সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই ১০টি স্বাস্থ্য টিপস
✌প্রাত্যহিক জীবনের কাজের চাপ ও দৌড় ঝাপের মাঝে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না কখনো। এর ফলে ওজনবৃদ্ধি, ডায়বিটিজের মতো নানান রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবার। আজ, জানবো কোন কোন উপায় ফিট ও এনার্জেটিক থাকা যায়।
👉১. এক দিনে কমপক্ষে হলেও ৫ হাজার স্টেপ হাঁটুন। স্বাস্থ্যের পক্ষে খাবার যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ততটাই জরুরি প্রতিদিন হাঁটাচলা করা। খাবার খাওয়ার পর শুয়ে না পরে কিছুক্ষণ হাঁটা উচিত। সকালে আধ ঘণ্টা জোর কদমে হাঁটলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। সকালে যদি সময় না পান তাহলে রাতে খাবার খাওয়ার পর অবশ্যই অবশ্যই আধ ঘণ্টা হাঁটুন।
👉২. সুস্থ থাকার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনাকে হাইড্রেট রাখতে এবং খাবার হজম করতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। লাগাতার পানি খেলে শরীরের সমস্ত টক্সিন বেড় হয়ে যায়। কম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে শুষ্কভাব ও কিডনির সমস্যা সহ নানাবিদ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
👉৩.মনে রাখতে হবে, যে ভুলেও কখনো প্রাতঃরাশ বাদ দেবেন না। কারণ, ভরপেট প্রাতঃরাশ করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এনার্জেটিক অনুভব করবেন।
👉৪. রাতে কম খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। রাতে খাবারের পরিমাণ কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ রাতে খাবার হজমের জন্য শরীরকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই রাতে হালকা ও কম খাবার খাওয়া উচিত।
👉৫. চা ও কফি কম পান করলে শরীর অনেক বেশি সুস্থ থাকে। অনেকেই অভ্যেসবশত চা ও কফি পান করে থাকে। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এঁদের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন। বেশি পান করলে শরীরের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।
👉৬. চা এবং কফির পরিবর্তে গ্রিন-টি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ইহা শরীরের মেটাবলিজম অনেক বৃদ্ধি করে থাকে। যেই কারনে হজম তাড়াতাড়ি হয়। এর ফলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দ্রুত শরীর থেকে বের হয়ে আসে। তাই প্রতিদিন ২ বার মধু মিশিয়ে গ্রিন টি খেতে হবে।
👉৭. ফাস্টফুড খেতে কেনা ভালোবাসে। কিন্তু এই খাবারগুলি শরীরের পক্ষে অধিক ক্ষতিকর। এতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তাই ফাস্টফুড ও বাহিরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান। ওজন কমাতে চাইলে তো অবশ্যই এগুলি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
👉৮. নেশা করা শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে অধিকতর ক্ষতিকর। মদ্যপান ও ধূমপান ফুসফুস ও লিভারের রোগের বড় একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে নেশা থেকে দূরে থাকুন।
👉৯.প্রতিদিন নিয়মিত এক্সারসাইজ কিংবা ব্যায়াম করতে হবে। যোগাসন শরীরকে নমনীয় করে এবংএর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও অনেকটা উপকারী। যোগাসন বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যেমন মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে ক্যান্সারের চিকিৎসায় পর্যন্ত যোগাসন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
👉১০. সুস্থ থাকতে মিষ্টি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে ও ডায়বিটিজের মতো মারণব্যাধি রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়। এ ছাড়াও মিষ্টি কম খেলে ওজন কম করতে সাহায্য করে।
👊সর্বোপরি একটা কথায় বলবো, ভালো ঘুম সুস্থ থাকার জন্যে খুবই জরুরি। যাঁরা রাতে ঠিক-ঠাক ঘুমাতে পারেন না। তাঁরা প্রায়ই কোনও না-কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে পরে।শরীর ও মস্তিষ্ক সব ক্ষেত্রেই ভালো ঘুমের প্রভাব বিস্তার করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না পেলে রাতে কফি পান করা ও দেরি পর্যন্ত জেগে থাকা বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে অবসাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ব্রিদিং এক্সারসাইজে এবং মেডিটেশন ব্যক্তিকে অবসাদ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
গলা ব্যাথার কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।
হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।