এলার্জির কি? কারণ,লক্ষণপ্রতিকার ও প্রতিরোধ এবং চিকিৎিসা।
👉এলার্জি কথাটি খুব কমন একটা সমস্যা। এটি সব বয়সেই হয়ে থাকে। আজকে এই অধ্যায় এই এলার্জি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
এলার্জির
কারণ
👥দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্ষতিকর জিনিস থেকে আমাদেরকে সুরক্ষা দেয়। তবে মাঝে মাঝে কিছু জিনিসকে এটি ভুলে ক্ষতিকর ভেবে বসে, যা আসলে এতটা ক্ষতিকর নয়। এসব জিনিসের বিরুদ্ধে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়াযটিয় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন: চামড়া লাল হওয়া ও চুলকানি হওয়া।
সাধারণত যে সকল জিনিসের সংস্পর্শে আসলে শরীরে এলার্জি দেখা দেয় নিম্মে দেওয়া হল—
- কিছু নির্দিষ্ট খাবার
- ধুলাবালি
- গরম অথবা ঠান্ডা আবহাওয়া
- ঘাম
- গৃহপালিত পশু-পাখি
- পরাগ রেণু ও ফুলের রেণু
- সূর্যরশ্মি
- ডাস্ট মাইট
- মোল্ড বা ছত্রাক
- বিভিন্ন ঔষধ
- কীটনাশক
- ডিটার্জেন্ট ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ
- এক ধরনের রাবারের তৈরি গ্লাভস ও কনডম বা ল্যাটেক্স
- স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
নিম্মে এলার্জি জাতীয় খাবারের তালিকা দওেয়া হল
- চিংড়ি
- বেগুন
- ইলিশ মাছ
- গরুর মাংস
- বাদাম
তাছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ডিম ও দুধেও এলার্জি হতে পারে।
👪 মানুষ ভেদে বিভিন্ন কারণে এলার্জি হতে পারে কারো কারো খাবারের কারণে, আবার কারো বিভিন্ন জিনিসের সংর্ম্পশে আসলে হয়। তাই কোন কারণে হচ্ছে সেটি খঁজে বের করে সচেতন থাকলে ভাল থাকা সম্ভব।
এলার্জির যে সকল লক্ষণসমূহ পাওয়া যায়
👤শরীর এলার্জিক উপাদানের সংস্পর্শে আসার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এলার্জির লক্ষণগুলো হলো—
- শরীরের চামড়ায় চুলকানি, র্যাশ বা ফুসকুড়ি হওয়া।
- সমস্ত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চাকা চাকা হয়ে বা ফুলে যাওয়া, ফোস্কা পড়া ও চামড়া ঝরে যায়।
- শরীরে ঠোঁট, জিহ্বা, এবং চোখ ও মুখ ফুলে যাইতে পারে।
- এছাড়া চোখ থেকে পানি পড়বে, চোখে চুলকানি হবে, লাল হবে ও ফুলে যাবে।
- আবার শুকনো কাশি হবে, হাঁচি হবে, নাকে ও গলায় চুলকানি হবে ও নাক বন্ধ হতে পারে।
- এছাড়া শ্বাসকষ্ট হতে পারে, বুকে চাপ চাপ লাগা পারে ও শ্বাস নেওয়ার সময়ে শোঁ শোঁ শব্দ হতে পারে।
- মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হতে পারে, বমি, পেট ব্যথাহতে পারে, পেট কামড়ানো ও ডায়রিয়াহতে পারে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
নিচের তিনটি ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ—
- ঔষধ খেয়ে ও যখন কোন কাজ হবে না।
- ঔষধ খাওয়ার পর ও যখন নতুন লক্ষণ দেখা দিবে।
- এলার্জি যখন মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
মারাত্মক এলার্জিক প্রতিক্রিয়া যখন হয়
👺মারাত্মক এলার্জিক উপাদানের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া থেকে খুব অল্প কিছু ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস নামক একটি জরুরি অবস্থা তৈরি হতে ও পারে। এ সময় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে না পারলে রোগীর মৃত্যু হতে ও পারে। এমন রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠাতে হবে। যথা সময়ে একটি ইনজেকশন দিলেই রোগীর জীবন বাঁচানো যাবে।
যেভাবে বুঝতে পারবেন অ্যানাফিল্যাক্সিস হচ্ছে কি না —
- শ্বাসকষ্ট হবে এবং শ্বাস নেওয়ার সময়ে শোঁ শোঁ শব্দ হবে।
- বুক-গলা আঁটসাঁট হয়ে আসছে মনে হবে।
- মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা অথবা গলা ফুলে যাওয়া।
- ঠোঁট ও ত্বক নীল হয়ে যাওয়া।
- জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অনুভূতি হবে কিনবা পুরোপুরি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
- বিভ্রান্তি ও দুশ্চিন্তা
- মাথা ঘুরানো অথবা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
- বুক ধড়ফড় করবে অথবা শরীর ঘামে ভিজে যেতে পারে।
- চামড়ায় চুলকানি হতে পারে তার সাথে সাথে লাল লাল ফুসকুড়ি বা র্যাশ হতে পারে।
- শরীর এর বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া উঠে আসতে পারে অথবা ফোস্কা পড়তে পারে।
👀এলার্জি যুক্ত খাবার এবং ঔষধ, ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত কন্ট্রাস্ট কিংবা ডাই এবং পোকামাকড়ের কামড়ানো থেকে অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে ও পারে।
এলার্জির চিকিৎসা কি
- প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় কিছু বিধিনিষেধ মেনে চললে এলার্জি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ঘরোয়া প্রতিকার ও জীবনযাত্রামান
🍨যে খাবার ও ঔষধে এলার্জি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলবেন। হাঁপানি অথবা শ্বাসনালীর অন্য কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মোকাবেলায় শারীরিক ব্যায়াম, যোগব্যায়াম ও শ্বাসের ব্যায়াম করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়।
ঔষধগুলো কি কি
👉 আমরা এলার্জির চিকিৎসায় প্রধানত অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। এগুলো এলার্জির লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে—এমনকি লক্ষণ দেখা দেওয়ার পূর্বেও সেবন করা হয়। যেমন, কারও যদি ধুলাবালিতে এলার্জি থাকে এবং বিশেষ প্রয়োজনে তার ধুলাবালি পরিষ্কার করতে হয়, সেক্ষেত্রে আগেই অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করে নিয়।
👉এসবগুলো ঔষধ বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। যেমন: ট্যাবলেট, সিরাপ ও ড্রপ। উল্লেখ্য, এলার্জির কিছু ঔষধ সেবনের পরে ঘুম ঘুম লাগা ও মাথা ঝিম ঝিম করার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই যদি এধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে উপযুক্ত ঔষধটি বেছে নিতে হবে।
👉 যদি নাক বন্ধের সমস্যায় ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন
অনুযায়ী নাক বন্ধের ড্রপ ও স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ড্রপ ও স্প্রেগুলো এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যবহার করবেন না। এক ধারে দীর্ঘ সময় এক ভাবে ব্যবহারে এলার্জির লক্ষণ আবার ফিরে আসতে পারে।
👉আবার ত্বকের এলার্জিতে বিভিন্ন ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও মলম ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলকানির সমস্যায় ক্যালামাইন লোশন ও ১% মেন্থল ক্রিম খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়াও তোয়ালেতে বরফ পেঁচিয়ে চুলকানির স্থানে ঠান্ডা সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
👉মারাত্মক গুরুতর এলার্জিতে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে। স্টেরয়েড খুবই শক্তিশালী ঔষধ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও বেশি। তাই ইন্টারনেট দেখে কিংবা ফার্মেসি থেকে নিজে নিজে এসব ঔষধ কিনে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কেবল ডাক্তারের পরামর্শক্রমেই নিয়ম মেনে এই ধরনের ঔষধ সেবন করা উচিত।
ইমিউনোথেরাপি কি
✌ ইমিউনোথেরাপি মারাত্মক গুরুত্বর এলার্জির জন্য একটি কার্যকরী চিকিৎসা বলা যায়। এই চিকিৎসাটিতে রোগীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের উপস্থিতিতে অভ্যস্ত করে তোলা হয়ে থাকে। এর ফলে যেটি হয় সেটি হল পরবর্তীতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে সেই অ্যালার্জেনের প্রতি পূর্বের মতো তীব্র প্রতিক্রিয়া তেমন একটা হয় না। ফলে লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে আসে বলে বলা যায়।
👉উপরুক্ত আলোচিত মারাত্মক এলার্জিক প্রতিক্রিয়া বা অ্যানাফিল্যাক্সিস হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অ্যানাফিল্যাক্সিস এর লক্ষণ দেখা দিলে রোগীর ঊরুর বাইরের দিকে তাৎক্ষণিক একটি ইনজেকশন দিতে হয়। এই ইনজেকশনে অ্যাড্রেনালিন
নামক জীবন রক্ষাকারী একটা হরমোন থাকে। এটি মৃত্যুঝুঁকি
কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
এলার্জি প্রতিরোধ কি কি
👋 এই এলার্জি থেকে মুক্ত থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো যেসব বস্তুতে এলার্জি রয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চলা। এলার্জি প্রতিরোধে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন—
- এলার্জি ঘটায় এমন খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।
- বাসার গৃহপালিত পশু-পাখির বাসস্থান বাড়ির বাইরে তৈরি করতে হবে এবং তাদের নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে।
- আমাদের বাসা-বাড়িতে ডাস্ট মাইট নামক এক প্রকার অতিক্ষুদ্র পোকা থেকে এলার্জি প্রতিরোধ করতে বাড়ির যে জায়গাগুলোতে বেশি সময় কাটানো হযে থাকে সেগুলো ধুলামুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিছানার চাদর, কাঁথা, বালিশ ও লেপের কভার, জানালার পর্দা—সবগুলো সপ্তাহে অন্তত একবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে । যেসব জিনিস নিয়মিত ধোয়া যায় না সেগুলো বাসায় যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই মনে হয় ভালো। যেমন: কার্পেট ইত্যাদি।
- এ ছাড়া বিছানা গোছানো ও ঝাড়া-মোছা করার সময়ে ভালো একটা মাস্ক পড়া যেতে পারে। যেসব জিনিস ভেজা কাপড় দিয়ে মোছা যায় সেগুলো ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। এতে ধুলা ছড়াবে না বরলই চলে।
- বাড়ির পরিবেশ ছত্রাক বা মোল্ড থেকে সুরক্ষার জন্য শুষ্ক রাখুন। পাশাপাশি বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা রাখতে হবে। ঘরের ভেতর কাপড় শুকানো থেকে বিরত থাকতে হবে এবং গাছ থাকলে সেটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
- আবার গরম বা ঘাম থেকে এলার্জি হতে পারে। তাই খুব পরিশ্রম করার পর শরীর গরম হলে বা ঘেমে গেলে বাতাস চলাচল করছে এমন স্থানে থাকুন এবং ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করতে হবে।
- এছাড়া ঠান্ডা থেকেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে। এমন হলে বৃষ্টিতে ভেজা ও পুকুরে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গোসলের সময়ে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
- নির্দিষ্ট কিছু ধাতুতে কারো কারো এলার্জি থাকতে পারে। তাই এসকল ধাতুর তৈরি আংটি, গয়না ও ঘড়ি পরলে এলার্জি হতে ও পারে। নির্দিষ্ট কোনো ধাতুতে আপনার এলার্জি থাকলে দৈনন্দিন জীবনে সেই ধাতুর তৈরি জিনিস ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে পারেন।
- ফুলের সকলেই ভাল বাসে কিন্তু আপনি কি জানেন এই ফুলের পরাগ রেণুতে এলার্জি হতে পারে। এলার্জি প্রতিরোধের জন্য ঋতু পরিবর্তনের সময়ে যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে থাকার চেষ্ঠা করতে হবে। বাইরে গেলেও ঘরে ফিরে কাপড় পাল্টে নিতে হবে অথবা গোসল করে ফেলুন, যাতে পরাগ রেণু ধুয়ে চলে যায়। সম্ভব যদি হয় তাহলে ঘরের ভেতরে জামা-কাপড় শুকোতে দিতে পারেন। তবে ছত্রাক যেন না জন্মে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। এ ছাড়া যে স্থানে ঘাসের পরিমাণ বেশি সেখানে হাঁটা-চলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- বিভিন্ন প্রসাধনীতে থাকা বিভিন্ন কেমিক্যালে এলার্জি থাকতে পারে। যেমন: সাবান, শ্যাম্পু, ফেইসওয়াশ ও সুগন্ধিতে থাকা কেমিক্যাল। তাই যেসব পণ্যে এলার্জি হয় সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরীক্ষাসমূহ ও রোগনির্ণয়
🧪 পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয় এর মধ্যে এলার্জির কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসক বিভিন্ন প্রশ্ন ও শারীরিক পরীক্ষা করবেন। তা ছাড়া অন্য কোনো রোগের কারণে এলার্জির মতো লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখে নিতে হবে।
মূলত এলার্জি শনাক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ
পরীক্ষাগুলো নিম্মে দেয়া হলো—
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা
👪আমাদের যে সকল খাবারে সাধারণত এলার্জি হয় সেগুলো খাদ্যাভ্যাস থেকে বাদ দিয়ে দিলে ভাল হয় । পরবর্তীতে আবার খাবারগুলো খেতে থাকলে আবার এলার্জি শুরু হয় কিনা এলার্জি ফিরে আসে কি না তাও দেখার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত রোগী কোন ধরনের খাবার খাওয়ায় এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় সেটি বাদ দেবার পরামর্শ দেওয়া হয় বা লিখে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে করে কোন কোন খাবারে রোগীর এলার্জি সম্যসা তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়ে থাকে।
ত্বকের পরীক্ষা করা
👏যেসকল পদার্থে সংর্স্পশে এলার্জি হয় সেসবকে অ্যালার্জেন বলে হয়। ত্বকের পরীক্ষাতে অ্যালার্জেন যুক্ত অল্প একটু তরল শরীরে যে কোন অংশের ওপরে দেওয়া হয়। এরপর একটি সুঁই দিয়ে সেই জায়গায় সামান্য একটু ছিদ্র করলে যদি এলার্জি থাকে তবে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঐ স্থানটি চুলকাতে শুরু করবে এবং লাল হয়ে যাবে।
👌আরো উল্লেখ্য যে, পরীক্ষার আগে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া নাও যেতে পারে।
রক্তের পরীক্ষা করা
🩸রক্তের পরীক্ষাতে রক্তের নমুনা নিয়ে নির্দিষ্ট অ্যালার্জেন এর বিপক্ষে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
প্যাচ পরীক্ষা করা
✋প্যাচ পরীক্ষাতে শরীরে ‘কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস’
নামক এক ধরনের একজিমা বা এলার্জিজনিত চর্মরোগের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখা হয়ে থাকে।
চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা করা
👊চ্যালেজ্ঞ পরীক্ষাটি অল্প কিছু ক্ষেত্রে করা হয়। ঐ জায়গায় পরীক্ষাটি করতে হয় যেখানে গুরুতর এলার্জিক প্রতিক্রিয়া
দেখা গেলে জরুরি চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়। চ্যালেজ্ঞ পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কোনো খাবারে এলার্জি থাকলে সেই খাবারটি রোগীকে খাওয়ানোর মাধ্যমে এলার্জির প্রতিক্রিয়া
দেখা হয়। তাই খাবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানোর মাধ্যমে এলার্জিক প্রতিক্রিয়া বেড়ে যাচ্ছে কি না সেটিও দেখা নিতে হয়।
জেনে রাখা ভালো
👍 অনেক সময় দেখা যায় সেন্সিটিভিটি ও অসহনীয়তা বা ইনটলারেন্স এর সমস্যাকেই প্রাথমিকভাবে এলার্জির সমস্যা মনে হয়। আপনি যদি এলার্জি, সেন্সিটিভিটি ও অসহনীয়তার পার্থক্য জানা থাকলে চিকিৎসায় ত্রুটি এড়ানো সহজ হয়ে যায়।
- এলার্জি: সাধারণত ক্ষতি করে না এমন উপাদান শরীরে প্রবেশের পর প্রতিরোধ ব্যবস্থা থেকে তৈরি প্রতিক্রিয়ার নামই এলার্জি। যেমন: নাকে ধুলাবালি প্রবেশ করলে হাঁচি-কাশি হওয়া
- সেন্সিটিভিটি: কোনো উপাদান কারোর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেললে তাকে সেই উপাদানের প্রতি সেন্সিটিভিটি বলা হয়ে থাকে। যেমন: এক কাপ কফিতে থাকা ক্যাফেইন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করলে আপনি অনুভব করবে বুক ধড়ফড় করছে বা করতে পারে এবং শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে ও পারে।
- অসহনীয়তা: যদি কোনো উপাদানের প্রভাবে যদি শরীরে অস্বস্তিকর লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঘটনা ঘটে তাহলে ইনটলারেন্স বা অসহনীয়তা বলা হয়। যেমন: দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরে ডায়রিয়া হয়ে যাওয়া। উল্লেখ্য যে, এই ধরনের প্রতিক্রিয়ার সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সম্পর্ক কিন্তু থাকে না।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।
হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।