গলা ব্যথা
👉গলা ব্যাথা এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস উভয়ের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। ভাইরাল সংক্রমণ সাধারণত স্ব-সীমাবদ্ধ এবং এর উপসর্গ অনুসারে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন। গলা ব্যথাটি অসংক্রামকও হতে পারে এবং অনেক সময় ধূমপান, শুষ্ক বাতাস, তামাক অথবা প্রচণ্ড দূষণের ফলে সৃষ্ট অস্বস্তির কারণে হতে পারে।
👨গলা ব্যথার কারণঃ
👉সর্দি,ফ্লু, ভাইরাল ইনফেকশন
👉ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন
👉এলার্জি
👉 গরম ও শুষ্ক বাতাস
👉ধোয়া ও কেমিক্যাল
👉আঘাত
👉গ্যাস্ট্রোইসুফ্যাগাল রিফ্ল্যাক্স ডিজিস
👉টিউমার
👨গলা ব্যথার লক্ষণঃ
👉জ্বালা পোড়া করা
👉গলা শুষ্ক হয়ে যাওয়া
👉 গলা খুশখুশ করা
👉 নাক বন্ধ
👉কফ জমা
👉গলার টোন বসে যাওয়া
👉ঢোক গিলতে অসুবিধা হওয়া
👉👉 জ্বর–৬ মাসের নীচে বয়সী শিশুদের জ্বর ১০১ ফারেনহাইট এবং বড়দের ক্ষেত্রে তা ১০৩ ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়ে যাওয়া।
👩কাদের গলা ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি বেশি ?
👍 শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা
👍 যারা ধূমপান করে অথবা ধূমপায়ী ব্যক্তির কাছাকাছি থাকে
👍 ধুলাবালু থেকে যাদের অ্যালার্জি হয়
👍 ঘরে ব্যবহৃত জ্বালানি ও রাসায়নিক বস্তুর সংস্পর্শে এলে
👍 যাদের দীর্ঘদিন ধরে সাইনাসের সমস্যা আছে
👍 যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম
💀গলা ব্যথা থেকে কি জটিলতা দেখা দিতে পারে ?
💦গলা ব্যথার ফলে অনেক মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমন ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে টনসিলে প্রদাহ, সাইনাসে প্রদাহ, কানের সংক্রমণ, কিডনির প্রদাহ, বাতজ্বর দেখা দিতে পারে।
❓গলা ব্যথা হলে করণীয় কি ?
✌সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধুতে হবে।নোংরা হাতে মুখে হাত দেয়া যাবে না।
✌ অন্যের প্লেট, গ্লাস ব্যবহার করা যাবে না।
✌বাড়ির আবহাওয়া আদ্র রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
✌রান্নার চুলার ধোয়া বের হবার ব্যবস্থা করতে হবে।
✌ধূমপান করা যাবে না।
✌ প্রচুর তরল জাতীয় খাবার খাতে হবে।
👴কখন ডাক্তার অবশ্যই লাগবে ?
✌ ঢোক গিলতে বেশী সুবিধা হলে
✌শ্বাসকষ্ট হলে
✌মুখের লালার সাথে রক্ত আসলে
✌গলায় পুঁজ দেখা দিলে
⌛গলা ব্যথার জন্য কি কি টেস্ট করতে হতে পারে ?
💉 Throat Culture
💉 Allergy Test
💉 MRI
💉 CT- Scan
💉 CBC
💊গলা ব্যথার ঔষধঃ
💨বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গলা ব্যথা এমনি এমনি ভালো হতে যায়।ব্যথার জন্য “প্যারাসিটামল” জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন তবে ইনফেকশন বেশী হয়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক খেতে হবে।কফের জন্য সিরাপ খেতে পারেন।
🌲গলা ব্যথার ঘরোয়া ঔষধঃ
🌕মেথি-
👉গবেষণায় দেখা গেছে, মেথির অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ব্যথা উপশম করতে পারে ও ক্ষতিকর ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী নারীদের মেথি এড়িয়ে চলাই ভালো।
👊রসুন-
👉রসুনে থাকা প্রদাহবিরোধী উপাদানসমূহ গলা ব্যথা দ্রুত সারাতে সক্ষম। তাছাড়া রসুন দাঁতে লুকিয়ে থাকা জীবাণু ধ্বংস করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটায়
👊বেকিং সোডা-
👉বেকিং সোডার কার্যকারিতা অনেক। গলা ব্যথা সারাতে বেকিং সোডা ও লবণ পানি দিয়ে গার্গেল করতে পারেন। এই দ্রবণে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে।
👉ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরামর্শ অনুসারে, ১
কাপ গরম পানি,
১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা এবং
১/৪ চা চামচ লবণ মিশিয়ে প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর গার্গেল করলে দ্রুত গলা ব্যথা সেরে যায়।
👊গোলমরিচ-
👉শুধু রান্না স্বাদ বাড়াতেই নয়, শারীরিক বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখতেও কার্যকর গোলমরিচ। বিশেষ করে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয় এতে থাকা উপাদান। গোলমরিচে মেন্থল বৈশিষ্ট্য আছে। যা পাতলা শ্লেষ্মা, গলা ব্যথা ও কাশি থেকে তাৎক্ষণিত স্বস্তি দেয়।
👉এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে। আস্ত গোলমরিচের দানা পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো করে পান করলে দ্রুত গলা ব্যথায় স্বস্তি মিলবে।
👊মধু-
👉চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারে গলা ব্যথা সারাতে। এটি গলা ব্যথার সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার। গবেষণায় দেখা গেছে, মধু কাশির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর।
👉গবেষণায় দেখা যায়, মধুতে থাকা উপাদানসমূহ বিভিন্ন ক্ষত নিরাময় ও গলার প্রদাহে দ্রুততর নিরাময় ঘটায়।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।
হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।