রমজান মাসে কি কি করনীয়!
👉এই মাসে আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করলে।গরিব_দুঃখীদের প্রতি দান সদকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিওয়া।নিজে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে পরিহার বা বিরত থাকা ।আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে ইবাদত বন্দেগি জিকির-আসকার, কোরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ তাহলিল, এবং দোয়া ইস্তেগফার করলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার দুয়া অবশ্যই কবুল করেন।
যে ৪টি কাজ রমজান মাসে অবশ্যই করণীয়
✋রমজান দোয়া কবুলের মাস। আল্লাহতায়ালার নৈকট্যলাভের বিশেষ মৌসুম। এই মাসে প্রত্যেক বালেগ ও সক্ষম মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছে।রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন মাহে রমজানের প্রতি রাতেই একজন ফেরেশতা ঘোষণা করতে থাকেন:হে পুণ্য অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাচারী! থামো, চোখ খোলো।তিনি আবার ঘোষণা করেন:ক্ষমাপ্রার্থীকে ক্ষমা করা হবে। অনুতপ্তের অনুতাপ গ্রহণ করা হবে। প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল করা হবে।
👏রাসুলুল্লাহ (সাঃ)বলেছেন এ মাসে চারটি কাজ অবশ্যই করণীয়। দুটি কাজ এমন যে, তার দ্বারা তোমাদের প্রতিপালক সন্তুষ্ট হন। অবশিষ্ট দুটি এমন, যা ছাড়া তোমাদের কোনো উপায় নেই।
✋এই চারটির মধ্যে একটি হলো কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, দ্বিতীয়টি হলো অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা। এ দুটি কাজ আল্লাহর দরবারে অতি পছন্দনীয়। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো জান্নাত লাভের আশা করা ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা করা। এ দুটি এমন বিষয়, যা তোমাদের জন্য একান্ত প্রয়োজন।’ (ইবনে খুজাইমা)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আরও বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়ে নিষ্পাপ হতে পারলো না তার মতো হতভাগ্য এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই।
👪মাতৃগর্ভ থেকে মানুষ যেভাবে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়, মাহে রমজানের ৩০ দিন যথাযথভাবে রোজা পালন করলে তেমন নিষ্কলুষ হয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই এ মাসে বেশি বেশি আমল ও দোয়া করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত।
রমজানজুড়ে যে দোয়াগুলো সবচেয়ে বেশি পড়তে হয়
💧রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। মাসজুড়ে দোয়া-ইসতেগফারে অতিবাহিত হয় মাসটি।
রোজার নিয়ত করা আবশ্যক। রোজার নিয়ত না করলে রোজা হবে না। ভোর রাতে সাহরি খেয়ে মুমিন মুসলমান রোজার নিয়ত করেন। বহু প্রচলিত রোজার একটি নিয়ত রয়েছে। তাহলো
উচ্চারণঃ
👉নাওয়াইতু আন আছুমা গাদান মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।
অর্থঃ
👐হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করলাম। অতএব আপনি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করুন নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বজ্ঞানী।
বেশি বেশি ইসতেগফার পড়াঃ
⌛রোজার দিন বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া। বিশেষ করে ইফতারের আগে আগে বেশি বেশি ইসতেগফার, দরূদ ও দোয়া পড়া।
উচ্চারণঃ
👉আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু আল-হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
উচ্চারণঃ.
👍আলহামদুলিল্লাহি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসিআত কুল্লা শাইয়িন আন তাগফিরলি।
অর্থঃ
👆সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য; হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে তোমার সর্ববেষ্টিত রহমতের উসিলায় প্রার্থনা করছি, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (ইবনে মাজাহ)
ইফতারের দোয়া
👌ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরুতে বলা
- بِسْمِ الله বিসমিল্লাহ বলা।
💦তারপর এই দোয়াটি পড়ে ইফতার শুরু করতেন বিশ্বনবি হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ)
👳হজরত মুয়াজ ইবনে যুহরাহ (রা:)থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ)যখন ইফতার করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন
উচ্চারণঃ
💧আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থঃ
👆হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
ইফতার করার পর বিশ্বনবির দোয়া
👳হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ)যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন
উচ্চারণঃ
⛵জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থঃ
🌊(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াব ও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)
👉এছাড়া কারো ঘরে মেহমান হয়ে ইফতার করলে এ দোয়া পড়া-
উচ্চারণঃ
💦আকালা ত্বাআমাকুমুল আবরারু, ওয়া সাল্লাত আলাইকুমুল মালায়িকাতু, ওয়া আফত্বারা ইংদাকুমুস সায়িমুন।’ (আবু দাউদ)