ষাট গম্বুজ মসজিদ কেন বলা হয় এর ইতিহাস।

 ষাট গম্বুজ মসজিদ কেন বলা হয়

Any Help24


 ✅ষাট গম্বুজ মসজিদ  হলো বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। ইহা একটি প্রাচীন মসজিদ।  এই মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তার জন্যে এটি কে নির্মাণ করেছিলেন কিংবা কোন সময়ে নির্মাণ করেছিলেন সেই সম্বন্ধে সঠিক  তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।



  ষাট গম্বুজ মসজিদ কেনা বলা হয়

 ✅তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে মনে হয় যে খান জাহান আলী নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। ধারণা করা হয়েছে তিনি ১৫শ শতাব্দী  এই মসজিদ  নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে  বহু অর্থ খরচ করে  এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।  এর পাথরগুলি আনা হয়েছে রাজমহল থেকে। 



  ষাট গম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো 

 ✅ইহা বাংলাদেশের ৩টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত বাগেরহাট শহরটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে। মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু।


 ষাট গম্বুজ মসজিদে  গম্বুজ

 ✅ ষাট গম্বুজ মসজিদে গম্বুজের সংখ্যা মোট ৮১ টি  ৭ লাইনে ১১ টি করে ৭৭ টি এবং ৪ কোনায় ৪ টি মোট ৮১ টি। কালের বিবর্তনে লোকমুখে ৬০ গম্বুজ  বলতে ষাট গম্বুজ নামকরণ হয়ে যায়। সেই থেকে ষাট গম্বুজ নামে পরিচিত। সুলতান নসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। 


 ষাট গম্বুজ মসজিদে ইতিহাস

 ✅খানজাহান বৈঠক করার জন্য একটি দরবার হল গড়ে তোলেন, যা পরে ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। তুঘলকি ও জৌনপুরী নির্মাণশৈলী এতে সুস্পষ্ট। মসজিদটির পূর্ব দেয়ালে ১১টি বিরাট আকারে খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে। মধ্যের দরজাটি অন্য সব দরজার চেয়ে  বেশ বড়। উত্তর এবং দক্ষিণ দেয়ালে  দরজা রয়েছে ৭ টি করে। মসজিদের  চার কোণে চার টি মিনার রয়েছে । 




 নকশা

 ✅এগুলোর  সব নকশা হলো গোলাকার এবং উপরের দিকে সরু হয়ে গেছে। এদের কার্ণিশের কাছে বলয়াকার ব্যান্ড ও চূঁড়ায় গোলাকার গম্বুজ আছে। মিনারগুলোর উচ্চতা, ছাদের কার্নিশের চেয়ে বেশি। সামনের ২টি  মিনারে প্যাঁচানো সিঁড়ি রয়েছে  এবং সেখান থেকে আজান দেওয়ার ব্যবস্থা আছে । এদের ১টির  নাম রওশন কোঠা এবং  অপরটির নাম হলো আন্ধার কোঠা। মসজিদের ভেতরে ৬০টি স্তম্ভ কিংবা পিলার রয়েছে । সবগুলো মধ্যে  উত্তর এবং দক্ষিণে ৬ সারিতে অবস্থিত এবং প্রত্যেক সারিতে ১০টি করে স্তম্ভ আছে। 




 ✅প্রতিটি স্তম্ভই পাথর কেটে বানানো, শুধু ৫টি স্তম্ভ বাইরে থেকে ইট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই ৬০টি স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের ওপর তৈরি করা হয়েছে গম্বুজ। মসজিদটির নাম ষাট গম্বুজ ৬০ গম্বুজ মসজিদ হলেও এখানে গম্বুজ মোটেও ৬০টি নয়,বরং গম্বুজ সংখ্যা ৭৭টি। ৭৭টি গম্বুজের মধ্যে ৭০ টির উপরিভাগ গোলাকার এবং পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজা ও পশ্চিম দেয়ালের মাঝের মিহরাবের মধ্যবর্তী সারিতে রয়েছে যে সাতটি গম্বুজ সেগুলো দেখলে মনে হবে বাংলাদেশের চৌচালা ঘরের চালের মতো।


আরো পড়ুনঃ গাজীপুরের ইতিহাস।


  ✅মিনারে গম্বুজের সংখ্যা ৪ টি ।এ হিসেবে গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৮১ তে । তবুও এর নাম হয়েছে ষাটগম্বুজ। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, সাতটি সারিবদ্ধ গম্বুজ সারি আছে বলে এ মসজিদের সাত গম্বুজ এবং তা থেকে ষাটগম্বুজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০ টি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই নাম ষাটগম্বুজ হয়েছে। 


মসজিদের ভেতর


 ✅মসজিদের ভেতরে পশ্চিম দেয়ালে ১০টি মিহরাব আছে। মাঝ খানের মিহরাব টি আকারে অনেক বড় ও কারুকার্যমন্ডিত। এই মিহরাবের দক্ষিণে ৫টি এবং  উত্তরে ৪টি মিহরাব রয়েছে । শুধু মাঝ খানের মিহরাবের ঠিক পরের জায়গাটিতে উত্তর পাশের যেখানে ১টি মিহরাব থাকার কথা সেখানে আছে ১টি ছোট দরজা। 


 ✅কারো কারো মতে, খান-ই-জাহান এই মসজিদটিকে নামাজের কাজ ছাড়াও দরবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন, আর এই দরজাটি ছিল দরবার ঘরের প্রবেশ পথ। আবার কেউ কেউ বলেন, মসজিদটি মাদরাসা হিসেবেও ব্যবহৃত হত।ইমাম সাহেবের বসার জায়গা হিসেবে রয়েছে মিম্বার।


আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।

বিজ্ঞান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি প্রশ্ন/উত্তর

বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ

বাংলা ব্যাকরণ. ধ্বনিতত্ত্ব থেকে কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন/উত্তর

বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?