শবে কদর কি?এই রাতে কি করা উচিত, গুরুত্ব,ফজিলত,দোয়া এবং শবে কদরের আমল !

👐 শবে কদর কি?গুরুত্ব,ফজিলত,দোয়া এবং শবে কদরের আমল !

Any Help24


👉শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদাপূর্ণ রাত কিংবা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা এর অর্থ হলো  সম্মানিত রাত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম একটি রাত। পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ-উত্তম এবং মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের জন্য দান করেছেন।


👉 শবে কদরের রাত কোনটি?



👉রমজানের শেষ ১০ দিনের যেকোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুলকদর তালাশ করা যায়  অর্থাৎ ২১-২৩-২৫-২৭-২৯ রমজান দিবাগত রাতগুলোই। কিন্তু অনেক আলেমগন গবেষণা ও ব্যাখ্যায় এবং বুজুর্গানেদ্বীনের মতে ২৬ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ তারিখে পবিত্র শবে কদরের অন্যতম সম্ভাব্য রাত হিসেবে গননা করা হয়। 



👉 শবে কদরের রাত কি?


শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়। শবে কদরে এক রাতের ইবাদত তার চেয়ে অনেক  বেশি উত্তম।



👉 শবে কদরের রাতে কি করা উচিতঃ-



👉শব-ই-কদরের জন্য, মুসলিম ভক্তরা সারা রাত জাগ্রত থাকেন এবং কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করেন । মসজিদে, ইসলামিক পণ্ডিতরা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন এবং বিশেষ প্রার্থনার সময় সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের মূল আয়াতের অর্থ ব্যাখ্যা করেন।



আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
আরো পড়ুন




👉 শবে কদরের গুরুত্বঃ-



👉শব-ই-কদর এই দিনে লোকেরা তাদের মঙ্গল কামনা করে। শব-ই-কদর রমজান মাসের ইসলামিক ক্যালেন্ডারের পবিত্র রাতগুলির মধ্যে একটি । মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে এই রাতে প্রার্থনা করলে তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হবে। ইংরেজিতে, শব-ই-কদর শব্দটিকে ভাগ্য, শক্তি এবং মূল্যের রাত হিসাবে বোঝানো হয়।




👉লাইলাতুল কদর এর ফজিলতঃ-



👉লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমারদের সকলের  জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো ১ বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ কিংবা লাইলাতুল কদরের রাত।



👉 শবে কদর রাতের ফজিলত অনেক বেশি হওয়ার কারণ হলোঃ-



👉পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিলের মাস হলো রমজান মাস  কোরআন শরীফ নাজিলের রাত হলো  শবে কদর। এই রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার জাবালে রহমত তথা  হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে জিবরাইল (আ:)–এর মাধ্যমে  হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)–এর প্রতি পবিত্র কোরআনুল কারিম  নাজিল হয়।




👉 লাইলাতুল কদরের নামাজ পড়ার নিয়মঃ-



👉লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগসহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনি  বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া , ইস্তেগফার পড়বেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে মন থেকে  ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।



👉 লাইলাতুল কদরের নামাজ কত রাকাতঃ-



👉সারা রাত আমরা 20 রাকাত রাত জাগরণ নামায পড়ব যাতে কুরআনের সম্পূর্ণ শেষ জুজ পড়ে।




👉শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়মঃ-



👉আজ লাইলাতুল কদরের রাত। যাকে শবে কদর বলা হয়। শবে কদর ফারসি শব্দ। যার অর্থ হলো মহিমান্বিত রাত। মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এই এক রাতের ইবাদত অনেক উত্তম। এই রাতে  আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অশেষ রহমত এবং নিয়ামত বর্ষিত করেন।



👉শবে কদরের রাতে  মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারা রাত নফল নামাজ- কোরআন ও - কবর জিয়ারত-হাদিসের আলোকে জিকির এবং নিজের কৃত গুনাহর জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন।

 


👉 নামাজের নিয়ত আরবিতেঃ-



👉নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা রাকআ'তাই ছালাতি লাইলাতিল কদর-নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কা’বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।



👉অর্থ: আমি কাবামুখী হয়ে আল্লাহর [সন্তুষ্টির] জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম আল্লাহু আকবর।


 

👉শবে কদরের নামাজ পড়ার নিয়মঃ-



👉লাইলাতুল কদরে বিশেষ কোনো নামাজের নিয়ম বা পদ্ধতি নেই। লাইলাতুল কদরের রাতে দুই রাকাত করে নফল নামাজ যত সুন্দর ও মনোযোগসহকারে পড়া যায় ততই ভালো। দুই রাকাত, দুই রাকাত করে আপনি যত খুশি পড়তে পারবেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনি  বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া , ইস্তেগফার পড়বেন ও তওবা করবেন। আল্লাহর কাছে মন থেকে  ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।



👉এ ছাড়া বিশেষ কিছু সুরা পড়তে হবে, এটা লোকমুখে প্রচলিত আছে, তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। তবে চাইলে বেশি বেশি সুরা কদর ও সুরা ইখলাস পড়তে পারেন।



👐 মোনাজাতের শেষে নিচের এই দোয়াটি কমপক্ষে ১০০ বার পড়া উত্তমঃ-

 


👉সুব্‌হানাল্লাহি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, লা হা’ওলা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল্‌ আলীয়্যিল আযীম।

 


👉এই রাতে যে দোয়া বেশি পড়বেনঃ-



👉হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) থেকে বর্ণিত,ররেয়ছেন  তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞেসা করলেন যে ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ) শবে কদর রাতে আমাদের কোন দোয়াটি পড়া উচিত এবং রাসুলাল্লাহ (সাঃ)তাকে পড়ার জন্য নির্দেশ দিলেন।


👉দোয়া :আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি 👐



 👉অর্থ:  হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল এবং আপনিতো ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন। [সুনানে ইবনে মাজা]



👉শবে কদরের আমলঃ-


💧নফল নামাজ 

💧তাহিয়্যাতুল অজু

💧দুখুলিল মাসজিদ

💧আউওয়াবিন

💧তাহাজ্জুদ

💧 সালাতুত তাসবিহ

💧 তাওবার নামাজ

💧 সালাতুল হাজাত

💧সালাতুশ শোকর এবং অন্যান্য নফল ইত্যাদি পড়া।

# নামাজে কিরাত এবং রুকু-সেজদা দীর্ঘ করা।


আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।

আরো পড়ুন