Tonsillitis/টনসিলাইটিস
টনসিল কীঃ- টনসিল হচ্ছে দুইটি গুলাকৃতির গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি । যা আমাদের প্রত্যেকের আছে। ইহা মুখের ভিতরের অংশে জিহ্বার পিছনের দিকে দুই পাশে অবস্থিত। এটি অনেকের অনেক সাইজের হয়ে থাকে। কারও খুব বেশী বড় এবং কারও খুব বেশি ছোটো। টনসিল গ্ল্যান্ডের ইনফেকশন হলে তখন সেটিকে টনসিলাইটিস বলা হয়।
লক্ষণঃ-
১/ গলা ব্যথা হবে ঢোক গিলতে ব্যথা হবে।
২/ খাবার খেতে ব্যথা ও অসুবিধা হবে।
৩/ এই লক্ষণ গুলোর সাথে জ্বর থাকবে ।
৪/ মুখ হা করলে দেখা যাবে গলার ভিতরের অংশ লাল হয়ে আছে।
৫/ টনসিলের আকৃতি বা সাইজ বড় হয়ে যাবে।
৬/ গলা ফুলে যাবে।
করণীয়ঃ- (হোম রেমেডি)
১/ আদা দিয়ে গরম চা খেতে পারেন।
২/ মধু মিশিয়ে গরম চা খেতে পারেন।
৩/ গরম পানি দিয়ে গড়গড়া বা কুলকুচি করতে হবে।
৪/ ভালোভাবে পানি পান করতে হবে।
৫/ স্যুপ জাতীয় তরল খাবার খেতে হবে।
৬/ স্ট্রিম ইনহেলশন ও নিতে পারেন।
২-৩ দিন দেখতে হবে এই ভাবে তারপর ডাক্তার এর শরণাপন্ন হতে হবে। টনসিলাইটিস কে অবহেলা করে চিকিৎসা না করলে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
যেমনঃ-
# Otitis Media
# Retonsiler Abcess
# Reumatic Fever
# Post Streptocokkas Arthritis ইত্যাদি হতে পারে।
এছাড়াও অনেক বেশি ইনফেকশন হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হবে। যদি গলায় প্রচন্ড ব্যাথা হয় ,রোগীর Dehydration দেখা দেয়। গলায় Obstraction fell করলে Stryder হলে বা রোগী consusnes হারিয়ে ফেললে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে তার সাথে রোগীর Respiratory Distress বা শ্বাস কষ্ট দেখা দিতে পারে। হঠাৎ রোগীর খারাপ condition হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে প্রয়োজনে সার্জারী করানো যেতে পারে।
কি কি খাবার খাওয়া যাবেঃ
১/ বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার ও Anti Oxidant জাতীয় খাবার খেতে হবে।
২/ তরল ও স্যুপ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
৩/ ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার। যেমন: মধু, ডিম, দই, আদা ইত্যাদি খেতে হবে।
কি কি খাবার খাওয়া যাবে নাঃ
১/ চিপস্
২/ চানাচুর
৩/ ফুচ্কা
৪/ চটপটি
৫/ কোমল পানি
৬/ ঠান্ডা খাবার
৭/ এলার্জি জাতীয় খাবার
৮/ অতিরিক্ত তেল, চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
চিকিৎসাঃ-
ইনফেকশন হলে Antibiotic দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
যার মধ্যেঃ-
Amoxicillin
দৈনিক ৩ বার ৮ ঘন্টা পর পর। ...............৭দিন।
Cefuroxime
দৈনিক ২ বার ১২ ঘন্টা পর পর।...............৭দিন।
Cefixime
দৈনিক ২ বার ১২ ঘন্টা পর পর।...............৭দিন।
Cephradine
দৈনিক ৩ বার ৮ ঘন্টা পর পর। ...............৭দিন।
Cefuroxime+Clavulanic Acid
দৈনিক ২ বার ১২ ঘন্টা পর পর।...............৭দিন।
Amoxicillin+Clavulanic Acid
দৈনিক ৩ বার ৮ ঘন্টা পর পর। ................৭দিন।
ইত্যাদি যেকোনো একটি গ্রুপের ঔষধ প্রয়োগ করে যেতে পারে। তাছাড়াও গলা ব্যথার জন্য
Paracetamol বা Ibuprofen Group এর ঔষধ দেয়া যাবে।
Paracetamol বা Ibuprofen
দৈনিক ৩ বার ৮ ঘন্টা পর পর। ............ব্যাথা থাকলে খাবেন।
এর সাথে Anti-Histamine জাতীয় ঔষধ দেয়া যেতে পারে। যেমনঃ-
Cetirizine
দৈনিক ২ বার।
Levocetirizine
দৈনিক ২ বার।
Desloratadine
দৈনিক ১ বার।
Fexofenadine
দৈনিক ১ বার।
Rupatadine
দৈনিক ১ বার।
যেকোনো একটি গ্রুপের ঔষধ দেওয়া যেতে পারে।
এর সাথে গ্যাষ্টিকের ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে।ৎ
Omeprazole,Esomeprazole,Pantoprazole ইত্যাদি যেকোনো একটি গ্রুপের এর ঔষধ দিতে পারবেন দৈনিক ২ বার।
আর একটি কথা রোগীকে অবশ্যই সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়া ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ এবং করোনা মহামারির আতঙ্ক কমে গেলেও সংক্রমণ থেমে নেই।
স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?
দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?
রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।
রক্তস্বল্পতা কি ? এর কারণ , লক্ষণ, চিহ্ন, চিকিৎসা এবং উপদেশ ?
কান পাকা রোগ কেন হয় এর কারণ,লক্ষণ,চিহ্ন এবং চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস বা ( চোখ উঠা ) কি ? এর কারণ , লক্ষণ/চিহ্ন , চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।