ডায়াবেটিস কি? প্রকারভেদ এবং ডায়াবেটিস রোগীর খাবার।
👉 চিকিৎসা শাস্ত্রে বলাহয় ডায়াবেটিস এক ধরনের (Metabolic disorders)মেটাবলিক ডিজঅর্ডার বা শরীরএর কাযৃক্রম পরিচালনার সমস্যা তৈরি করে এমন একটি রোগ । তবে এক্ষেত্রে শরীর যে অগ্নাশয়ে টি রয়েছে তার মাধ্যমে যতটুকু ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না বা তা ব্যবহার করতে পারে না। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় ইনসুলিন উৎপাদন হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়।
👉 মানব দেহে যে অগ্ন্যাশয়টি রয়েছে যেটি থেকে ইনসুলিন নামের যে হরমোন উৎপন্ন ও নিসৃত হয়। শরীরে যখন এই ইনসুলিন উৎপন্ন করতে পারে না অথবা এটি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না তখনই এই ডায়াবেটিস রোগটি হয়।
👉যার ফলাফল রক্তের মধ্যে চিনি জমতে শুরু করা অথবা রক্তে চিনি বা গ্লুকোজ এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুনে বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে বেশ কিছু সম্যসাা হয় যেমনঃ
💨 পস্রাব ঘন ঘন হয়,
💨গলা বেশি বেশি শুকিয়ে যায়,
💨শরীরের ওজনে পরিবর্তন হয়,
💨শরীরে দূর্বলতা বা ক্লান্তি বোধ আসে,
💨যে কোন ধরনের ঘা সহজে শুকায় না,
💨শরীরে রক্তনালী ধ্বংস হয়,
💨 মস্তিকের স্নায়ু তন্ত্রে সমস্যা হয়,
💨 ক্ষত পা পচে যেতে পারে,
💨অনুভুতি অনেক কমে যেতে পারে,
💨 স্ট্রোক ও মৃত্যুঝুকি বেড়ে যায়।
👉ডায়াবেটিস এর প্রকারভেদঃ
👉ডায়াবেটিস ৪ ধরনের হয়ে থাকেঃ
💦টাইপ-১ ডায়াবেটিস
💦 টাইপ-২ ডায়াবেটিস
💦 গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস
💦 অন্যান্য ডায়াবেটিস।
☝টাইপ-১ ডায়াবেটিসঃ
👉টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর শরীরে অগ্ন্যাশয় এর উৎপান্ন সব ইনসুলিন একে বারে নষ্ট হয়ে যায়।এই সকল রোগী কে যদি আলাদা ভাবে ইনসুলিন দেওয়া না হয়, তবে সে মারা যেতে পারে। শতকরা প্রায় ৫-১০ শতাংশ মানুষ টাইপ-১ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
✌টাইপ-২ ডায়াবেটিসঃ
👉টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর শরীরে অগ্ন্যাশয় এর উৎপান্ন সব ইনসুলিন একে বারে নষ্ট হয়ে যায় না । এ সকল রোগীর শরীরে ইনসুলিন আছে কিন্তু সেটা কাজ করতে করতে পারে না। েএই সময় যে কোন খাবারই খাই না কেন তা গ্লুকোজ হিসেবে শরীরে জমে যাতে পারে,আর এটাই টাইপ-২ ডায়াবেটিস বলে। শতকরাপ্রায় ৮০-৯০ শতাংশ মানুষ এ ডায়াবেটেসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
✊গেস্টেশনাল ডায়াবেটিসঃ
👉এই ডায়াবেটিসটি মূলত গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে বেশি পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্লাসেন্টার কিছু হরমোন ইনসুলিন প্রতিরোধের জন্য দায়ী হয় । দেখা যায় বেশিরভাগ মহিলাই প্রসব পরবর্তী স্বাভাবিক গ্লুকোজ ফিরে আসেন কিন্তু পরবর্তী জীবনে ডায়াবেটিস হওয়ার যথেষ্ট ঝুঁকি (শতকরা 30-60%) থাকে। শতকরা প্রায় ২-৫ শতাংশ মানুষ এ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
✊অন্যান্য টাইপ ডায়াবেটিসঃ
👉Hyperglycemia(হাইপারগ্লাইসেমিয়া) রক্তে শর্করার কোন বৃদ্ধি পায় না। এই প্রকারের ডায়াবেটিস হলে প্রচণ্ড তৃষ্ণার অনুভূতি পায় । আর কম অ্যান্টি-ডাইউরেটিক হরমোন নিঃসরণের কারণে অতিরিক্ত বা বেশি বেশি প্রস্রাব তৈরি হয়। অ্যান্টি-ডাইউরেটিক হরমোন ভ্যাসোপ্রেসিনের নিঃসরণ কমে যাওয়ায় প্রস্রাবের চরম উৎপাদন হয়। এটি শতকরা প্রায় ১-২ শতাংশ মানুষের হয়ে থাকে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
👌ডায়াবেটিসের সাথে খাবারের সম্পর্কঃ
👉ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে যদি কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি কিন্তু অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার বেশ কিছু উপায় আছে, যেমনঃ-
💢ওষুধ
💢 নিয়মিত ব্যায়ামসহ নানাভাবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
💢তবে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আপনি খাবার নিয়ন্ত্রণ না করেন।
👉তাই প্রতিদিনের খাবার গ্রহণ করা হয় তার তালিকায় এমন খাদ্য রাখতে হবে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে।
যেমনঃ
💧খেজুরঃ
👉খেজুরের রয়েছে প্রচুর আঁশ বা ফাইবারযুক্ত থাকে যা ডায়াবেটিসের জন্য অনেক বেশি উপকারী। অন্যান্য ফল- আঙ্গুর, কমলালেবু ও ফুলকপির তুলনায় খেজুর শরীরে অনেক বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দিয়ে থাকে। যার ফলে খেজুর ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
💧তিসিঃ
👉 তিসি এটি একধরনের বীজ যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্সসিড। তিসিবীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী । বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের এই বীজ খুবই কার্যকর। তিসি বীজ এ রয়েছ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন।
💧দুধঃ
👉দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’ । আর এজন্যই দুধ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য অনেক উপকারী খাবার। আবার অনেকের দুধ খেলে পেটে গ্যাস হয়, তাই আপনি চাইলে দুধের ফ্যাটি অংশটি বাদ দিয়ে টকদই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন। তবে সকালের নাস্তা আপনি রাখতে পারেন এই দুধ অথবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার।
💧তুলসীঃ
👉 তুলসীকে ঔষধি গাছ আর এই তুলসীকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন । এটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে তুলসীপাতা বিভিন্নভাবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক সাহায্য করে। তাই আপনি খালি পেটে তুলসীপাতার রস পান করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক কমে যাবে। এছাড়া চাইলে তুলসীর রস আপনি চায়ের সাথে মিশিয়েও পান করতে পারেন।
💧মটরশুঁটিঃ
👉 মটরশুঁটি কিন্তু হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আবার মটরশুঁটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমায়। তাই প্রায় প্রতিদিন ২০০ গ্রামের মতো মটরশুঁটি খেলে হৃদরোগ সহ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি অনেক আঁশে কমায়। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই বর্তমানে পাওয়া যায় মটরশুঁকি।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।