চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়
📗আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ
- কোন কোন খাবার খেলে চুল ঘন ও কালো হবে এবং নতুন চুল গজাতে , চুল পড়া বন্ধ হবে।
- কোন তেল ও ভিটামিন ট্যাবলেট ব্যবহার করে নতুন চুলা গজানোতে সহযোগীতা করতে পারেন।
- চুলের যত্ন নেয়ার সঠিক পদ্ধতি।
- আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও পরামর্শ আলোচনা করবো ।
👉তাহলে চলুন শুরু করা যাক
আরো পড়ুনঃ সাইনোসাইটিস কী?
১০ টি খাবারঃ
১ নং খাবারঃ-
🎀বাদাম যেমনঃ- চিনা বাদাম,কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম,পেস্তাবাদাম, ওয়ালনাট ইত্যাদি। এই সকল বাদামে আচে ওমেগা-6 ফ্যাট বা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা চুলকে সতেজ ও লম্বা করতে সহযোগীতা করে। এর কারণে চুল পড়ে যাওয়া হালকা হয় এবং রং পরিবর্থন হয়ে যায়। আর আমি আগেই বলেছি এটি কিন্তু শরীর তৈরি করতে পারে না। আমাদের কে শরীরকে দিতে হয়। তবে বাদাম অনেক বেশি খাওয়া যাবে না। তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
২ নং খাবারঃ-
👘হলুদ ও কমলা রং এর সবজি এবং ফলমূল। যেমনঃ আম, মিষ্টি আলো, পেঁপে গাজর মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি এগুলোতে ভিটামিন এ ভরপুর রয়েছে। যা চুলের ফলিকল, মানে চুল গুড়া, যেখান থেকে চুলটা বড় হয়।
সেটার জন্য প্রয়োজন হয় ভিটামিন এ আর এর জন্য দরকার এই সকল ফল। সারাদিনে শরীরে যতটুকু ভিটামিন প্রয়োজন তার অর্ধেকের বেশি হয়ে যায়ে আধা কাপ গাজরে।
৩নং খাবারঃ-
🐟তৈলাক্ত মাছঃ- আমরা জানি তৈলাক্ত মাছের জন্য সাম্রুদ্রিক মাছ খেতে হবে। যেমনঃ- টুনা, সালমন, সুরমা ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশীয় মাছেও কিন্তু ওমেগা ও পাওয়া যায়। যেমনঃ- ইলিশ , কই, চাপিলা, মলা ইত্যাদি। এগুলো চুল ঘন কালো করতে সাহায্য করে এবং প্রোটিন তো পাচ্ছেনই।
৪ নং খাবারঃ-
🥚ডিমঃ- সুন্দর চুলের জন্য ডিম খুবই ভালো বন্ধু। আমাদের চুল শর্করা বা ফ্যাটের তৈরী না। চুল প্রায় প্ররোটাই প্রোটিনের তৈরি। আর গবেষণায় জানা গেছে যে খাবারে প্রোটিনের অভাব হলে চুল পড়ে যায়। আর আমরা খাবারে প্রয়োজনীয় প্রোটিন ঠিকমত খায় না বা থাকে না। তাই ভাত বেশি না খেয়ে খাবরের তালিকায় ডিম রাখা যেতে পারে। এছাড়া ডিমে আরো বোনাস হিসেবে রয়েছে বায়োটিন, সেলেনিয়াম,ভিটামিন বি-১২ ইত্যাদি।
৫ নং খাবারঃ-
🍃পালং শাকঃ- চুলের উপকারে পালংশাক অনেক ভালো খাবার একটি খাবার। এর মধ্যে ৪ টি গুণ রয়েছে যেমনঃ- ভিটামিন এ, ভিটামিন-সি, আয়রণ,ফলেট এই প্রত্যেকটি চুল ঘন কালো সুন্দর রাখার জন্য প্রয়োজন।
৬ নং খাবারঃ-
🍵ডালঃ- সুন্দর চুলের জন্য ডাল খুবই উপকারী খাবার। কারণ ডালে প্রোটিন আছে,আয়রন আছে। আয়ন আমাদের মাথায় তালুতে রক্ত সরবরহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌছিয়ে দেয় । চুল পড়ার কারণের মধ্যে আয়রন একটি। এছাড়া ডালে আরো পেয়ে যাবেন জিংক, ফলেট, ইত্যাদি। পাতলা ডাল না খেয়ে ঘন ডাল খেতে পারে।
৭ নং খাবারঃ-
🍪বিভিন্ন ধরণের বীজঃ- বীজ ও চুলের জন্য উপকারী যেমনঃ চিয়া সিডস, মিষ্টিকুমড়া বিচি, সূর্যমূখীর বিচি, তিসির বীজ এগুলো চুলের জন্য অনেক গুলো উপকারী গুন রয়েছে। চিয়াসিডস এ আছে প্রচুর পরিমাণে আলফা-লিনোফিনিক এসিড একা ওমেগা ও ফ্যাট, মিষ্টি কুমড়া বীচে আছে জিংক, সূর্যমুখীর বিচিতে আছে বায়োটিন, তিসির বীজে আছে সেলেনিয়াম। খাবার নিয়ম ভাতের উপর ছিটিয়ে তরকারীর সাথে । কিংবা রাতে টক দই সাথে চিয়া সিডস ও অল্প দুধ মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন সকালে কিছু ফলমূলের সাথে খেয়ে নিলেন।
৮ নং খাবারঃ-
🍵ছোলাঃ- ছোলা ও চুলের জন্য উপকারী এর মধ্যে ৩ টি উপাদান আছে। আয়রন জিংক, ও প্রোটিন।
৯ নং খাবারঃ-
🍨টক দইঃ- টক দই প্রোটিনে আর একটি উৎস সাথে জিংক, প্রোটিনের জন্য মুরগির মাংস খেতে পারে।
১০ নং খাবারঃ-
🍨টক ফলঃ- টক ফল চুলের জন্য উপকারী যেমনঃ- মালটা, লেবু ইত্যাদি। এগুলোতে প্রচুর পরিমণে ভিটামিন সি আছে। সন্দুর চুলের জন্য এগুলো প্রয়োজন আর অভাবে চুল বেকিয়ে পেচিয়ে যায়।
🍜তেল ও ভিটামিন ট্যাবলেটঃ-
- পাম্পকিন সিড অয়েল বা কদুর তেল।
💊ভিটামিন ট্যাবলেটঃ ভিটামিন ডি, ব্যবহারের অবশ্যই সর্তক হতে পারে।
💇চুল শুকানো/যত্নঃ-
- চুলে শাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
- ভেজাচুল ঘষে ঘষে মুছবেন না।
- ভেজা চুল আচড়াবেনা। তবে চুল কুকড়া হলে চৌওড়া দাঁতের চিরুনি দিয়ে আচড়াবেন।
- ব্লো ডাইয়ার বা ফালিং আয়রন দিয়ে চুল শুকাবেন না চুল বাতাসে শুকানো ভালো। তবে যদি ব্যবহার করবে তবে সপ্তাহে ১ বার সবোর্চ্চ।
- টাইট করে চুল বাধবেন না।
💊চিকিৎসাঃ- কিছু রোগরে কারণে চুল পড়তে পারে। যেমনঃ- খইরয়েডের রোগ রক্ত শূণ্যতা ইত্যাদি। খাবার পরও যদি চুল পরে তহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ / নিবেন বিনি রোগ হিসেবে চিকিৎসা প্রদান করবেন।
তবে চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো এন্ডোজেনেটিক এলোপোশিয়া নামের রোগ । এই রোগ ছেলেদের মাথায় টাক পড়া শুরু করে। কপালের দুই পাশ হতে টাক হতে পারে। মেয়েদের সাধারণত টাক হয় না কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। মাথায় সিথি বড় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ২ টি ঔষধ খুব ভালো কাজ করে।
- মিনক্সিডিল
- ফিনস্টেরাই
👧এছাড়া হেয়ার ট্রান্সপ্যান্ট করাতে পারেন। এছাড়া পি আর পি থেরাপী করাতে পারেন।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।