ল্যাপটপ কম্পিউটার
ল্যাপটপের ইতি কথাঃ
ল্যাপটপ হল ব্যক্তিগত কম্পিউটার যা বহনযোগ্য দেখতে ঝিনুক আকৃতির ও ভ্রমণ উপযোগী।ল্যাপটপ এবং নোটবুক উভয়কে পূর্বে ভিন্ন ধরা হত কিন্তু বর্তমানে তা মানা হয় না।ল্যাপটপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন কর্মক্ষেত্রে, শিক্ষায় এবং ব্যক্তিগত বিনোদনের কাজে। ১৯৭১ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সম্ভাবনার সাথে সাথে বহনযোগ্য ব্যক্তিগত কম্পউটারের চাহিদার সম্ভাবনাও তৈরি হয়। এলান কে ১৯৬৮ সালে জেরক্স পার্কে একটি "ব্যক্তিগত, বহনযোগ্য নিজের কাজের জন্য তথ্য ব্যবহার করা যায়" এমন যন্ত্র হিসেবে কল্পনা করেন এবং তার গবেষণাপত্র "ডায়নাবুকে" বর্ণনা করেন ১৯৭২ সালে।
আইবিএমের বিশেষ এপিএল মেশিন পোর্টেবল (এসসিএএমপি) কম্পিউটারটি দেখানো হয় ১৯৭৩ সালে। এই পরীক্ষামূলক যন্ত্রটি আইবিএমের পালম প্রসেসরের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
কত সাল হতে বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসেঃ
১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বাণিজ্যিক বহনযোগ্য কম্পিউটার বাজারে আসে।
সিপিইউ ৮ বিটের ব্যবহৃত হওয়া শুরু করলে, বহনযোগ্য কম্পিউটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ১৯৮১ সালে অসবর্ন ১ ছাড়া হয়, এবং জিলোগ জেড৮০ ব্যাবহার করা হয়,আর এর ওজন ছিল ২৩.৬ পাউন্ড (দশ কেজির মত)। কোন ব্যাটারি ছিল না, একটি ৫ ইঞ্চি (১৩ সে.মি.) সিআরটি প্রদর্শনী এবং ৫.২৫ ইঞ্চি (১৩.৩ সে.মি) দ্বৈত একক ঘনত্বের ফ্লপি ড্রাইভ ছিল। একই বছরে প্রথম ল্যাপটপের আকারের বহনযোগ্য কম্পিউটারের ঘোষণা আসে, এটি ছিল এপসন এইচএক্স-২০। এর মধ্যে এলসিডি প্রদর্শনী, পুনরায় চার্জ দেয়া যায় এমন ব্যাটারি, ক্যালকুলেটর আকারের প্রিন্ট্রার চেসিস ছিল। ট্যান্ডি/রেডিওশেক এবং এইচপি উভয়েই বিভিন্ন নকশার বহনযোগ্য কম্পিউটার উৎপাদন করে।
কত সাল হতেভাঁজ করা যায় এমন ল্যাপটপ দেখা যায়ঃ
১৯৮০ দশকের শুরুর দিকে প্রথম ভাঁজ করা যায় এমন ল্যাপটপ দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ায় ডুলমন্ট ম্যাগনাম ছাড়া হয় ১৯৮১-৮২ সালের দিকে, কিন্তু ১৯৮৪-৮৫ সালের পূর্বে বিশ্বব্যাপি এটি বাজারজাতকরন করা হয়নি। ১৯৯২ সালে জিআরআইডি বা গ্রিড কমপ্যাস ১১০০ ছাড়া হয়। এটি নাসা ও সৈনিকদের কাজে ব্যবহৃত হত। গ্যাভিলান এসসি, ১৯৮৩ সালে বাজারের আসে, যা প্রস্তুতকারক ল্যাপটপের মধ্যে প্রথম হিসেবে অভিহিত করে[১৩]। ১৯৮৩ সালে নতুন ইনপুট ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়, যার মধ্যে ল্যাপটপের ইনপুট যন্ত্রাংশ ছিল, যেমন টাচপ্যাড , নির্দেশক কাঠি এবং হাতের লেখা সনাক্তকরন। এসময় কিছু সিপিইউ এমনভাবে বানানো হয় যাতে এগুলো কম বিদ্যুত শক্তি ব্যবহার করে, ফলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বেড়ে যায়। এবং কিছু ল্যাপটপের প্রস্তুত নকশায় কাজে সহায়তা করার জন্য কিছু সক্রিয় শক্তি ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্যও ছিল ।
রঙিন প্রদশর্নীগুলোর প্রচলন শুরু হয় কত সালেঃ
১৯৮৮ সাল নাগাদ প্রদর্শনী ভিজিএ রেজুলেশনে পৌছায়। উদাহরণসরূপ উল্লেখ্য করা যায় কমপেক এসএলটি/২৮৬। এবং রঙিন প্রদশর্নীগুলোর প্রচলন শুরু হয় ১৯৯১ সালের দিকে, ২০০৩ সালে " প্রদশর্নী আসার আগে পর্যন্ত, রেজুলেশনে এবং প্রদশর্নীর আকারে ব্যাপক পরিবর্তন হতে থাকে। এসময় হার্ডড্রাইভের (১৯৮০ সালের শেষের দিকে প্রস্তুতকৃত ৩.৫" মাপের ড্রাইভের ধারাবাহিকতায়) ব্যবহার শুরু হয়। এক সময় ২.৫" ড্রাইভ ল্যাপটপে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ২০০০ দশকের শুরু থেকেই অপটিক্যাল ড্রাইভগুলোর ব্যবহার হতে থাকে যেমন সিডি রম, রাইটেবল সিডি রম, পরে ডিভিডি রম, রাইটেবল ডিভিডি রম, তারপরে ব্লু-রে ড্রাইভ। ডেস্কটপ পিসির সাথে যখন ল্যাপটপকে তুলনা করা হয় বহনযোগ্যতাকে সবার প্রথমে ধরা হয়।এই সুবিধার কারণে ল্যাপটপকে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করা যায়। যেমন - বাড়িতে, অফিসে, বিমানের ফ্লাইটে, মিটিংয়ে, কফি দোকানে, লেকচার হলে বা লাইব্রেরিতে, গ্রাহকের সামনে ইত্যাদি। এই বহনযোগ্যতা বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন সুবিধা দেয় ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপের সম্প্রসারণ ক্ষমতা খুব কম। সাধারণ হার্ড ড্রাইভ এবং মেমোরি সম্প্রসারণ তুলনামূলকভাবে সহজ। অপটিক্যাল ড্রাইভ এবং অভ্যন্তরীন প্রসারন কার্ড লাগানো যায় যদি তা হয় সাধারণ মানদন্ডের। কিন্তু অন্য সকল উপাদানগুলো যেমন মাদারবোর্ড, সিপিইউ এবং গ্রাফিক্স সহজে পরিবর্তন করা যায় না। ইন্টেল, আসুস, কমপাল, কোয়ান্টা এবং অন্যান্য কিছু ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক একই ধরনের নকশা অনুসরন করে বিক্রয় পরবর্তী ল্যাপটপের অংশ জুড়ে দেওয়ার বা পরিবর্তনের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে চেয়েছেন। তারা এই কাজটি করেছেন মূলত একটি মানদন্ড তৈরি করতে।
সম্প্রসারণ সীমিত হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক ও কারিগরি উভয় কারণই জড়িত। ল্যাপটপের আকারের নকশার কোন নিদির্ষ্টতা নেই। প্রত্যেক উৎপাদকই নিজস্ব নকশায় ল্যাপটপ তৈরি করেন ফলে ল্যাপটপের ক্রয় পরবর্তী সম্প্রসারণ করা যায় কম এবং করতে গেলেও তার খরচ হয় বেশি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অন্য কোম্পানির উপাদান ব্যবহার করা যায় তবে তা খুবই কম এমনকি একই উৎপাদকের দুটি আলাদা ল্যাপটপ পণ্য হলেও।
কিছু সম্প্রসারণ করা যেতে পারে বাহ্যিক ইউএসবি বা সম্প্রসারণ কার্ড ধাচের যেমন পিসি কার্ড। সাউন্ড কার্ড, নেটওয়ার্ক এডাপ্টার, হার্ড ড্রাইভ, অপটিক্যাল ড্রাইভ সহ আরও অগুনিত পেরিফেরাল যন্ত্রাংশ রয়েছে কিন্তু এই সব সম্প্রসারণ ল্যাপটপের বহনযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কারণ এগুলো লাগাতে গেলে ক্যাবল বক্স প্রভৃতি বসাতে বা সংযোগ করতে হয়। আর প্রত্যেক বার বহনের সময় এগুলো খুলতে এবং লাগাতে হয়।
আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ ।
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।
বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।