🍁চৈত্র সংক্রান্তি কি? উদযাপন, ইতিহাস,এবং বাঙালির ও বাংলার উৎসব !
🍁চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সে উৎসব।
👉 চৈত্র সংক্রান্তি অর্থঃ-
👉চৈত্র মাসের শেষের দিনটি যেমন মাসের শেষ দিন ঠিক তেমনি বছরের ও শেষ দিন।আমরা সাধারণ ভাবে বাংলা শেষ মাসের শেষের দিনটিকে সংক্রান্তি বলি । এক অর্থে সংক্রান্তি ধারণাটি এমন হয় যে কালের আবর্তে অসীমের মাঝে সাঁতরে এবং সূর্য এক রাশি থেকে অন্য আর একটি রাশিতে প্রবেশ করে কিংবা গমন করে।
🍁 চৈত্র সংক্রান্তি কবেঃ-
👉চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সে উৎসব।
🍁 চৈত্র সংক্রান্তির উদযাপনঃ-
👉চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গমের ছাতু, দই ও পাকা বেল দিয়ে তৈরি বিশেষ শরবত খাওয়া হয় আবহমান বাংলায়। চৈত্র সংক্রান্তি অনেকাংশে উদযাপিত হয় ধর্মীয় উৎসব হিসেবেও। যেমন, বাংলার মুসলমানদের মধ্যেও চৈত্র সংক্রান্তি ধর্মীয়ভাবে উদযাপন করা হতো। এই দিনে খোলা প্রান্তরে অর্থাৎ মাঠে জামাতের সাথে বিশেষ নামাজ আদায়ের রীতি ছিল।
🍁 বাঙালি এবং বাংলার উৎসবের দিন চৈত্র সংক্রান্তিঃ-
👉চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সেই উৎসব। কিন্তু আজো বাঙালি সংক্রান্তির ২টি উৎসব কে আগলে রেখেছে । একটি হলো চৈত্র সংক্রান্তি এবং অপরটি পৌষ সংক্রান্তি নামে পরিচিত ছিলো।
👉চৈত্র সংক্রান্তি বা চৈত্র মাসের শেষদিন। বাংলা মাসের সর্বশেষ দিনটিকে সংক্রান্তির দিন বলা হয়। একসময় বাংলায় প্রতিটি ঋতুরই সংক্রান্তির দিনটি উৎসবের আমেজে পালন করতো বাঙালি। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে সে উৎসব। কিন্তু আজো বাঙালি সংক্রান্তির দুটি উৎসবকে আগলে রেখেছে । একটি হলো চৈত্র সংক্রান্তি এবং অপরটি পৌষ সংক্রান্তি নামে পরিচিত।
🍁 চৈত্র সংক্রান্তির মর্মান্তিক ইতিহাসঃ-
👉বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্রের শেষদিনকে চৈত্র সংক্রান্তি হিসেবে পালন করা হয়। পুরাণমতে এ দিনের নামকরণ করা হয়েছিল চিত্রা নক্ষত্রের নামানুসারে। আদিগ্রন্থ পুরাণে বর্ণিত আছে সাতাশটি নক্ষত্র যা রাজা প্রজাপতি দক্ষের সুন্দরীকন্যার নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
👉সে সময় প্রবাদতুল্য সুন্দরী এ কন্যাদের বিয়ে দেওয়ার চিন্তায় উৎকণ্ঠিত রাজা দক্ষ। উপযুক্ত পাত্র খুঁজতে লাগলেন তিনি। বহুদিন খুঁজেও কন্যাদের যোগ্য পাত্র পাচ্ছিলেন না প্রজাপতি দক্ষ। শেষমেষ একদিন মহা ধুমধামে চন্দ্রদেবের সঙ্গে বিয়ে হলো দক্ষের সাতাশ কন্যার। দক্ষের এক কন্যা চিত্রার নামানুসারে চিত্রা নক্ষত্র এবং চিত্রা নক্ষত্র থেকে চৈত্র মাসের নামকরণ করা হয়। রাজা দক্ষের আরেক অনন্য সুন্দরী কন্যা বিশখার নামানুসারে বিশাখা নক্ষত্র এবং বিশাখা নক্ষত্রের নামানুসারে বৈশাখ মাসের নামকরণ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ
👉বাঙালি ঐতিহ্যে দিনটি পালন করা হয় নানা উৎসব আয়োজনে। মূলত খাজনা পরিশোধের দিনটিকে পরবর্তীতে উৎসবের দিন ধার্য করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালিরা গাজন, নীল পূজা বা চড়ক পূজা পালন করেন। এ ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তির মেলা ও শেষ প্রস্তুতি চলে হালখাতার। আদিবাসী সম্প্রদায় পালন করে বর্ষবিদায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বৈসাবি। যেই চৈত্র সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে বাঙালিদের এতো আয়োজন সেই চৈত্রের মধ্যে রয়েছে এক মর্মান্তিক ইতিহাস।
👉চৈত্র্যের শেষ দিনে জমিদার বাড়ির উঠানে আয়োজন করা হতো কবিগান, লাঠিখেলা ও হরিনাম সংকীর্তনের। যা কৃষিদেবতা হিসেবে লোকপালের লৌকিক খ্যাত। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মূল শিবের গাজনের সঙ্গে এর কোনো মিলই ছিল না। প্রজাদের আকৃষ্ট করতেই এসব আয়োজন করা হতো।
👉কারণ এ সময় সব প্রজার আসতেই হতো এখানে খাজনা দিতে। জমিদার বাড়ি থেকে আগেই ঘোষণা করা হতো যে, সালতামামির খাজনা সবটুকু শোধ করলে আলাদা করে কোনো সুদ লাগবে না। তাই দলে দলে মানুষ সেখানে উপস্থিত হতো। এ সুযোগে জমিদাররা একদিনে পুরো বছরের খাজনা আদায় করে ফেলতেন। অন্যদিকে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রজাদেরও দর্শন দিতেন বছরের ওই একটি দিনই।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান
👉তবে কতজন প্রজা দিতে পারতেন পুরো খাজনা। বেশিরভাগ প্রজা পুরোটা তো দূরে থাক অর্ধেক খাজনাও পরিশোধ করতে পারতেন না। তাদের কপালে ছিল ভয়াবহ শাস্তি। বাংলায় শুধু ব্রিটিশরাই শাসন আর শোষণ করেনি। পরবর্তীতে সময়ে বাঙালি জমিদাররাও ওই সময়ে ব্রিটিশদের ওই গুণ ধারণ করেছিলেন মনে প্রাণে। সেই শাস্তিও ছিল অনেক ভয়ানক ও কঠিন।
👉ঋণে জর্জরিত কৃষক ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে চৈত্রের শেষ দিনে বড়শিতে বেঁধে চড়কে ঘোরানো হতো। যাকে এখন চড়ক পূজাও বলা হয়। লেখক আখতার উল আলম পূর্ববঙ্গের গ্রামে গ্রামে পেয়েছিলেন এ নিষ্ঠুরতার বর্ণনাগুলো। কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও বরিশালের জমিদাররা তার মধ্যে অন্যতম। যদিও চড়ক সংক্রান্তিতে বড়শি ফোঁড়া বা বাণ ফোঁড়া ছিল প্রথমে অপেক্ষাকৃত নীচু সম্প্রদায়ের প্রথা। ব্রাহ্মণরা এতে অংশগ্রহণ করতেন না।
🍁চৈত্র সংক্রান্তি কোনটি বাগধারা বুঝায়ঃ-
👉বাগধারা শব্দের আভিধানিক অর্থ কথার বচন ভঙ্গি বা ভাব বা কথার ঢং। বাক্য বা বাক্যাংশের বিশেষ প্রকাশভঙ্গিকে বলা হয় বাগধারা। বিশেষ প্রসঙ্গে শব্দের বিশিষ্টার্থক প্রয়োগের ফলে বাংলায় বহু বাগধারা তৈরী হয়েছে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
বিজ্ঞান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ
বাংলা ব্যাকরণ. ধ্বনিতত্ত্ব থেকে কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?