পৃথিবীর ভয়ংকর ৭ টি ভাইরাস ।

  পৃথিবীর ভয়ংকর ৭ টি ভাইরাস 


Any Help24



😈পৃথিবীর ভয়ংকর ৭ টি ভাইরাস সেই আদিকাল থেকে মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে যেই ক্ষুদ্র দানব, তার নাম হলো ভাইরাস।


🅛লাতিন শব্দ ভাইরাস এর অর্থ বিষ । আবার মানুষ এই ‘বিষ’কে মানবকল্যাণেও কাজে লাগাচ্ছে ইদানীং। তবে এটা নিশ্চিত যে এই ভয়ংকর ক্ষুদ্র দানবদের পুরোপুরি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপে বন্দী করতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।


💬অতি ক্ষুদ্র ভাইরাসের আছে ভয়ংকর মারণ ক্ষমতা। শুধু বিশ শতকেই গুটিবসন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রায় ৩০ কোটি মানুষের। প্রথম কে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তা জানা না গেলেও এ পৃথিবীর সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তিটি ছিলেন আমাদের বাংলাদেশের রহিমা বানু। বর্তমানে এই দানবটিকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। আরেকটি বিভীষিকার নাম স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারায় পাঁচ থেকে দশ কোটি মানুষ যা পৃথীবির মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ।


🌎পৃথিবীতে জানা-অজানা বহু ভাইরাস আছে। এর মধ্যে ছয়টি ভাইরাসকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সে ছয়টি ভাইরাসের সঙ্গে ইদানীং যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস।


 👉1.ইবোলা ভাইরাস


Any Help24


👉এ পর্যন্ত ঘাতক ভাইরাসের শীর্ষে আছে ইবোলা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এর ছয়টি প্রকরণ শনাক্ত করা গেছে। প্রকরণভেদে ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশের বেশি হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে পারলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা যায় ১৯৭৬ সালে। একই সঙ্গে নাইজার, সুদান, ইয়াম্বুকু ও রিপাবলিকান কঙ্গোতে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে ইবোলা মহামারিতে আফ্রিকার পশ্চিমাংশের দেশগুলোতে ১১ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইবোলা ভাইরাসে ২ হাজার ৯০৯ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় এবং এদের মধ্যে ১ হাজার ৯৫৩ জন প্রাণ হারায়। আজ পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি। ইবোলা ভাইরাস সংক্রামিত মানুষের রক্ত, লালা বা যেকোনো নিঃসৃত রস থেকে বা শরীরের যে কোনো ক্ষতস্থানের মাধ্যমে অপরের শরীরে সংক্রামিত হয়।


💨ইবোলা ভাইরাস কি?


🅴 ইবোলা একটি মারাত্মক ভাইরাস। এটি সুদান এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ১৯৭৬ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। ইবোলা ভাইরাস ৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে থাকার পরেও, সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল পশ্চিম আফ্রিকায় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে। এই প্রাদুর্ভাব আগের প্রাদুর্ভাবের চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী, মারাত্মক এবং ব্যাপক বলে প্রমাণিত হয়েছে।


🅴 ইবোলা ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার কারণে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এবং অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে রক্ত ​​জমাট বাঁধার কোষের সংখ্যা কমে যায়। যার কারণে মানুষের মারাত্মক, অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত হয়। হেমোরেজিক জ্বর ছিলো ইবোলা রোগের পূর্ব নাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে হেমোরেজিক জ্বর এখন ইবোলা ভাইরাস নামে পরিচিত। যেসব ব্যক্তিরা ইবোলাতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের মধ্যে ৯০% মানুষই মৃত্যুর দিকে ঢোলে পড়ে।


🅴 ইবোলা ভাইরাসের কারণ ও লক্ষণঃ


👯অনেকেই ধারণা করে থাকেন এই ইবোলা ভাইরাসটি বানরের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যখন ইবোলা ভাইরাসে সংক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে কোন সুস্থ মানুষ আসে, তাহলে সেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়বে। সংক্রমনে আক্রান্ত ব্যক্তির লালা, বুকের দুধ, বীর্য, মল-মুত্র, বমি ইত্যাদির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির নাক, মুখ, চোখ, যৌনাঙ্গ, ক্ষত ইত্যাদি মাধ্যমেও ইবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সিরিঞ্জ, সুঁচ, কাপড় এগুলো মাধ্যমেও সুস্থ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে ৷ তবে মানুষের দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এই রোগ প্রকাশ পায় না। বরং এই ভাইরাসটি প্রকাশ পেতে ২-২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। ইবোলা ভাইরাসকে Filoviridae ভাইরাস পরিবারের সদস্যও বলা হয়। 


ইবোলা ভাইরাসের অন্যতম কিছু লক্ষন হলো -


১. শরীর ব্যাথা 


২. শ্বাস কষ্ট 


৩. ঘন ঘন জ্বর আসা


৪. মাথা ব্যাথা


৫. ক্ষুধামন্দা 


৬. ঠান্ডা ও কাশি


৭. নাক, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তক্ষরণ 


৮. পাতলা পায়খানা 


৯. কিডনি ও লিভারের কার্যকক্ষতা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া। 


১০. শরীরের দুর্বলতা বেড়ে যাওয়া


১১. ইবোলা ভাইরাসের লক্ষন দেখা দেওয়ার সময় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগও দেখা দিয়ে থাকে। 


১২. পেট ব্যাথা


১৩. অবর্ণনীয় রক্তপাত এবং ক্ষত


১৪. পেশী সমতল হয়ে যাওয়া 


১৫. বমি বমি ভাব আসা 


ইবোলা ভাইরাসঃ


ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকরা রোগীদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ টিকা যা ইবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ইবোলা প্রতিরোধ করতে পারে এমন অন্যান্য বেশ কিছু ব্যবস্থা রয়েছে যেমন- 


১/ ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। 


২/ আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্রের  কাপর, জাবতীয় জিনিস সংস্পর্শ  থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। 


৩/ যদি কোন ব্যক্তি এমন জায়গায় বসবাস করে।যেই খানে ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি অনেকটা বেশি  তাহলে সেই জায়গার মানুষদের কে ঘন ঘন কাপড় ও হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।  


৪/ প্রক্রিয়াজাত না করা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।



ইবোলা ভাইরাসের রোগ নির্ণয়ঃ


১. ম্যালেরিয়া এবং টাইফয়েড জ্বরের মতো অন্যান্য রোগের মতোই হলো ইবোলা ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো ।


২. আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করার মাধ্যমে ইবোলা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা যায়।


৩. শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা যা কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে কম কিংবা বেশি হয়ে থাকে। 


৪. প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। 


৫. লিভারের এনজাইম গুলির খুব ধীরে ধীরে উন্নত হতে থাকে।


৬. জমাট বাঁধার ফ্যাক্টরের মাত্রা যা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে ।




ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসাঃ



💨ইবোলা ভাইরাসের লক্ষন গুলো দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। একজন চিকিৎসক রক্ত ​​পরীক্ষা ছাড়াও রোগীর সমস্যা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়। যেহেতু ইবোলা এক্সপোজারের তিন সপ্তাহের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। তাই যে কেউ তিন সপ্তাহের মতো ইনকিউবেশন পিরিয়ড অনুভব করতে পারে। ২১ দিনের পরে কোন উপসর্গ দেখা না গেলে ইবোলা বাতিল হয়ে যায়। এই সময়ে ইবোলা ভাইরাসের জন্য কোন প্রতিকার বা ভ্যাকসিন নেই। নীচে সহায়ক কিছু চিকিৎসা বেবস্থা দেয়া হল :


১. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ঔষধ 


২. শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখাতে চিকিৎসা করতে হবে।


৩. অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রয়োজনে হবে।শিরায় ও মৌখিক তরল ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের জন্য এবং সহাবস্থানের সংক্রমণের চিকিৎসা করতে হবে।


যেহেতু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই এই রোগ নির্নয় করা সহজ হয়। সেজন্য চিকিৎসক রোগীর কোথাও ভ্রমণের উপর নির্ভর করে এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ইবোলা ভাইরাসে নির্নয় করে দ্রুত চিকিৎসা করে থাকেন৷ ইবোলা ভাইরাস যেহেতু ভাইরাস জনিত একটি রোগ সেই জন্য এটার সুনির্দিষ্ট তেমন কোন চিকিৎসা নেই৷ তবে প্রতিটি আবস্থায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা খুবই দরকার।



2.রেবিজ ভাইরাস


Any Help24



রেবিজ ভাইরাস নিউরোট্রপিক অর্থাৎ এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এ ভাইরাসের সংক্রমণে যে রোগটি হয়, তার নাম জলাতঙ্ক। প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর পুরো পৃথিবীতে জলাতঙ্কের আক্রমণে প্রাণ হারায় ৫৯ হাজার মানুষ। সংক্রামিত প্রাণীর লালায় রেবিজ বা জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস বিচরণ করে। সেসব প্রাণী মানুষকে কামড়ালে মানুষ সংক্রামিত হয়। কার্যকর ভ্যাকসিন থাকা সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময়মতো ভ্যাকসিন না দেওয়ার জন্যে জলাতঙ্কের আতঙ্ক থেকে এখনো মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন।


ভাইরাসটি সরাসরি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং এর স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে। সময়মতো টিকা না দিতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু অবধারিত। মস্তিষ্কে রেবিজ ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখনই রেবিজের লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে রোগীর মৃত্যু হয়।


পরিদর্শনঃ


অবিলম্বে একটি বিপথগামী প্রাণীর কামড় বা আঁচড় এবং পেটে এই সমস্ত ইনজেকশনের সাথে যুক্ত, জলাতঙ্ক একটি গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ। সাধারণত, লক্ষণগুলি প্রকাশের সময়, সংক্রামিত ব্যক্তিকে বাঁচাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। যাইহোক একজন ব্যক্তি যিনি জলাতঙ্কের সংস্পর্শে এসেছেন।যদি সেই ব্যক্তি সাহায্য চান তবে সাধারণত কার্যকরভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে।


জলাতঙ্ক কি?


জলাতঙ্ক, যা হাইড্রোফোবিয়া নামেও পরিচিত, একটি তীব্র ভাইরাল সংক্রমণ যা প্রায় সবসময়ই মারাত্মক। এটি সংক্রামক রোগের বিভাগের অধীনে আসে এবং খামার বা বন্য প্রাণীদের দ্বারা সংক্রামিত হয়।সাধারণত মাংসাশী যেমন কুকুর.বিড়াল.শেয়াল.শোকুন। এটি বেশিরভাগ আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড, আইসল্যান্ড. তাইওয়ান. জাপান ও সাইপ্রাসের মতো দ্বীপগুলোতে কোনো জলাতঙ্ক নেই।


জলাতঙ্ক রোগের কারণঃ


মানুষের মধ্যে জলাতঙ্ক একটি উন্মত্ত প্রাণীর কামড়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে।প্রাণীর লালার মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায় মানুষের শরীরে ছড়ায়।খামারের প্রাণী যেমন কুকুর.গরু.ঘোড়া.ছাগল.খরগোশ ও বন্য প্রাণী যেমন কাঁঠাল বাদুড়, কোয়োটস শিয়াল ও হায়েনারা আক্রান্ত হলে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে। ভারতে, বিপথগামী কুকুরগুলি সংক্রমণের সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্স, কারণ পোষা প্রাণীদের টিকা দেওয়া হয়।


মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ নথিভুক্ত করা হয়নি। যদি একটি উন্মত্ত প্রাণী একজন ব্যক্তির উপর একটি খোলা ক্ষত চাটতে পারে, তাহলে ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। মাথা এবং ঘাড়ের ক্ষতগুলি আরও বিপজ্জনক কারণ সংক্রমণ দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে।



জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ



জলাতঙ্কের উপসর্গ ও লক্ষণগুলো রোগের শেষ পর্যায়ে দেখা যায় না। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে ও এর  পরেই মৃত্যু হয়।



জলাতঙ্কের একটি ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে।যার অর্থ হলো উপসর্গ ও লক্ষণগুলি প্রকাশের আগে কিছু দিন এটি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত থাকে। প্রাথমিক উপসর্গগুলো যেমন মাথাব্যথা .গলা ব্যথা. জ্বর ও কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি হবে।



অত্যধিক লালা নিঃসরণ হবে গিলতে অসুবিধা, হবে গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয় থাকবে উদ্বেগ, বিভ্রান্তি, অনিদ্রা এমনকি আংশিক পক্ষাঘাত এবং কখনও কখনও কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত দেবে।



ব্যক্তি শব্দ আলো এমনকি বাতাসের ঠান্ডা স্রোতে অসহিষ্ণু। বাতাসের ভয়  দেখা যায ইত্যাদি।


জলাতঙ্ক রোগ নির্ণয়ঃ



আপনি যদি একটি বিপথগামী কুকুর কিংবা বন্য প্রাণী দ্বারা কামড়ায়, এটা বুদ্ধিমানের কাজ যে প্রাণীর জলাতঙ্ক আছে। ওই ব্যক্তি তার জীবন বাঁচানোর জন্য টিকা দেওয়া উচিত, যদি প্রাণীটি পোষা প্রাণী হয় এবং এটি মালিক কিংবা পশুচিকিৎসকের কাছে থেকে যাচাই করা যেতে পারে যে ওই প্রাণীটি র‍্যাবিড নয়, শুধুমাত্র মাএ এই ক্ষেত্রে ব্যক্তিটিকে টিকা দেওয়া হয়না।



একজন ব্যক্তিকে কোনো প্রাণী কামড়ানোর পরে ওই প্রাণীটিকে সুরক্ষিত করা কিংবা  ক্যাপচার করা অত্যন্ত সহায়ক কারণ প্রাণীটির জলাতঙ্ক আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে হবে এবং স্থানীয় সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে।



জলাতঙ্কের তদন্তঃ


ইমিউনোফ্লোরেসেন্স নামক একটি পদ্ধতিতে ত্বকের একটি ছোট টিস্যু ব্যবহার করে রেবিস অ্যান্টিজেন সনাক্ত করা হয়।সংক্রামিত রোগীর লালা থেকে ভাইরাসটি আলাদা করা হয়।



জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ


জলাতঙ্কের উপসর্গ ও লক্ষণগুলি রোগের শেষ পর্যায়ে দেখা যায় না। এই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং এনসেফালাইটিস সৃষ্টি করে ও এর পরেই মৃত্যু ঘটে।


জলাতঙ্কের একটি ইনকিউবেশন পিরিয়ড থাকে।যার অর্থ হলো উপসর্গ এবং লক্ষণগুলো প্রকাশের আগে কিছু দিন এটি ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত থাকে। প্রাথমিক উপসর্গগুলো হল যেমন মাথাব্যথা.গলা ব্যথা.জ্বর ও কামড়ের জায়গায় খিঁচুনি।


অত্যধিক লালা নিঃসরণ হবে গিলতে অসুবিধাহবে গিলতে অসুবিধার কারণে পানির ভয়. উদ্বেগ. বিভ্রান্তি. অনিদ্রা ও আংশিক পক্ষাঘাত এবং মাঝে মধ্যে কোমার মতো লক্ষণগুলি জলাতঙ্কের ইঙ্গিত   প্রকাশ করে।


ব্যক্তি শব্দ. আলো এমনকি বাতাসের ঠান্ডা স্রোতে অসহিষ্ণু। বাতাসেরও ভয় দেখা যায়।



3.এইচ৫ এন ১ (H5 N1) রূপান্তরিত এবং মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস


Any Help24


এই ভাইরাসটি মিউট্যান্ট। ডাচ ভাইরোলজিস্ট রন ফুচিয়ে গবেষণাগারে বার্ড ফ্লু ভাইরাসকে রূপান্তরিত করেন। এ ভাইরাসটি মারাত্মক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভীষণ বিপজ্জনক বিধায় ২০১১ সালে আমেরিকান বায়োসফটি এজেন্সি (এনএসএবিবি) এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। গবেষকেরা আশ্বস্ত করেছেন, এই দানব ভাইরাসটির স্থান হয়েছে গবেষণাগারের অত্যন্ত সুরক্ষিত প্রকোষ্ঠে। সেখান থেকে পালানোর কোনো পথ খোলা নেই। এমনিতেই সাধারণ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ৬০ শতাংশের ওপরে। এরপরও উচ্চ মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ ভাইরাসটি নিজে থেকেই ভোল পাল্টাতে অর্থাৎ রূপান্তরিত হতে পারে। সে জন্য এটি নিয়ে বিশেজ্ঞরা বিশেষ বেকায়দায় আছেন।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা দায়ী। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এই মৌসুমে তিন কোটির বেশি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ ভাইরাসে ফ্রান্সে ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজার ১০০ জন।



এইচ৫ এন১ কী ?



হেপাটাইটিস সি এক প্রকারের সংক্রমণ যা প্রধানত যকৃৎকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস (এইচসিভি) এই রোগ সৃষ্টি করে। হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত ব্যক্তির সচরাচর কোন উপসর্গ (স্বাস্থ্য সমস্যা বা তার রোগ আছে এমন কোন লক্ষণ) থাকে না। তবে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ যকৃতে ক্ষত এবং বেশ কয়েক বছর পর সিরোসিস সৃষ্টি করে। কোন কোন ক্ষেত্রে সিরোসিস আক্রান্ত ব্যক্তির যকৃৎ অকার্যকর, যকৃতের ক্যান্সার, বা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর শিরা স্ফীত হতে পারে যার জন্য রক্তক্ষরণে মৃত্যুও হতে পারে।



প্রধানত শিরায় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রক্ত-থেকে রক্তে সংযোগ, জীবাণু-যুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম, ও রক্ত সঞ্চালনের ফলে হেপাটাইটিস সি এর সংক্রমণ হয়। পৃথিবী জুড়ে আনুমানিক ১৩০-১৭০ মিলিয়ন লোক হেপাটাইটিস সি রোগে আক্রান্ত। বিজ্ঞানীরা এইচসিভি’র ব্যাপারে ১৯৭০ এর দশকে তদন্ত শুরু করে এবং ১৯৮৯ সালে নিশ্চিত করে যে এর অস্তিত্ব রয়েছে।অন্যান্য প্রাণীতে এর কারণ জানা যায়নি।



লক্ষণ এবং উপসর্গঃ



মাত্র ১৫% ক্ষেত্রে হেপাটাইটিস সি তীব্র উপসর্গ সৃষ্টি করে।অরুচি, ক্লান্তি, বিতৃষ্ণাবোধ, পেশি বা সংযোগস্থলে ব্যথা, ও ওজন-হ্রাসসহ উপসর্গসমূহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু ও অস্পষ্ট।কেবল অল্প কিছু ক্ষেত্রেই তীব্র সংক্রমণের সঙ্গে জন্ডিস হয়ে থাকে।১০-৫০% ব্যক্তির ক্ষেত্রে সংক্রমণ চিকিৎসা ছাড়াই ভাল হয়ে যায় এবং অল্প বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অন্যদের চেয়ে বেশি ঘটে।



কারণঃ



হেপাটাইটিস সি ভাইরাস এক ধরনের ছোট, আবৃত, সিঙ্গল-স্ট্র্যান্ডেড, পজিটিভ-সেন্স আরএনএ ভাইরাস।এটি “ফ্লাভিরিডে” পরিবারের  হেপাসিভাইরাস শ্রেণীর অন্তর্গত। এইচসিভি’র প্রধান সাতটি জিনগত কাঠামো (জেনেটাইপ) রয়েছে।যুক্তরাস্ট্রে জিনগত কাঠামো ১ এর কারণে ৭০%, জিনগত কাঠামো ২ এর কারণে ২০% ও অন্যান্য জিনগত কাঠামোর কারণে ১০% হেপাটাইটিস সি দেখা যায়।জিনগত কাঠামো ১ দক্ষিণ আমেরিকাতে ও ইউরোপেও বেশ দেখা যায়।



যৌন মিলন




যৌন মিলনের কারণে হেপাটাইটিস সি সঞ্চালিত হয় কিনা তা জানা যায়নি।উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ যৌন কর্মকান্ডের সঙ্গে হেপাটাইটিস সি-এর সংশ্লিষ্টতা থাকলেও অনুল্লেখিত ওষুধের ব্যবহার ও যৌন কর্মের মধ্যে কোন্‌টি রোগ সঞ্চালনের কারণ তা নিশ্চিত নয়।প্রমাণ পাওয়া গেছে যে অন্য কারো সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা বিপরীতলিঙ্গের দম্পতিদের কোন ঝুঁকি নাই।পায়ুগত প্রবেশের মত পায়ু পথের অভ্যন্তরীণ গাত্রের আবরণে আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা-যুক্ত যৌনক্রিয়া অথবা এইচআইভি বা যৌনাঙ্গে ঘা’য়ের মত যৌন ক্রিয়ার মাধ্যমে সঞ্চালনযোগ্য রোগসহ যৌন ক্রিয়ায় ঝুঁকি বিদ্যমান।যুক্তরাস্ট্র সরকার একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের হেপাটাইটিস সি প্রতিরোধে কনডম ব্যবহারের সুপারিশ করে থাকে।



দেহ ছিদ্র করাঃ 



উল্কি কাটলে হেপাটাইটিস সি-এর ঝুঁকি বেড়ে যায় ২ থেকে ৩ গুন।জীবাণু-মুক্তকরণ ব্যতিরেকে সরঞ্জাম ব্যবহার কিংবা ব্যবহৃত রং  দূষণের কারণেও এই ভাইরাস হতে পারে।১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের আগে কিংবা অদক্ষতার সঙ্গে করা উল্কি বা দেহ ছিদ্র বিশেষভাবে উদ্বেগের কারণ।কেননা এই ব্যাপারে পূর্বের পদ্ধতি খুব একটা উন্নত ছিল না। এছাড়া অপেক্ষাকৃত বড় উল্কিতে অধিক ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কারাবন্দীদের প্রায় অর্ধেক জীবাণুমুক্তকরণ ছাড়া উল্কির একই সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকে।লাইসেন্সকৃত প্রতিষ্ঠানে উল্কি কাটার সঙ্গে সরাসরি এইচসিভি সংক্রমণের সম্পৃক্ততা বিরল।



রক্তের সঙ্গে সংস্পর্শ



রেজর, দাঁতের ব্রাশ, এবং হাত ও পা এর চিকিৎসা ও পরিচর্যা সরঞ্জামের মত ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তু রক্তের সংস্পর্শে আসতে পারে। এসব শেয়ার করলে এইচসিভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।দেহের কাটা ও ব্যথা-যুক্ত বা অন্যান্য রক্তক্ষরণের স্থানের ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকা উচিত।আলিঙ্গন, চুম্বন, বা খাদ্য গ্রহণ বা রান্নার সরঞ্জাম থেকে এইচসিভি ছড়ায় না।



মা থেকে সন্তানে সঞ্চালনঃ 



গর্ভধারণের ১০% এর চেয়েও কম ক্ষেত্রে সংক্রমিত মা থেকে সন্তানে হেপাটাইটিস সি সঞ্চালিত হয়ে থাকে।এ ঝুকি হ্রাসের কোন পদ্ধতি নেই।গর্ভধারণ এবং প্রসবকালে এই সঞ্চালন হতে পারে।প্রসবে দীর্ঘসময় লাগলে সঞ্চালনে ঝুঁকি অনেকটা বেশি থাকে।এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে বুকের দুধ খাওয়ালে এইচসিভি ছড়ায়; তবে সংক্রমিত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো পরিহার করা উচিত যদি দুধের বোঁটা ফেঁটে গিয়ে থাকে বা তা থেকে রক্ত ঝড়ে কিংবা তার দেহে ভাইরাসের মাত্রা অনেক বেশি হয়।



পরীক্ষাঃ


যুক্তরাস্ট্র ও কানাডায় সংক্রমিত ৫-৫০% জনগণ তদের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন।যাদের দেহে উল্কি রয়েছে তাদেরসহ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের পরীক্ষা করার সুপারিশ করা হয়েছে।যকৃতের এনজাইম বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও পরীক্ষা সম্পাদনের সুপারিশ করা হয়েছে, কারণ এটি প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিসের লক্ষণ।যুক্তরাস্ট্রে নিয়মিত পরীক্ষার সুপারিশ করা হয়নি।



প্রতিরোধঃ


২০১১ সাল পর্যন্ত হেপাটাইটিস সি-এর কোন টিকা নাই। টিকা তৈরির কাজ চলছে এবং কিছু উৎসাহব্যঞ্জক ফলাফলও রয়েছে।সুচ পরিবর্তন কর্মসূচির মত প্রতিরোধমূলক কৌশল ও অপব্যবহৃত বস্তুর ক্ষেত্রে চিকিৎসা-এ দু’য়ের যৌথ প্রয়োগ শিরায় মাদক ব্যবহারকারীদের হেপাটাইটিস সি-এর উচ্চ ঝুঁকি ৭৫% হ্রাস করতে পারে।জাতীয় পর্যায়ে রক্তদাতাদের পরীক্ষা করা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বজনীন সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যেসব দেশে জীবাণুমুক্ত সিরিঞ্জের পর্যাপ্ত সরবরাহ নাই, সেবা প্রদানকারীদের উচিত সেখানে ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে মুখের মাধ্যমে ওষুধ সেবন করানো।



চিকিৎসাঃ


সংক্রমিত ব্যক্তিদের ৫০-৮০% এর মধ্যে এইচসিভি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এর মধ্যে ৪০-৮০% ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগের উপসম হয়। বিরল ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই সংক্রমণ সেরে যায়। যাদের দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস সি রয়েছে তাদের উচিত অ্যালকোহল ও যকৃতের জন্য বিষাক্ত পদার্থ পরিহার করা,এবং হেপাটাইটিস এ ও হেপাটাইটিস বি এর টিকা নেয়া।সিরোসিস-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের যকৃতের ক্যান্সারের জন্য রয়েছে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা।



4.মারবুর্গ

Any Help24


জার্মানির একটি শহরের নামে এই ফিলোভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। যদিও এটি ইবোলা ভাইরাসের চেয়ে কম মারাত্মক। তবে এ দুটি ভাইরাসের অনেক মিল আছে। উচ্চ মারণক্ষমতা অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্ত মানুষ এ ভাইরাসে মারা যায়। মারবুর্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পঞ্চম বা সপ্তম দিনে সংক্রামিত ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সঙ্গে রক্তবমি, মলের সঙ্গে রক্ত, নাক, দাঁতের মাড়ি এবং যোনিপথে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ অসুস্থতার পরে পুরুষদের মধ্যে অর্কিটিস নামক অণ্ডকোষের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। আশার কথা, এ ভাইরাস খুব সহজে সংক্রামিত হয় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অনেক বেশি মেলামেশার জন্যে তার মল. প্রস্রাব. লালা কিংবা বমির মাধ্যমেও মারবুর্গ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।



মারবার্গ ভাইরাসটি কি?



মারবার্গ ভাইরাস শরীরে সংক্রমিত হলে। তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। জ্বরের সঙ্গে হয় রক্তক্ষরণ। এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।



মারবার্গ সংক্রমণের লক্ষণ?



মারবার্গ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে তীব্র জ্বর এবং সেই সঙ্গে মাথাব্যথা। সেই সঙ্গে থাকবে ক্লান্তি ডায়রিয়া এবং বমির মতো উপসর্গ।



 মারবার্গ চিকিৎসা



মারবার্গের চিকিৎসার জন্য কোনো অনুমোদিত ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই। তবে উপসর্গ কমাতে রিহাইড্রেশন চিকিৎসা আপনার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে উন্নত করতে পারে। বিরল ভাইরাসটি ১৯৬৭ সালে জার্মানি এবং সার্বিয়ার বেলগ্রেডের গবেষণাগারে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছিল।বানর দিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ভাইরাসের সংস্পর্শে আসায়  সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল।



5.ডেঙ্গু ভাইরাস 

Any Help24


ডেঙ্গুর আরেকটি নাম আছে তা হলো  ট্রপিক্যাল ফ্লু।এডিস মশার কামড় দ্বারা সংক্রামিত হয় ডেঙ্গু। অন্যান্য ভাইরাসের চেয়ে কম বিপজ্জনক। ডেঙ্গু ভাইরাস সাম্প্রতিককালে ইউরোপেও হানা দিয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৪১টি দেশে আনুমানিক ৩৯ কোটি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে প্রায় পাঁচ লাখ ব্যক্তি মারাত্মক রক্তক্ষরণকারী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে প্রাণ হারায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ ও কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।



ডেঙ্গু জ্বর কী? 



ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাস সংক্রামিত একটি রোগ যা এইডিস প্রজাতির  মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছাড়িয়ে পড়ে। এই মশা জিকা, চিকুনগুনিয়া এবং অন্যান্য ভাইরাসও ছড়ায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চার ধরনের সেরোটাইপ আছে। কোন ব্যক্তি যে ভাইরাস দ্বারা প্রথমে আক্রান্ত হয়।সেই ভাইরাসের বিরূদ্ধে তার দেহে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরী হয়। এজন্য কোন ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় চার বারের মতো ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যারা আগেও ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ডেঙ্গু হলে তা মারাত্মক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে।সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে, সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্য জনে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে।



সময়কালঃ



সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। কিন্তু এবার ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই দেখা দিয়েছে।



 এডিস মশা কখন কামড়ায়ঃ



ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে উঠে। তবে অন্ধকারাছন্ন পরিবেশে দিনের যে কোন সময় কামড়াতে পারে।


টাইফয়েড জ্বর 


 জ্বরের লক্ষণসমূহঃ



ডেঙ্গু প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর। প্রকারবেধ অনুসারে লক্ষণ ভিন্ন হয়ে থাকে।



ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরঃ



ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরে সাধারণত তীব্র জ্বরের সাথে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। কোন কোন সময় জ্বরের মাত্রা ১০৫ ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। এই ব্যথা বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন জোড়ায় জোড়ায় যেমন কোমর, পিঠের অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র হয়ে থাকে। এছাড়া মাথায় ও চোখের পেছনে তিব্র ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ব্যথার মাত্রা এত তীব্র আকার ধারণ করে যে মনে হয় যেন হাঁড় ভেঙে যাচ্ছে। এজন্য এই জ্বরকে ‘হাড় ভাঙ্গা জ্বর’ও বলা হয়। জ্বরের ৪ বা ৫ দিনের সময় সারা শরীরে লালচে দানা যুক্ত অ্যালার্জি বা ঘামাচির মতো দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি রোগীর বমি বমি ভাব, এমনকি বমি হতে পারে। এতে রোগী অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করতে পারে। এছাড়া রোগীর খাওয়ার রুচি অনেক কমে যায়। কোনো কোনো রোগীর বেলায় জ্বর দুই বা তিনদিন পর আবার আসে বলে একে ‘বাই ফেজিক ফিভার’ও বলা হয়। লক্ষণগুলো রোগীর বয়স অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। ছোট বাচ্চা ও প্রথমবার আক্রান্তদের থেকে বয়স্ক, শিশু ও দ্বিতীয়বার আক্রান্তদের মাঝে রোগের তীব্রতা বেশি হয়।



হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরঃ


হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর হলে অবস্থাটা আরও জটিল আকার ধারণ করে। এইরুপ জ্বরে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে যেমন চামড়ার নিচ, চোখের মধ্যে এবং চোখের বাইরে, নাক, মুখ, দাঁতের মাড়ি কিংবা কফের সাথে রক্ত বমি হতে পারে। এছাড়া কালো বা আলকাতরার মত পায়খানা সহ পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অসময়ে ঋতুস্রাব হতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ অনেকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই রোগ হলে অনেকের বুকে ও পেটে পানি জমার মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে লিভার আক্রান্ত হলে রোগীর জন্ডিস দেখা দিতে পারে। আবার কিডনি আক্রান্ত হয়ে রেনাল ফেইলিউরের মত ঘটনা ঘটতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ একটি স্বরূপ হচ্ছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম যাতে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যেতে পারে। অন্যান্য সমস্যার মধ্যে নাড়ির স্পন্দন অত্যন্ত ক্ষীণ এবং দ্রুত হওয়া, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া প্রস্রাব কমে যাওয়া রোগী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং এর জন্যে মৃত্যুও  হলে পারে।



ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমন ৮টি অভ্যাস


পরীক্ষাঃ



অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু জ্বর হলে খুব বেশি পরীক্ষা করার দরকার নেই। জ্বরের চার থেকে পাঁচ দিন পরে সিবিসি ও প্লাটিলেট করাই যথেষ্ট। এর আগে করলে রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকে ও বিভ্রান্তও হতে পারেন। প্লাটিলেট কাউন্ট ১ লক্ষের কম হলে, ডেঙ্গু ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ডেঙ্গু এন্টিবডির পরীক্ষা ৫ বা ৬ দিনের পর করা যেতে পারে, তবে রোগ সনাক্তকরণে সাহায্য করলেও চিকিৎসায় সরাসরি এর কোন ভূমিকা নেই। প্রয়োজনে ব্লাড সুগার, লিভারের পরীক্ষাসমূহ যেমন এসজিপিটি, এসজিওটি, এলকালাইন ফসফাটেজ ইত্যাদি করা যাবে। রোগের তীব্রতা বেধে চিকিৎসক অন্যান্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।



চিকিৎসাঃ



এখনও এর কার্যকরী কোন টিকা বা ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা। এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তাই রোগের লক্ষণগুলোর উপর চিকিৎসা দেয়া হয়।



রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।

প্রচুর পানি পান করাতে হবে।

স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীরে কিছুক্ষন পর পর মুছে দিতে হবে।

প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে।

ডাক্তারের পরামর্শে ব্যথানাশক ঔষধ দিতে হবে।

অ্যাসপিরিন বা এজাতীয় ঔষধ দেয়া যাবে না।

চিকিৎসকের পরামর্শ

উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই সমীচীন-

শরীরের যে কোন অংশ থেকে রক্তপাত হলে।

প্লাটিলেটের মাত্রা অনেক কমে গেলে।

শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে।

প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।

জন্ডিস দেখা দিলে।

অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।

প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।


খাবারঃ


স্বাভাবিক খাবারের পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমনঃ ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন ইত্যাদি।



ঔষধঃ


ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে। স্বাভাবিক ওজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন সর্বোচ্চ চারটি প্যারাসিটামল খেতে পারবে। কিন্তু কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হার্ট ও কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ খাওয়া যাবে না। এসময় অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে।



প্রতিরোধঃ


এই রোগের কোন ধরনের টিকা নেই। তাই  আনাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থাই নিতে হয়।


জমে থাকা খোলা পাত্রের পানিতে মশকী ডিম পাড়ে। পোষা প্রাণির খাবার পাত্র, পানির পাত্র, ফুল গাছের টব, নারকেলের মালা, ফুলদানি, অব্যবহৃত কৌটা, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার, খোলা একুরিয়াম, ফ্রিজ বা এয়ার কন্ডিশনার এই গুলোতে পানি জমে থাকতে পারে। এই সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে।


আক্রান্ত ব্যক্তিকে যাতে মশা কামড়াতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দিতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে রোগীকে কোন মশা কামড়াতে না পারে।


ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। মনে রাখতে হবে, এডিস মশা অভিজাত এলাকায় বড় বড় দালান কোঠায় বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লাযুক্ত দুর্গন্ধ ড্রেনের পানি এদের পছন্দ নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে।


এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনের বেলা শরীর ভালোভাবে কাপড়ে ঢেকে বের হতে হবে।প্রয়োজনে মসকুইটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। মশক নিধনের জন্য স্প্রে. কয়েল. ব্যাট ব্যবহারের সাথে মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্যে প্রয়োজনে দিনে এবং  রাতে মশারী ব্যবহার করতে হবে।



6.এইচআইভি বা এইডস ভাইরাস! 

Any Help24


এই ভাইরাসটি পোষক কোষে আট থেকে দশ বছর পর্যন্ত ঘাপটি মেরে থাকতে পারে। সক্রিয় হয়ে উঠলে পোষক দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিকল করে দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন হিসেবে এইডস মহামারি শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরপরে প্রায় তিন কোটি বিশ লাখ মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে মারা গেছে।


ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।



১০ মার্চ ২০২০ ব্রিটিশ মেডিকেল বৈজ্ঞানিক জার্নাল The Lancet খবর দিয়েছে। এইডসে আক্রান্ত একজন ব্রিটিশ ব্যক্তির অস্থি–মজ্জা–কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাকে পুরোপুরি সরিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাকে এইডসের কবল থেকে মুক্ত করা গেছে। এইডসের মোকাবিলায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।


এইডস কী?   


যাদের রক্তে এইচ আই ভি পজিটিভ ভাইরাস আছে তাদের এইডস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আসলে এইচভির পরিণত ষ্টেজই হল এইডস। 


 তবে তার মানে এই নয় যে যারাই এইচ আই ভি পজিটিভ (এইডস এর লক্ষণ) তারা প্রত্যেকেই এইডস এ আক্রান্ত হবে। যাদের এইচ আই ভি পজিটিভ নয়।তারাও কখনো কখনো  এইডসে আক্রান্ত হন। কারণ হলো এমন কিছু  প্রজাতির ক্যানসার  আছে যার থেকেও এইডস ভাইরাস হতে পারে।


এইডস এর প্রধান লক্ষণঃ 



কোনও রোগী এইডসে আক্রান্ত কী না।তা জানার উপায় রয়েছে। এইডসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নানারকমের লক্ষণ দেখা দেয়।একটু ভাল করে লক্ষ্য করলে তা বুঝতে পারবেন 



১.শুকনো কাশি

২.নিমোনিয়া

৩.কোনও কাজ না করেও ক্লান্তি

৪.এক সপ্তাহেরও বেশি যদি ডায়েরিয়ার সমস্যা হয়

৫.অবসাদ

৬.নার্ভের সমস্যা

৭.অস্বাভাবিক দ্রুত ওজন হ্রাস

৮.বারবার জ্বর আসা

৯.ঘাড়ে বা বগলের কাছে ফোলাভাব

১০.গলা খুশখুশ

১১.স্মৃতি হারিয়ে ফেলা



কীভাবে এইচ আই ভি/এইডস সংক্রমণ হয়ে থাকে? 



সাধারণত বিভিন্ন বডি ফ্লুইড বা শারীরিক তরলের মাধ্যমে এক জন থেকে আরেক জনের শরীরে এই ভাইরাস  ছড়িয়ে পড়ে। রক্ত, সিমেন, ভ্যাজাইনাল ও রেকটাল ফ্লুইড এবং মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি মাত্রায় থাকে (এইচ আই ভির লক্ষণ)। এছাড়াও যেভাবে এই ভাইরাস অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে পারে সেগুলি হলো 



১। এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে ভ্যাজাইনাল বা অ্যানাল সেক্সের মাধ্যমে। সমকামী পুরুষ যারা কোনও সুরক্ষা ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেন তাদের মধ্যে এই আশঙ্কা বেশি থাকে।


২। অসুরক্ষিত কিংবা অন্যের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ সূচ ব্যবহারের কারনে।


৩। ট্যাটু করলে কিংবা নাক/কান পিয়ারসিং করলে। যদি এই যন্ত্রগুলো স্টেরিলাইজ না করা হয় তাহলে এই আশঙ্কা থাকে।


৪। কোনও সম্ভাব্য মা যদি এইচ আই ভি পজিটিভ হয় তাহলে জন্মের পর তার সন্তানের রক্তেও এই ভাইরাস থাকতে পারে।


৫। স্তন্যপানের সময়।


৬। বাচ্চার খাবার তাকে দেওয়ার আগে নিজে চিবিয়ে দেওয়ার জন্য


৭। এইচ আই ভি পজিটিভ আছে এমন কেউ যদি আপনাকে রক্ত দেয় তাহলেও এই ভাইরাস (এইডস এর প্রধান লক্ষণ) আপনার শরীরে প্রবেশ করতে পারে।



এইচ আই ভি/এইডস টেস্টঃ 



এইচ আই ভি বা এইডসের কোনওরকম লক্ষণও যদি শরীরে দেখা যায়, সেক্ষেত্রে দেরি না করে সত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। যাতে অন্য কারও মধ্যে এই জিনবানু সংক্রমণ না হয়।সেজন্য প্রাথমিক স্তরেই পরীক্ষা প্রয়োজন। ইদানিং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে  ফোরথ জেনারেশন এইচ আই ভি টেস্ট’ করানো সম্ভব। আগে শুধুমাত্র এইচ আই ভি-র অ্যান্টিবডি শরীরে রয়েছে কিনা তা জানা যেত পরীক্ষার মাধ্যমে তবে এখন এইছ আই ভি অ্যান্টিবডির সঙ্গে ও ধরা যায় যার ফলে অনেক আগেই চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব।



এইচ আই ভি/এইডস এর প্রতিকারঃ



এইচ আই ভি-র চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে রোগীর শারীরিক অবস্থার উপরে। সাধারণত যদি দেখা যায় যে এইছ আইভি-তে আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব একটা কম নয়, সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। নানা ধরনের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ প্রয়োগ করা হয় রোগীর উপরে। যতক্ষণ না পর্যন্ত রোগীর রক্তে এইচ আই ভি-র জীবাণুর আর কোনও অংশবিশেষও না থাকে।ততক্ষন পর্যন্ত এই ওষুধের প্রয়োগ করা হয়।


সারা বছর জুড়েই সর্দি-কাশি



তবে আইচ আই ভি বা এইডসের লক্ষণ ধরা পড়তে যদি বেশ অনেকটা সময় লেগে যায় সেক্ষেত্রে অন্য ধরনের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। যেহেতু এইচ আই ভি রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পেতে থাকে।কাজেই অন্য ধরনের জীবাণু সংক্রমণ যেমন হেপাটাইটিস বা যক্ষ্মার মতো মারাত্মক অসুখও শরীরে দানা বাঁধতে পারে। এছাড়া নার্ভের সমস্যা হার্টের সমস্যা বা ক্যান্সারের মতো কঠিন সমস্যাও দেখা দিতে পারে অনেকসময়ে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে চিকিৎসকের উপরে নির্ভর করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই




7.নভেল করোনা (Covid-19)

Any Help24



ভাইরাসটা কী?



করোনাভাইরাস এমন একটি সংক্রামক ভাইরাস।যা এর আগে মানুষের মধ্যে কখনো ছড়ায়নি।


এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী প্রাণহানির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ। বিশ্বব্যাপী শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ৮ কোটির বেশি।


ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯ এনসিওভি বা নভেল করোনাভাইরাস। এটি এক ধরণের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে এই নতুন ধরণের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন হয়ে দাড়িয়েছে ৭ টি।



২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স [পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম] নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বে ৭৭৪জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০৯৮ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল। সেইটাও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।


২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয় কোভিড-১৯ যা (করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯)এই নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।


রোগের লক্ষণ কীঃ



রেসপিরেটরি লক্ষণ ছাড়াও জ্বর-কাশি.গলা ব্যাথা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাই হলো মূলত প্রধান লক্ষণ।

এটি ফুসফুসে আক্রমণ করে।

সাধারণত শুষ্ক কাশি এবং জ্বরের মাধ্যমেই শুরু হয় এই ভাইরাসের উপসর্গ পরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা যায়।


সাধারণত এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে সাধারনত ৫ দিন সময় নেয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছেন যে করোনা ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে কিছু কিছু গবেষকের মতে এর স্থায়িত্ব ২৪ দিন পর্যন্ত থাকতেও থাকতে পারে।


মানুষের মধ্যে যখন এই ভাইরাসের উপসর্গ গুলো দেখা দেবে। তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে। তবে এমন ধারণাও করছে।যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময়ও সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে।


কোথা থেকে এলো করোনাভাইরাস?


করোনাভাইরাস কোনো এক প্রাণী থেকে এসে। অনেক নতুন  ভাইরাস যেই ভাইরাসগুলো মানব দেহে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।


যতটুকু জানা যায় যে মানুষের আক্রান্ত হবার ঘটনাটি ঘটেছে হলো চীনের উহান শহরে সামুদ্রিক মাছ  থেকে যা পাইকারিভাবে বিক্রি হয় এমন একটি বাজারে।


লক্ষণগুলো কতটা মারাত্মক?


জ্বর দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়, এরপরে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। প্রায় এক সপ্তাহ পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হয়।


এই রোগে ৬% কঠিনভাবে অসুস্থ হয় এবং তাদের ফুসফুস বিকল হওয়ে যায়। সেপটিক শক অঙ্গ বৈকল্য ও মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটা বেশি হয়।


১৪% এর মধ্যে তীব্রভাবে উপসর্গ দেখা দেয়।তাদের মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসে অনেকটা সমস্যা দেখা যায়।


৮০% এর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা যায় জ্বর এবং কাশি ছাড়াও কারো কারো নিউমোনিয়ার উপসর্গ দেখা যেতে পারে।

বয়স্ক মীনুষ যাদের কোনো ধরণের অসুস্থতা রয়েছে যেমন হলো (অ্যাজমা.ডায়বেটিস.হৃদরোগ.উচ্চ রক্তচাপ) তাদের এই মারাত্মক অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে।


চীন থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে জানা গেছে তা হলো  এই রোগে নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা সামান্য একটু অধিক।


ভাইরাসটি কীভাবে ঠেকানো যেতে পারে?


১.মানুষজনের চলাচল সীমিত করে দেয়া।


৩.হাত ধুতে সবাইকে উৎসাহিত করা।


৩.মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করা।


৪.স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরে পরিধান করতে হবে এবং রোগীদের আলাদা আলাদা করে দূরুত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।


আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে 

সারা বছর জুড়েই সর্দি-কাশি

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমন ৮টি অভ্যাস

মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।

হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।

মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়

স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।

মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।

চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।

ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।

সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।

নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।

চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।

শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।

হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।

মাম্প্‌স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।

Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।

নতুন পোলিও টিকা (এনওপিভি২)

টাইফয়েড জ্বর 

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর 

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন 

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী  এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?

রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার 

রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণচিহ্নচিকিৎসা এবং উপদেশ ?

কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ 

 

NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন