নিউমোনিয়া
নিউমোনিয়া কীঃ-
নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের ইনফেকশন বা প্রদাহ। এটি ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস,ফাঙ্গাস অথবা পরজীবি কারণে হতে পারে। এটি একটি জটিল সংক্রামক রোগ।
লক্ষণঃ-
অনেক ধরণের লক্ষণ দেখা যাবে। যার মধ্যে প্রধান কিছু লক্ষণ দেখা দিবে তা হলো
১. কাশি
২. শ্বাস কষ্ট
৩. জ্বর
এই তিনটি হলো প্রধান লক্ষণ। জ্বর থাকতে পারে ১০০-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তারও বেশি। তাছাড়া আরও কিছু লক্ষণ উপলব্ধি হবে।
যেমনঃ-
১. নিউমোনিয়ার মাত্রা বেড়ে গেলে বুকের খাঁচা দেবে যেতে পারে। তখন শিশু দ্রুত শ্বাস নেয়।
২. ২ মাসের কম বয়সী শিশুদের মিনিটে ৬০ বার বা তার বেশি শ্বাস নিতে দেখা যাবে।
৩. ২ মাস থেকে ১২ মাস বয়সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার বেশি শ্বাস নিতে দেখা যাবে।
৪. ১ বছরের বড় শিশু ৪০ বার বা তার বেশি শ্বাস নিতে দেখা যাবে।
৫. নিশ্বাসের সময় বুকে ব্যাথা।
৬. অনেক পরিমাণে ঘাম হতে পারে।
৭. চুপচাপ থাকা।
৮. খাবারে অরুচি।
৯. ক্ষুধামন্দা।
১০. পেট ব্যাথা ইত্যাদি এমনকি শ্বাস কষ্টের কারণে খিঁচুনী ও দেখা দিতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ-
# Blood Test
# Chest X-Ray
# Cough test etc.
অথবা রক্তে Oxygen এর মাত্রা নির্ণয় ইত্যাদি পরীক্ষা করে Diagnosis করা যায় নিউমোনিয়া হয়েছে কিনা।
আরো পড়ুনঃ জ্বর কি?
নিউমোনিয়ায় কাদের ঝুঁকি বেশিঃ-
১. প্রি-ম্যাচিউর বা স্বল্প ওজনের নবজাতক।
২. ঘরের মধ্যে ধোয়ার কারণে।
৩. ঘন বসতি পূর্ণ এলাকা বা আবদ্ধ ঘরে বসবাস।
৪. যাদের ইমিউনিটি সিস্টেম দূর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
৫. শালদুধ, এমনকি পূর্ণ দুই বছর বুকের দুধ পান করে না যে সকল শিশু।
৬. পুষ্টিহীন শিশু।
৭. পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশি হয়।
৮. পরোক্ষ ধূমপানী শিশু।
চিকিৎসাঃ-
যেহেতু নিউমোনিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ তাই এ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
Cefuroxime
দৈনিক ২ বার ১-২ চামুচ করে........৫/৭দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
ট্যাবলেটঃ- দৈনিক ২ বার ........৫/৭দিন।
Cefixime
দৈনিক ২ বার ১-২ চামুচ করে........৫/৭দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
ক্যাপসুলঃ-দৈনিক ২ বার ........৫/৭দিন।
Cefuroxime + Clavulanic Acid
ট্যাবলেটঃ দৈনিক ২ বার........৫/৭দিন।
Amoxacillin + Clavulanic Acid
দৈনিক ৩ বার ১-২ চামুচ করে........৫/৭দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
ট্যাবলেটঃ দৈনিক ৩ বার........৫/৭দিন।
প্রয়োজনে শিরা পথে স্যালাইন প্রয়োগ করতে হবে।
Injectable format এ Ceftriaxone (এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে।) গ্রুপের ঔষধ দ্বারাও চিকিৎসা করা যায়।
নিউমোনিয়ার প্রতিরোধঃ-
১. সব সময় শিশুর সঠিক যত্ন নিতে হবে।
২. সহনীয় গরম পানিতে গোসল করাতে হবে।
৩. চুলার ধোঁয়া ও মশার কয়েল এর ধোঁয়া থেকে দূরে রাখতে হবে।
৪. নাক পরিষ্কার করতে হবে।
৫. আবদ্ধ ঘরে বসবাস করা যাবে না।
৬. সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।
৭. শিশু জন্মের পর ইপিআই সিডিউল এর টিকা প্রদান করতে হবে।
৮. শিশুদের ধূলাবলি থেকে দূরে রাখতে হবে।
৯. অনেক বেশি অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ও হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
হুপিং কাশি/ Pertussis কী,লক্ষণ,জটিলতা, এবং চিকিৎসা।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।