রোজার সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং সমাধান
প্রথমে আমরা জনবো গ্যাস্ট্রিক কিঃ
মানবদেহের পাকস্থলী তে প্রতিদিন প্রায় (1.5)দেড় থেকে (2) দুই লিটার হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরিত হয়, যার প্রধান কাজটি হচ্ছে পাকস্থলীতে খাবার পরিপাক বা হজম করতে সহায়তা করা।যদি কোনো একটি কারণে পাকস্থলীতে এই হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যায় তাহলে পাকস্থলীর অভ্যন্তরীণ যে আবরণটি তথা মিউকাস মেমব্রেনে রয়েছে এখানে প্রদাহ তৈরি হয় যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাসট্রাইটিস বা গ্যাস্ট্রিক বলে। আমদরা যখন অতিরিক্ত খাবার খেলে কিংবা অনেকটা সময় না খেয়ে থাকলে কিংবা বেশি বেশি তৈলাক্ত খাবার খেয়ে ফেলি তখন আমাদের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রাটি বেড়ে যায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি হয় যাকে আমরা গ্যাস্ট্রিকের বা গ্যাসট্রাইটিস সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে থাকি।
গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিস এর উপসর্গ গুলো কি কিঃ
👌পেটের উপরি অংশে ব্যাথা হবে।
👌বুক জ্বালাপোড়া করবে।
👌 খাবারের আগে পরে পেট ব্যাথা হতে পারে।
👌খাবার এর সময় বুকে বাঁধ পড়ার মত অনুভব হবে।
👌 ঢেকুর আসবে।
👌 বমি বমি ভাব থাকবে, এবং খাবারের চাহিদা কমে যাবে।
👌 অল্প খাবারেই পেট ভরে গেছে মনে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে একজন…………
👉রমজানে ইফতারির সময় যা মেনে চলতে হবে :
👍 রমজানে ইফতারিতে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার যথা পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি যতটুকু সম্ভব পরিহার করতে হবে।
👍 আমরা একসাথে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলি এটি করা যাবে না।
👍 রমজানে ইফতারীতে ইসুপগুলের শরবত, ডাবের পানি, ইত্যাদি খাওয়া পারেন ।
👍 শর্করা জাতীয় খাবার যথা খেজুর, পেয়ারা, ছোলা, ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
👍রমজানে ইফতারিতে অল্প পরিমাণ খাবার খাবেন। প্রয়োজনে মাগরিবের নামাজ এর পড় রাতের খাবার খেয়ে নিবেন।
👍 এছাড়া রমজান রোজার সময় গ্যাস্ট্রিকের বা গ্যাসট্রাইটিস থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য রাতের খাবার অথবা সেহরি দুই ক্ষেত্রেই শোবার ১ ঘন্টা আগে খাবার শেষ করে নিতে পারেন।
👍 টক জাতীয় ফলে সাইট্রিক এসিডও থাকে। তাই টক ফল সাবধানতার সাথে খেতে হবে।
👍 টমেটোতে প্রচুর পরিমান সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড থাকে এবং এটা পাকস্থলীতে ইরিটেশন করে তাই টমেটো বেশী পরিমাণ না খাওয়াই ভাল।
👍 ঝাল জাতীয় খাবার গুলো পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিকের বা গ্যাসট্রাইটিস পরিমান বাড়িয়ে দেয় তাই অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করে চলতে হবে।
👍 চা, কফি ইত্যাদি পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ক্ষরণের পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দেয় তাই রোজার সময় চা, কফি ইত্যাদি পানাহারের পরিমান কমানো উচিত।
👉রমজানে সেহরির সময় যা করণীয়:
💨দেরিতে সেহরি খাবেন এই কথাটি বলার কারণ হচ্ছে সেহরি করে ফজর নামাজ পরে নেয়া যায় এবং নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে নেয়ো যায় তাতে খাবার পরিপাকে সহায়তা করে।
এবং গবেষণাং দেখা গেছে যে যদি কেউ ফজরের সময় হবার ১-২ ঘন্টা আগে সেহরি করে ফেলে তাহলে সে তো আর সেহরি শেষ করে নেয়ার পর তো ২ ঘন্টা বসে থাকবেনা বরং শুয়ে পরবে এবং ঘুমিয়ে পড়বে আর খাবার খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে যাওয়া এসিডিটির উল্লেখ্য যোগ্য একটি অন্যতম কারণ। তাই দেরিতে সেহরি করা সুন্নাত আর সেহরি করে নামাজ পড়ে তারপর ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্যঅনেক উপকারী।
👉 আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে আমরা সেহরির খাবারেও ঐ সকল জিনিস পরিহার করা উচিত যা পাকস্থলীতে এসিডিটি করে। যেমন চর্বি,তেলে ভাজা , চা কফি জাতীয় খাবারইত্যাদি।
✌যাদের পূর্ব থেকেই এসিডিটি কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের করণীয় কী?
👉👉যারা পুরাতন এসিডিটির সমস্যা কিংবা গ্যাস্ট্রিক রোগ রয়েছে তারা গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ খেতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এবং রোযা রাখতে পারবেন তবে সাথে সাথে ওপরের যে সকল নিয়মগুলি বলা হয়েছে তা মেনে চলতে হবে।
👉গ্যাস্ট্রিক এর কয়েক ধরনের ঔষধ রয়েছে তার মধ্যে এন্টাসিড, ওমিপ্রাজল,ইসোমিপ্রাজল, কিংবা ল্যান্সোপ্রাজল ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
👉 সিরাপ জাতীয় পাউডার জাতীয় রয়েছে যেমন এন্টাসিড প্লাস সিরাপ সন্ধ্যায় খাবারের পরে খাওয়া যায় আর ল্যান্সোপ্রাজল ক্যাপসুল ভোর রাত্রে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ল্যান্সোপ্রাজল এর কার্যকারীতা দীর্ঘসময় থাকে। এছাড়া ওমিপ্রাজল,ইসোমিপ্রাজল পাউডার পাওয়া যায় এগুলো আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে গ্রহন করতে পারেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ।
👉তার পরও যদি কোন সমস্যা বা মেডিসিন নেওয়ার পরেও যদি কারো রোজা রাখতে বেশি কষ্ট হয় অথবা যদি প্রচণ্ড বুকে ব্যাথা উঠে তাহলে তার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে রোজা ভঙ্গ করার সুযোগ রয়েছে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
ওজন কমাতে সাহায্য করবে এমন ৮টি অভ্যাস
মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।
হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।