ডিজিটাল মুদ্রা আসলে কী? কীভাবে কাজ করে?
📀দিন দিন সবকিছুতেই আসতে শুরু করেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। সেই ছোঁয়াকে আরও বাড়িয়ে দিতে এবার সরকার ভাবছে ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলনের কথা। যা বিশ্বে অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে এ ডিজিটাল মুদ্রা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ডিজিটাল এ মুদ্রা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করার কথা ভাবছেন।
👉 অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রা চালুর মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল লেনদেনের অর্থ আদান-প্রদান সহজ করা এবং স্টার্টআপ ও ই-কমার্স ব্যবসাকে উৎসাহ দেয়া। এসব কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা নিয়ে একটি ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে ।এজন্য বাজেট ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
👉বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিটকয়েন, লাইটকয়েন, এথেরিয়াম, রিপলের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশে এগুলো এখনো বৈধ নয়।
📀ডিজিটাল এসব মুদ্রা লেনদেন হয় টাকা বা কাগজের নোটের মতো। যা দৃশ্যমান নয়। তবে এখন যেসব ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে সেগুলোর কার্যত কোন কর্তৃপক্ষ নেই এবং যে কান জায়গা থেকে যে কোন ব্যক্তি যে কোন সময় এর লেনদেন করতে পারেন। অর্থাৎ পুরো বিষয়টি হয় যে কোন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যদিও কোন কোন দেশ এখন খতিয়ে দেখছে যে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে কীভাবে একটি মনিটরিংয়ের আওতায় আনা যায়।
ডিজিটাল মুদ্রা আসলে কী?
📀২০০৯ সালের দিকে প্রথমে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে এসেছিলো হলো বিটকয়েন ও এক পর্যায়ে এই বিটকয়েনের দাম অনেক বেড়ে দাড়িয়েছিলে ৬০ হাজার ডলারএর বেশি। কিন্তু এর লেনদেন বিনিময় হার ও আইনগত ভিত্তি না থাকার কারনে বড় বড় প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার এই মুদ্রা নিয়ে। এই জন্যেই এখন আলোচনায় এসেছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু করা যায় না কি?
🌆কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে কাগজের নোট কিংবা মুদ্রা সরবরাহ করে হয়।তা মার্কেটে মানুষের পকেটে থাকে ও সেটি দেখা যায়। কিন্তু ডিজিটাল মুদ্রা কখনো দৃশ্যমান হবে না। অনেকটা বিকাশ এবং নগদে যেমন ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা থাকে, ডিজিটাল মুদ্রাও তেমনি থাকবে। তবে নগদে বা বিকাশে যেমন ক্যাশ টাকাটা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা এজেন্টকে দিয়ে আনাতে হয়- এখানে তা হবে না। এখানে শুরু থেকেই সব ডিজিটাল হবে।
🌇অর্থাৎ হয়তোবা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১০০ টাকা ইস্যু করবে। এর মধ্যে ৭০ টাকা কাগজের নোট এবং বাকী ৩০ টাকা ডিজিটাল হবে।এখন কেউ যদি কাগজের নোট সংগ্রহ করে পকেটে রাখতে পারবে তেমনি ওই ৩০ টাকা থেকে ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে তার অ্যাকাউন্ট বা ডিজিটাল ওয়ালেটে রাখতে পারবে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার আপডাউন করে কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু করলে সেটি টাকার মতোই ব্যবহার হবে।
📀অর্থাৎ একশ’ টাকার কাগজের নোটের যে ব্যবহার ও মান, ঠিক সেই একই ব্যবহার হবে একশ’ টাকার ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রেও। কাগজের নোটের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রার একটি অ্যাসেট ব্যাকআপ থাকবে। যার কারনে বাজারে যে টাকা আসে ওই টাকার বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যেমন রিজার্ভ কিংবা সোনা থাকে ওই রকমি হবে ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রেও।
লেনদেন কীভাবে করা যাবে
📀ডিজিটাল মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইস্যু করলেও এর জন্য একটি ইকো সিস্টেম দরকার হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ টাকার মতোই সব কাজে সব জায়গায় এই ডিজিটাল মুদ্রা দিয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ থাকতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার একজন মুদি দোকানীকেও সেটি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। অর্থাৎ এটা হবে কাগজের নোটের মতো সার্বজনীন। শুধু ব্যবহারটা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
📀তবে ডিজিটাল মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হবে বাজার ও জনসাধারণকে প্রস্তুত করা। বাংলাদেশে বিকাশকে গ্রহণ করাতেই দশ বছর লেগেছে। তাই ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে দরকার হলে আরও সময় নিতে হবে।
📀ডিজিটাল মুদ্রা চালু হওয়ার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি কাজ করা শুরু করবে গ্রাহকের সাথে।সেই ক্ষেত্রে এই সময় যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহকের সাথে সরাসরি কাজ করে তাদের তখন ভূমিকাটা কী হবে সেই টাও দেখার ব্যাপার হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কাগজের নোট কি থাকবে না?
ল্যাপটপ কম্পিউটার কি? ল্যাপটপ কম্পিউটার ইতিহাস।
📀এখন মুদ্রা আছে তিন ফরম্যাটে- কাগজের মুদ্রা, ই-মানি (মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস), ক্রিপ্টোকারেন্সি (বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রা)। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিজেদের মুদ্রা ডিজিটাল ফরম্যাটে আনলে সেটি হবে বৈধ ডিজিটাল মুদ্রা।
👴বিশেষজ্ঞরা বলছেন তা হলো ডিজিটাল মুদ্রা কখনো চালু হলে তার আগে নানান প্রশ্নের জবাব খুজতে হবে। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে। কিন্তু সেই ডিজিটাল মুদ্রা এলে কাগজের কোনো মুদ্রা থাকবে না এমনটি কেউই মনে করতেছেন না।
দেশের সব মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই তারা কিভাবে ডিজিটাল মুদ্রা পাবে ।
📄কাগজের মুদ্রা বিদায় হবে বলে মনে হয় না। বরং দুটিই সমান্তরালভাবে চলতে পারে। যাতে করে মানুষ ডিজিটাল মুদ্রা নগদে রূপান্তর করতে পারে, সেই সুযোগও থাকবে। আর ডিজিটাল মুদ্রা করার আগে বাজার এবং মানুষকে ব্যাপকভাবে প্রস্তুত করতে হবে।
📀ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে সাইবার নিরাপত্তা। কেননা, ডিজিটাল মুদ্রা হ্যাক হলে সেই অর্থ কি আর ফেরত পাওয়া যাবে কিংবা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে টাকা চুরি হলে তার নিয়ন্ত্রণ কিভাবে হবে?
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ।
🌍বাংলাদেশে করোনার সময় সরকার উপবৃত্তির জন্য যে টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে দিয়েছে সে টাকা অনেক শিক্ষার্থীর অগোচরে অন্যরাও তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
📀ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহারের জন্য মানুষ ইন্টারনেটে যুক্ত হবে ও পাবলিক নেটওয়ার্কে থাকবে। কিন্তু সেখানে সাইবার নিরাপত্তা কতভাবে লঙ্ঘিত হতে পারে সেটি আগে যাচাই করে দেখতে হবে। ঝুঁকিগুলো সঠিকভাবে নিরূপণ করতে হবে।
📀ডিজিটাল ওয়ালেট বা লেনদেনের বিষয়টি প্রযুক্তিগতভাবে দেখভাল করাটাও চ্যালেঞ্জের বিষয় হবে এবং সবাইকে নিজের ওয়ালেট ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। এগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকতে হবে। প্রসঙ্গত, বিকাশ বা নগদের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন গোপন না রাখার কারনে অনেক মানুষের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বহূবার।
📄কাগজের মুদ্রার সঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রার পার্থক্য হলো ফরম্যাটে। দুটির লেনদেন ও ব্যবহার পদ্ধতি ভিন্ন। তবে ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে আরও পরিপক্ব হতে হবে। সবাইকে সেটি গ্রহণ করতে হবে। এ পরিবেশ যতদিন তৈরি না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত ডিজিটাল মুদ্রা চালু করা যাবে না।
👉অন্যদিকে চীন পাইলট প্রজেক্ট শেষ করে সব প্রস্তুত করলেও এখনো ডিজিটাল মুদ্রা ইস্যু করেনি। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো কিছু দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সিকে মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও অ্যাসেট হিসেবে মর্যাদা দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে কারেন্সি এবং অ্যাসেট কোনোভাবেই এটি বৈধ হবে না।
Chat GPT কী ? কীভাবে কাজ করে চ্যাট জিপিটি ?
👉তবে ঘানা এবং জ্যামাইকা যততাড়াতাড়ি ডিজিটাল মুদ্রা চালু করবেন। সুইডেন পাইলট সম্পন্ন করেছে কিন্তু এখনো চালু করেনি। ক্যানাডা পাইলট এখনই চালু করবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও তারা নতুন ভাবে এই নিয়ে গবেষণা করবে বলে জানিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রায় কী লাভ হবে।
📀ডিজিটাল মুদ্রায় সব ধরনের পেমেন্ট এবং যে কোন লেনদেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা যাবে। ফলে সাধারণ মানুষের লেনদেনজনিত ব্যয় কমবে। টাকা ছাপানোর পর বিতরণেও হয়ে থাকে বিপুল খরচ। ডিজিটাল মুদ্রা চালু হলে এইসব খরচ বেঁচে যাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর।
👉এসব সুবিধার কারণেই বিশ্বজুড়ে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে চিন্তা শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
ইলেকট্রনিকস পাসপোর্টের (ই-পাসপোর্ট) কি?
বাটন ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক সহ আরও অনেক সুবিধা!
Chat GPT কী ? কীভাবে কাজ করে চ্যাট জিপিটি ?
ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ।
টেলিফোন আবিষ্কারের ইতিহাস এবংউদ্ভাবন ও এর বিকাশ।
টেলিগ্রাম বা টেলিগ্রাম অ্যাপ কি এবং এর ইতিহাস এবং সুবিধা ও অসুবিধা।
ল্যাপটপ কম্পিউটার কি? ল্যাপটপ কম্পিউটার ইতিহাস।
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস কি,কবে এবং কীভাবে পালিত হয়।
গাজীপুর জেলা ইতিহাস এবং দর্শনীয় স্থান।
বিজ্ঞান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ ৫০ টি প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ
বাংলা ব্যাকরণ. ধ্বনিতত্ত্ব থেকে কিছু গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন/উত্তর
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?