিধা পাবেন।

আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে । 

Mobile Security Tips মোবাইল সুরক্ষা টিপস।

ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) কি?

বাটন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক সহ আরও অনেক সুবিধা!

Chat GPT কী ? কীভাবে কাজ করে চ্যাট জিপিটি ?

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ।

ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট।ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট কী,সুবিধা, সীমাবদ্ধতা।

টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস এবংউদ্ভাবন ও এর বিকাশ।

টেলিগ্রাম বা টেলিগ্রাম অ্যাপ কি এবং এর ইতিহাস এবং সুবিধা ও অসুবিধা।

ল্যাপটপ কম্পিউটার কি? ল্যাপটপ কম্পিউটার ইতিহাস।

পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে