👮 বাংলাদেশ স্কাউট দিবস, এর পূর্ণরূপ, স্কাউট এর কাজ,এবং স্কাউটিং এর গুরুত্ব!
👉১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা দিবস হিসেবে এ বছর থেকে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি। ১৯১৪ সালে ওই সময়ে ব্রিটিশরা ভারতীয় শাখার অংশ হিসেবে এই জনপদে স্কাউটিং শুরু হয়।
👮 Scout এর পূর্ণরূপ কি?
👉তথ্য পাওয়ার জন্য একটি এলাকা অন্বেষণ করা (একটি শত্রু সম্পর্কে) একটি অনুসন্ধান করা। ট্যালেন্ট স্কাউট হিসেবে কাজ করা। সকর্মক ক্রিয়া তথ্য পেতে বা মূল্যায়ন করার জন্য পর্যবেক্ষণ করা।
👮 বাংলাদেশে স্কাউট দিবস কবেঃ-
👉১৯৭২ সনের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের সূচনা দিবস হিসেবে ২০২২ সাল থেকে ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থার ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল 'বাংলাদেশ স্কাউটস সমিতি'।
👮 বাংলাদেশ স্কাউট এর কাজ হলোঃ-
👉মূল লক্ষ্য স্কাউটিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশু কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলী উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। স্কাউট কার্যক্রমে কতগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়।
👮 কত সালে স্কাউট এর পথ চলা শুরু হয়ঃ-
👉স্কাউট আন্দোলন ১৯০৮ সালে লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল শুরু করেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল। বর্তমানে পৃথিবীর কোটি ১০০ কোটি স্কাউট ও গাইড বিভিন্ন স্কাউটিং সমিতির প্রতিনিধিত্ব করছে।
👮 স্কাউটিং এর গুরুত্ব হলোঃ-
👉স্কাউটিং কাঠামোগত সেটিংস প্রদান করে যেখানে তরুণরা নতুন দক্ষতা শিখতে পারে এবং ক্রমাগত শেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে যা তাদের সফল হতে সাহায্য করবে। এর ভিত্তি থেকে, স্কাউটিং জ্ঞান এবং দক্ষতা আবিষ্কার, ভাগ করে নেওয়া এবং প্রয়োগ করার একটি সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম অফার করেছে।
👮 বাংলাদেশ স্কাউটস ইতিহাসঃ-
👉 বাংলাদেশের জাতীয় স্কাউটিং সংস্থা। স্কাউটিং হল একটি আন্দোলন যার কাজ আনন্দের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দান। এর মাধ্যমে একজন ছেলে বা মেয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। স্কাউটিং এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার আনন্দ যার স্বাদ নিতে হলে যোগদান করতে হবে এই আন্দোলনে। ১৯০৭ সালে রবার্ট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল সংক্ষেপে বি.পি এই আন্দোলনের শুরু করেন।
👉১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারাদেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ঐ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, সোমবার) উক্ত সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। এর আগে প্রবীণ স্কাউটার সলিমুল্লাহ ফাহমীর নেতৃত্বে ২২মে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল স্কাউট এসোসিয়েশন। বিশ্ব স্কাউট সংস্থা [WOSM] ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৭৮ সালের ১৮ই জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় সমিতির নাম বদলে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় কাউন্সিল ১৯৯৪ সালের ২৪ই মার্চ একাদশ সভার মধ্যদিয়ে বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন স্কাউটিং চালু করেন বাংলাদেশে।
👉বাংলাদেশ স্কাউটস কার্যক্রম শুরু করেছিলো মাত্র ৫৬,৩২৫ জন সদস্য নিয়ে। ১৯৭৮ সালে সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে সকল স্তরের জন্য ট্রেনিং কোর্সসমূহ পরিচালনার মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের মধ্যে এ সংখ্যা ৫ লাখে উন্নীত হয়। এরপর বাংলাদেশ স্কাউটস ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করে স্ট্রাটেজিক প্ল্যান- ২০১৩। এ প্ল্যানে স্কাউটদের শুধু সংখ্যাবৃদ্ধিই নয়, গুণগত মান অর্জনেরও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়।
👉৬টি অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভলেন্টিয়ার লিডার ও স্কাউটারবৃন্দ সমন্বিতভাবে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ লক্ষ স্কাউট তৈরির চেষ্টা করছেন। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৭ সালের মধ্যে স্কাউটের সংখ্যা ১৬,৮২,৭৬১ এ পৌঁছেছে যা বাংলাদেশকে বিশ্ব স্কাউট সংস্থায় ৫ম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশ স্কাউটস অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০টি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি গঠন করেছে যেগুলির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট এবং অভিজ্ঞ স্কাউটারগণ।
👉বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে জাতীয় স্কাউট কাউন্সিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট এ কাউন্সিলের প্রধান। স্কাউট জাতীয় কাউন্সিলের সভা প্রতিবছর সদর দফতরে আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে প্রতি ৩য় বছরের সভার প্রধান জাতীয় কমিশনার এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকে।
👮 বাংলাদেশ স্কাউটস এর প্রথম প্রধান জাতীয় কমিশনার কে ছিলেনঃ-
👉তবে প্রতি তৃতীয় বছরের সভায় প্রধান জাতীয় কমিশনার ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। প্রধান জাতীয় কমিশনার হচ্ছেন বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান নির্বাহী। এ পর্যন্ত ছয় জন এই পদে নির্বাচিত হন।তার মধ্যে পিয়ার আলী এবং নাজির ছিলেন স্কাউটস এর প্রথম জাতীয় কমিশনার।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
গাজীপুর জেলা ইতিহাস এবং দর্শনীয় স্থান।
বিজ্ঞান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ
বাংলা ব্যাকরণ. ধ্বনিতত্ত্ব থেকে কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?