হুপিং কাশি/ Pertussis
হুপিং কাশি কীঃ-
হুপিং কাশি শ্বাসতন্ত্রের অত্যান্ত মারাত্মক একটি রোগ এবং অত্যান্ত সংক্রমক। এটি বাতাসের সাহায্যে ছড়ায়। যে কোনো বয়সের রোক এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে প্রায় ৯০% ক্ষেত্রেই ৫ বছরের কম বয়সী শিশিুরা আক্রান্ত হয়। এই রোগের জীবাণুর নাম হচ্ছে Bordetella Pertussis.
কীভাবে ছড়ায়ঃ-
প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শ্বাসনালী থেকে বের হয়ে আসা জীবাণুর মাধ্যমেও হতে পারে। স্বর্দিতে আক্রান্ত হওযার প্রথম দিকে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর ৭-১৪ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা দেয়।
লক্ষণঃ-
১. প্রথম পার্যয়ে রোগীর সর্দি জ্বর এর মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
২. জ্বর থাকে, জ্বর কেরে ১০০-১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে।
৩. প্রথম সপ্তাহে কনজাংটিভিটিস, রাইনাইটিস ও শুকনো কাশি হয়।
৪. হুপিং কাশি বুঝার মত কাশি দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হয়। ঘনঘন কাশির পরে কাশি হতে শ্বাস প্রশ্বাস প্রায় বন্ধের উপক্রম।
৫. রাতের বেলায় কাশি বেশি হবে।
৬. ঘন ঘন কাশি হওয়ার ফলে শিশুর শ্বাস নেয়ার সময় শ্বাস টানার শব্দ শোনা যায়।
৭. অনেক সময় রোগী কাশতে কাশতে বমি করতে পারে।
জটিলতাঃ-
১. ব্রংকো নিউমোনিয়া।
২. এটেলেক্টাসিস।
৩. ব্রংকিয়েক্টাসিস।
৪. খিঁচুনি।
৫. কনজাংটিভাতে রক্তক্ষরণ।
৬. রেক্টাল প্রোল্যাপস।
চিকিৎসাঃ-
হুপিং কাশি যেহেতু জীবাণু ঘটিত রোগ তাই antibiotic দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে যেমনঃ-
Amphicillin
দৈনিক ২ বার ১-২ চা চামুচ............৫/৭ দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
Cotrimaxzole
দৈনিক ২ বার ১-২ চা চামুচ............৫/৭ দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
Amoxicillin
দৈনিক ৩ বার ১-২ চা চামুচ............৫/৭ দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
Erythromycin
দৈনিক ৩ বার ১-২ চা চামুচ............৫/৭ দিন। (বয়স ও ওজন অনুসারে।)
এর মধ্যে যেকোনো একটা ঔষুধ দেওয়া যেতে পারে। কাশি কমানোর জন্য expectorant জাতীয় সিরাপ দেওয়া যেতে পারে ।
দৈনিক ১-২ বার ১-২ চা চামুচ করে। (বয়স ও ওজন অনুসারে
কাশির জন্য ব্যথা হলে paracetamol গ্রুপের ঔষুধ দেওয়া যেতে পারে।
দৈনিক ৩ বার ২-৩চা চামচ করে।(বয়স ও ওজন অনুসারে।)
মাল্টিভিটামিন জাতীয় ঔষধ দেওয়া যেতে পারে বয়স ভেদে ১০-২০ ফোটা দৈনিক ২-৩ বার।
প্রতিরোধঃ-
১. শিশুদের যথাযথ ভাবে টিকা দেওয়া হলে হুপিং কাশি প্রতিরোধ করা যায়। তাই দেড় মাস বয়স হলেই DPT টিকা দিতে হবে ৪ সপ্তাহ পর পর ৩ ডোজ টিকা দিতে হবে
২. শিশুর খাবারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. বমি হতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে ।
৪. দুধ,ডিম,মাছ সহ স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
মাম্প্স কী,লক্ষণ / উপসর্গ,মাম্প্স হলে কী কী করণীয়/ ( হোম রেমেডি) এবং চিকিৎসা।
Tonsillitis/টনসিলাইটিস কি? কারণ, লক্ষণ,কী খাওয়া যাবে/যাবে না এবং চিকিৎসা।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।