স্তন ক্যান্সার
স্তন্য ক্যান্সার কাদের হয়
👩স্তন্য ক্যান্সারে মহিলাদের মৃত্যুর হার সব থেকে বেশি। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি হয়ে থাকে। আশ্চর্যজনক ব্যাপারটা হলো এতোদিন এই ক্যান্সারের ব্যাপারে মহিলাদের সচেতন করার জোরটা ছিল বেশি, কিন্তু এখন পুরুষদেরকেও সচেতন করার জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
👦কারণ, পুরুষদের মধ্যেও স্তন্য ক্যান্সার দেখা দিতে পারে। যদিও পুরুষদের স্তন্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার খুবই কম। একটা হিসেবে দেখা যায় যে যুক্তরাজ্যে প্রতি বছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে । সে তুলনায় শুধু মাত্র ৩০০ জন পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। স্তনের কোনো জায়গায় চাকা চাকা হয়ে যাওয়া কিংবা কোন লাম্প দেখা যাওয়া।
লক্ষণ
১. স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন
২. স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন
৩. স্তনবৃন্ত হতে রক্ত কিংবা তরল পদার্থ বের হলে
৪. স্তনবৃন্তের আশেপাশে রাশ বা ফুসকুড়ি দেখা যাওয়া
৫. বগলে ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেয়া
৬. স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা কিংবা শক্ত হয়ে যাওয়া
🍚স্তন ক্যান্সার বিভিন্ন গ্রেডিং সিস্টেম দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এই প্রতিটি প্রজনন প্রভাবিত করে এবং চিকিৎসা প্রতিক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারে। স্তন ক্যান্সারের বর্ণনাটি সর্বোত্তমভাবে এই সমস্ত কারণগুলি অন্তর্ভুক্ত করে।
হিস্টোপ্যাথোলজি
👩হিস্টোপ্যাথোলজি। স্তন ক্যান্সার সাধারণত প্রাথমিকভাবে তার হিস্টোলজিকাল দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। সর্বাধিক স্তন ক্যান্সার ডাক্তস বা লোবিঊলস আচ্ছাদিত ইপেথেলিয়াম, থেকে উদ্ভূত হয়, এবং এই ক্যান্সার ডাক্টাল বা লোবুলার কারসিনোমা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
👰 বসন্তের কার্সিনোমা নিম্নমানের ক্যান্সারযুক্ত বা প্রিন্স্যান্সার কোষগুলির বৃদ্ধি বিশেষ টিস্যু কোষের অভ্যন্তরে যেমন পার্শ্ববর্তী টিস্যু আক্রমণ না করে স্তন্যপায়ী নল।
বিপরীতে, আক্রমণকারী কার্সিনোমা প্রাথমিক টিস্যু কোষে নিজেকে সীমাবদ্ধ করেনা ।৫০ হতে ৭০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রতি ৩ বছর পর পর ব্রেস্ট স্ক্রিনিং কিংবা ম্যামোগ্রাম করানো দরকার । ম্যামোগ্রাম হচ্ছে এক্স রের মাধ্যমে মহিলাদের স্তনের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা ।
প্রাথমিক অবস্থায়
👉সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার এতো ছোট হয় যে বাইরে থেকে সেটা বোঝা অসম্ভব হয় ।কিন্তু ম্যামোগ্রামের, মাধ্যমে অনেক ছোট থাকা অবস্থাতেই বা প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার নির্নয় করা যায়।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে ক্যান্সার থেকে সুস্থ্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রচুর থাকে। আর এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে। ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
🌰স্তন ক্যান্সারে যতোজন আক্রান্ত হন তাদের ৮০ ভাগেরই বয়স হচ্ছে ৫০-এর ওপর। সেই সাথে যাদের পরিবারে কারোর স্তন ক্যান্সার রয়েছে তাদেরও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে কিছু কিছু জিনগত পরিব্যক্তিও অনেকসময়েই দায়ী হয়ে থাকে। এমনকি সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫-১০% স্তন ক্যান্সার জিনগত পরিব্যক্তির কারণেই হয়ে থাকে।
ডাক্তারি মতামত
💊ডাক্তারি মতে, যেসব মহিলাদের মায়েদের ৫০ বছরের আগেই স্তন ক্যান্সার ধরা পরেছে এদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা ১.৭% বৃদ্ধি পায় যেখানে এই সংখ্যাটি নেমে ১.৪ % হয়ে যায়।ঐ সব নারীদের ক্ষেত্রে যাদের মায়েদের স্তন ক্যান্সার ৫০ বছর কিংবা তারপরে গিয়ে ধরা পরেছে।
আবার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যেসব মহিলাদের আত্মীয়দের মধ্যে স্তন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে শূণ্য, এক বা দুই সেইসব ক্ষেত্রে তাদের ৮০ বছরের আগে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা যথাক্রমে ৭.৮%, ১৩.৩% এবং ২১.১%।
🍚শুধু তাই নয় এসব ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুহারের পরিমাণ যথাক্রমে ২.৩%, ৪.২% এবং ৭.৬%। এমনকি যেসব মহিলাদের ফার্স্ট ডিগ্রী আত্মীয়দের মধ্যে যদি কারোর স্তন ক্যান্সার ধরা পরে তবে তাদের ৪০-৫০ বছরের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা সাধারণ মানুষের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ৫% এর কম ক্ষেত্রে দেখা যায় যে জিনগত পরিব্যক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের কার্যকরী উপায়
১. স্তনের সচেতনতার জন্য স্তনের স্ব-পরীক্ষার করা।
২. মহিলাদের বুকের দুধ খাওয়ানো এবং মাসিকের পরে এইচআরটি ব্যবহারের জন্য বিকল্পগুলি বিবেচনা করা উচিত, কারণ এগুলিও ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৩. দৈনন্দিন জীবনে শত ব্যস্ততার মধ্যেও ব্যয়াম করা। প্রতি সপ্তাহে অন্তত পাঁদিন ব্যায়ম করলে স্তন ক্যান্সসের ঝুঁকি কমানো যায়।
৪. এটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয় খাবরের তালিকাতে সুষম ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তেলযুক্ত খাবার ও জাংক ফুড বর্জন করুন। ক্যান্সার প্রতিরোধে মাছ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ভালো।
৫. হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারন। তাই ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে থেরাপি ব্যবহার না করাই ভালো।
৬. শরীরের ওজন একটি অন্যতম বিষয়। সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকতে হলে শরীরের ওজন ঠিক রাখা উচিৎ।
৭. স্তন ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মহিলাদের জন্য প্রতিরোধমূলক অস্ত্রোপচারও একটি বিকল্প।
৮. অ্যালকোহল বা মদ পানে বিরত থাকা।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।