টাইফয়েড জ্বর কি? এর লক্ষণ ও সাইন ,চিকিৎসা,টাইফয়েড হলে কি কি খেতে হবে,টাইফয়েড হলে কি কি খাওয়া যাবে না।

 টাইফয়েড জ্বর  (Typhoid Fever)

Any Help24



ইহা পানি বা খাদ্য দ্বারা সংক্রমিত হয়। এ  জ্বরের ইনটেস্টাইলের মিউকাস ১ম ব্রেনে ঘা হয়। তাই একে আন্ত্রিক জ্বর বলে।

কারণঃ ব্যাকটেরিয়া জনিত/সালমোনেলাটাইফি/প্যরাটাইফি।

সংজ্ঞাঃ দেহের তাপ মাত্রা স্বাভাবিকের (৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেন হাইট) এর চেয়ে বেশি হওয়াকে জ্বর বলে। 


লক্ষণ ও সাইন 

এই জ্বরটি 1ম,2য়,3য় সপ্তাহ ব্যাপী লক্ষণ ও সাইন পরির্বতন হয়।

প্রথম সপ্তাহঃ জ্বর থাকবে। জ্বর আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে এবং জ্বর কোন সময় স্বাভাবিকে আসবে না।

মাথা ধরা থাকবে। বমি বমি ভাব থাকবে। বাচ্চাদের বমি হবে। কোষ্ঠ-কাঠিন হবে। পেট ফুলে থাকবে। সপ্তাহের শেষের দিকে প্লিহা বাড়তে পারে। ক্ষুধা মন্দা হবে। শরীরে র‌্যাশ বা চাকা দেখা দিতে পারে। নারীর গতি কম হতে পারে।

২য় সপ্তাহেঃ জ্বর একই ভাবে থাকবে। পাতলা পায়খানা শুরু হতে পারে। রোগীকে অস্থির ভাব দেখা দিবে। লিভার বড় হতে পারে। পেটে ব্যাথা হবে।

৩য় সপ্তাহেঃ জ্বর আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। রোগী অস্থির বোধ করবে এবং অচেতন হয়ে যেতে পারে। কাশি থাকবে। ওজন কমবে। রোগী প্রলাপ বকবে। 

পরীক্ষাঃ রক্ত পরীক্ষা ১ম সপ্তাহ Blood For TC,DC,ESR

২য় সপ্তাহ Widla Test টাইটার ১:১৮০ বা ১.৩৬০ হবে।


চিকিৎসাঃ 

রোগীকে পূর্ণ বেড রেষ্ট দিতে হবে। প্রচুর পানি ও পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।

Amoxicillin, Azithromycin,  Ciprofloxacin, Cefixime, Cefuroxime+ Clavulanic Acid, levofloxacin, Moxifloxacin, Co-trimoxazole  ইত্যাদি  গ্রুপের  ঔষধ দেয়া যেতে পারে। ২ বেলা দিতে হবে (৭-১০ দিন)। ফার্মাসিতে পাওয়া যাবে -২০০এমজি,২৫০এমজি,৪০০এমজি,৫০০এমজি, ৭৫০এমজি।

 বয়স অনুপাতে পরিমাণ দিতে হবে। 


উপরোক্ত ঔষধগুলোর যে কোন ১টির সাথে Paracetamol Group এর ঔষধ দিতে হবে।  দৈনিক ৩/৪ বার। ফার্মাসিতে পাওয়া যাবে:-৫০০এমজি,জ্বর থাকা পর্যন্ত।

প্রয়োজনে ভিটামিন দেওয়া যেতে ঔষধ পারে  ২ বেলা ১৫ দিন থেকে ১ মাস। যদি বমি হয় তবে বমি ঔষধ ৩ বার দেয়া যেতে পারে। 

 যেহেতু এন্টিবায়োটিক ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করতে হবে  এবং  টাইফয়েডে পেটের সম্যসা হয়ে থাকে তাই  অব্যশই গাষ্টিকের Omeprazole /Esomeprazole 20mg  ঔষধ  সাথে দিতে হবে ২ বেলা(৭-১০ দিন)।

চুলকানী বা রাশ থাকলে Antihistamine ঔষধ  সাথে দিতে হবে ২ বেলা(৭-১০ দিন)

যদি মুখে খেতে না পারে  তবে ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে।

আরো ভালো করে চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাথে পরামর্শ নিতে হবে।

টাইফয়েড হলে কি কি খেতে হবেঃ


Any Help24














  • ডাবের পানি।
  • পাতিলেবু-পুদিনা পাতার শরবত।
  • টাটকা ফলের রস।
  • দইয়ের ঘোল।
  • বাটার মিল্ক ইত্যাদি।

টাইফয়েড হলে কি কি খাওয়া  যাবে নাঃ 


Any Help24

















  • হাই পাইবার ফুড-যেমনঃ স্যালাড জাতীয় খাবার।
  • কাঁচা পেয়াজ,বাঁধাকপি,ব্রোকলি।
  • মসুর ডাল,রাজমা,ব্ল্যাক বিনস,ঘুগনি,চিয়ার বীজ,কুমড়ো বীজ,ওটস,বাজরা, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি।
  • ভাজাপোড়া/ তেলে বাজা কাবার ও শুকনো মরিচে
  • প্রয়োজনে অল্প কাঁচা মরিচ খেতে পারেন।




আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে 

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর 

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন 

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী  এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?

রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার 

রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণচিহ্নচিকিৎসা এবং উপদেশ ?

কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা

কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ 

 

NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন