সাইনোসাইটিস
সাইনাস কীঃ-
সাইনাস বলতে আমাদের নাকের দুই পাশে ও কপালে ফাঁপা হাড় থাকে। এই হাড় এর ফাঁপা অংশ গুলোকে এয়ার সাইনাস বা সাইনাস বলে। যখন আমাদের সর্দি হয় তখন আমরা না ঝেড়ে উপরের দিকে টেনে নেই তখন সাইনাস এর ভিতর সর্দি গুলো জমে যায়। তখন সাইনাস এ জমে থাকা সর্দি বা মিউকাস এ যখন ইনফেকশন হয়। তখন সাইনোসাইটিস হয়।
ধরণঃ- সাইনোসাইটিস ২ ধরণের
1. Acute Sinusitis
2. Cronie Sinusitis
লক্ষণঃ-
১. মাথা ব্যাথা হবে সামনের অংশ।
২. মাথা ব্যাথার সাথে চোখ দিয়ে পানি আসতে পারে।
৩. নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে থাকে।
৪. গলা ব্যথা থাকতে পারে।
৫. টনসিল ফুলে যেতে পারে।
৬. শরীর মেজমেজ করতে পারে।
৭. জ্বর আসতে পারে।
করণীয়ঃ-
১. ধূলাবালি থেকে দূরে থাকতে হবে।
২. ঠান্ডা জাতীয় খাবার ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় চলাফেরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. শরীরে ঘাম হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুছে ফেলতে হবে।
৪. তাছাড়াও এসি থেকে বের হয়ে রোদে গরমে গেলে সাইনাস এর সমস্যা দেখা দেয় তাই অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বুক জ্বালা কি?
পরিক্ষা-নিরীক্ষাঃ-
# X-Ray for PNS
# City Scan
জটিলতাঃ-
১. চোখের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি কিংবা চোখের মধ্যে পুঁজ হতে পারে।
২. ব্রেনে ছড়ায়ে যেতে পারে যা কিনা মেনেজাইটিস, ব্রেনের মধ্যে পুঁজ এনকেফালাইটিস ইত্যাদি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া যে সকল খাবার বা পথ্য খেলে সাইনোসাইটিস এর ব্যাথা কমে।
১. গরম পানি
২. হলুদ ও গোল মরিচ
৩. ভেষজ চা
৪. আদা মিশ্রিত গরম চা খেলে সাইনোসাইটিস এর ব্যথা কমায়।
৫. চিকেন স্যুপ এর সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
৬. হালকা গরম দুধ ও হলুদ মিশিয়ে খেলে ও উপকার পাওয়া যায়।
চিকিৎসাঃ-
সাইনাসে ইনফেকশন হওয়ার কারণে সাইনুসাইটিস হয় তাই যেহেতু ইনফেকশান তাহলে অবশ্যই এ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে। যেমনঃ-
Amoxacillin
দৈনিক ৩ বার ১টি করে.......৫/৭দিন।
Cefuroxime
দৈনিক ২ বার ১টি করে.......৫/৭দিন।
Cefexime
দৈনিক ২ বার ১টি করে.......৫/৭দিন।
Cefuroxime+Clavulanic Acid
দৈনিক ২ বার ১টি করে.......৫/৭দিন।
Amoxacillin+Clavulanic Acid
দৈনিক ৩ বার ১টি করে.......৫/৭দিন।
ইত্যাদি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় তাছাড়া Antihistamine দেওয়া যেতে পারে। যেমনঃ-
Cetirizine
দৈনিক ২ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
Levocetirizine
দৈনিক ২ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
Loratadine
দৈনিক ২ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
Desloratadine
দৈনিক ১ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
Fexofenadine
দৈনিক ১ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
Rupatadine
দৈনিক ১ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
ইত্যাদি যেকোনো একটি গ্রুপের ঔষধ দেযা যাবে।
ব্যাথা কমানোর জন্য Paracetamol বা Ibuprofen গ্রুপের দেওয়া যেতে পারে।
দৈনিক ২/৩ বার ১টি করে প্রয়োজন অনুসারে।
সাথে অবশ্যই গ্যাষ্ট্রিকের ঔষধ দিতে হবে।
যদি Cronie Sinusitis হয় তাহলে সার্জারী করা লাগতে পারে। ফাংশনাল এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারী বা ফেইস সার্জারীও বলা হয়ে থাকে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।