ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস এর প্রতিপাদ
👱ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
⛺আমাদের দেশে ডায়াবেটিস সমিতি বাডাস ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। তখন থেকেই প্রতিবছর ২৮ ফেব্রুয়ারীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।
👉আর এই রোগটি একটি মারাত্মক রোগ। যেটি আমাদের শরীরে একবার হইলে সেটা মরার আগ পয়ন্ত সারে না। তবে এই রোগটির বিরোধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
👉তবে সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে রোগীর শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই রোগটি কেন হয়, এর লক্ষণ,এই রোগটি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। চলুন তাহলে আমরা জেনে আসি এই রোগটি সম্পর্কে ।
💀 ডায়াবেটিস কী ?
💂বহুমূত্ররোগ বা ডায়াবেটিস (যা ডায়াবেটিস মেলাইটাস নামেও পরিচিত) হলো একটি গুরুতর রোগ। এটি দীর্ঘমেয়াদী একটি অবস্থা যেটি ঘটে যখন রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে।
👤শরীর এ যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদন না হলে অথবা উৎপাদিত ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার না হলে।ইহাকেই ডায়বেটিস বলে।
💀ডায়াবেটিস কত ধরনের?
👍ডায়াবেটিস মূলত ৪ ধরনের হয়ে থাকে- তার মধ্যে রয়েছে
- টাইপ-২,
- অন্যান্য ডায়াবেটিস।
👆টাইপ-১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর শরীরের উৎপাদিত সব ইনসুলিন নষ্ট হয়ে যায় বলে চিকিৎসকেরা বলেন। যদি তাদের আলাদা করে ইনসুলিন না দেওয়া হয়, তাহলে রোগী মারাও যেতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ১০ শতাংশ এই টাইপ ওয়ানে আক্রান্ত হয় থাকে।
✌অন্যদিকে যাদের শরীরে ইনসুলিন আছে, কিন্তু সেটা কোনো ভাবেই কাজ করতে পারছে না। তখন আমরা যে খাবারই খাই না কেন, সেটা আমাদের শরীরে গ্লুকোজ হিসেবে জমা হতে থাকে। আর এটাই হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস।
👌যে কোনো ব্যক্তিই এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। শরীর যখন রক্তের সব চিনিকে (গ্লুকোজ) ভাঙতে পারে না, তখনই ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যার্টাক,স্ট্রোক হতে পারে।
✋এ ছাড়াও ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি। অনেক সময় শরীরের নিম্নাঙ্গ ও কেটে ফেলে দিতে হতে পারে।
💀 ডায়াবেটিস কেন হয় ?
👉ডায়াবেটিস শব্দটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। এমন কোনো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে কোনো ডায়াবেটিসের রোগী নেই।
❓প্রশ্ন আসতেই পারে, ডায়াবেটিস কী? আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ, যা কখনই সারে না। কিন্তু এই রোগকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে করা যায়।
👱আইরিশ ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলেছেন, যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট বা সাধারণ শর্করাজাতীয় খাবার গ্রহণ করি , তখন তা ভেঙে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়।
💉ইনসুলিন হচ্ছে একধরনের হরমোন। আর এর কাজ হলো এই গ্লুকোজকে মানুষের শরীরের কোষ গুলোয় পৌঁছে দেওয়া। এরপর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করে থাকে।
👉সেই শক্তি দিয়েই দৈনন্দিন এর কাজকর্ম করে মানুষ। সুতরাং,আমরা বলতে পারি যে যখন এই গ্লুকোজ শরীরের কোষ গুলোতে পৌঁছাবে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হইবে।
👫যখন কোনো ব্যাক্তির ডায়াবেটিস হয়, তখন ওই মানুষের শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না।
👌এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। সাধারণত প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীর ঘন ঘন প্রস্রাব হয় বা করতে হয়। যখন প্রস্রাব বেশি হয়, তখন ডায়াবেটিসে ভোগা রোগী তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন।
👍অন্যদিকে, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণে রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এতে করে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করতে পারে না দেহের কোষগুলো। ফলে রোগী ধীরে ধীরে দুর্বলতা অনুভব করে।
👥রোগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তবে তার রক্তনালি, স্নায়ু, কিডনি, চোখ ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা সহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতেই পারে। আর এটাই স্বাভাবিক।
💀ডায়াবেটিস রোগের লক্ষনঃ-
☝যদিও আমরা জানি ডায়াবেটিসের একাধিক উপসর্গ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শরীর ক্লান্তিবোধ করা, শরীরের দুর্বলতা, চোখে ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক পানি তেষ্টা পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব। এগুলো ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুখের আশে পাশেও তার লক্ষণ দেখা যায়।
💀ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কী?
💊চিকিৎসকরা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় প্রথম অবস্থায় বেশির ভাগ রোগীকে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলে। এর জন্যে তাদের সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম বা যোগাসন এর মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
👉 ডায়াবেটিস রোগীর সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা সেটা দেখার জন্যে , চিকিৎসকরা প্রথমে রোগীর চিনির স্তর পরীক্ষা করাতে বলেন।
👭এই ব্লাড সুগার টেস্ট করার দুটি উপায় রয়েছে-প্রথমত, রক্তে চিনির পরিমাণ পরীক্ষা খালি পেটে ও দ্বিতীয়ত, রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা খাবার খাওয়ার পরে করা হয়।
💁এরপর রোগীর অবস্থায় বুঝে তবেই চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ দেন। যদি টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে রোগীদের উচিত তাদের চোখের রেটিনা, ছানি ইত্যাদি পরীক্ষা করা।
💨কারণ ডায়াবেটিস হলে অনেকের চোখ সহ শরীরের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তাই বেশি দেরি না করে ভালো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সকল পরীক্ষা গুলো করাই উত্তম।
💀ডায়াবেটিস কমানোর উপায়ঃ-
🩸রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড, রক্তচাপ ও ওজন অবশ্যই লক্ষ্যণীয় মাত্রায় রাখতে হবে। রোগীকে নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীরা অবশ্যই একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) কাছে চিকিৎসা নিবেন।
👐এর ফলে চিকিৎসকের দেওয়া উপদেশ। যেমনঃ- খাবার ওষুধ, ব্যায়াম ও খাদ্য গ্রহণ তথা সার্বিক জীবনযাপন সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট এবং বিজ্ঞানসম্মত উপদেশ (যা শুধু আপনার জন্য প্রযোজ্য) মেনে চলতে হবে।
💀ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকাঃ-
🍥ভুসিযুক্ত আটার রুটি, লাল চাল, ভুট্টার খই, খেজুর আশযুক্ত শাকসবজি ও ফল হলো জটিল শর্করা জাতীয় খাবার। যদি কারও খাবারে শর্করা বাড়ানোর প্রয়োজন হয় তাহলে এ ধরনের খাবার দিয়ে শর্করা বাড়ানো যেতে পারে।
🌰আর এই খাবার গুলো খাওয়ার কারণে শরীরের ডায়াবেটিস এর পরিমাণ তেমন বাড়বে না। এদিকে দ্রুত শোষিত হয় এমন শর্করা জাতীয় খাবার হলো আঁশবিহীন মিষ্টি ফল, দুধ, আতপ চাল, ময়দা ইত্যাদি।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
এলার্জির কি? কারণ,লক্ষণপ্রতিকার ও প্রতিরোধ এবং চিকিৎিসা।
মুখের কালো দাগ / মেজতার দাগ দূর করার সহজ উপায়।
হিট স্ট্রোক- কি ?এর কারণ, লক্ষণ ও এর প্রাথমিক চিকিৎসা ।
মুখের দূর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
স্তন্য ক্যান্সার কি? কাদের হয়,লক্ষণ,কারণ এবং প্রতিকার।
মাইগ্রেন/Migraine কি? কারন,লক্ষণ/উপসর্গ এবং চিকিৎসা।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।