বিশ্ব ইজতিমা 2023 ও বিশ্ব ইজতিমার ইতিকথা।

 বিশ্ব ইজতিমা 2023 ও  বিশ্ব ইজতিমার  ইতিকথা

Any Help24


বিশ্ব ইজতিমা

 এ বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে এবারের  ৫৬তমবিশ্ব ইজতেমা।১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব।


বিশ্ব ইজতিমা প্রতিবছর সাধারণত  হয়ে থাকে ।  যেকোনো বার্ষিক সমাবেশের চেয়ে  বড় সমাবেশ । কিন্তু  এটা বিশেষভাবে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৈশ্বিক সমাবেশ। 

অনুষ্ঠিত হবার স্থান


Any Help24

যা বাংলাদেশের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়। তাবলিগ জামাতের এই সমাবেশটি বিশ্বে সর্ববৃহৎ, এবং এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সাধারণত প্রতিবছর শীতকালে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়, এজন্য ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসকে বেছে নেয়া হয়।


বিশ্ব ইজতিমার  ইতিকথা


Any Help24


 💢১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে। 

💢বাংলাদেশে ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার রমনা পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। 

💢১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়।

 💢১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষায়  পর পাকিস্তানের সাথে  আমাদের  অনেক আলেমদের একাত্মতা থাকায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রমনা ‍উদ্যানের স্থলে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। 

💢ওই বছর স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায়       ‘বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। 

💢১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বর্তমান অবধি ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এখানে জমায়েত হন।


বিশ্বের কতগুলোদেশ এখানে অংশ নেয়

Any Help24


✅বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগি দ্বীনদার মুসলমান জামাতসহ ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ইসলামি মহাসম্মেলন বা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।

✅ ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস [রহ.] ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় ইসলামী দাওয়াত তথা তাবলিগের প্রবর্তন করেন এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমারও আয়োজন করেন। 

✅বাংলাদেশে ১৯৫০-এর দশকে তাবলিগ জামাতের প্রচলন করেন মাওলানা আবদুল আজিজ। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র কাকরাইল মসজিদ থেকে এই সমাবেশ কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। স্থান সংকট এর পাশাপাশি জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমার আয়োজন করা হয় এবং বিগত ২০১৭ সাল থেকে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতি বছর কেবল মাত্র ৩২টি জেলা থেকে মুসল্লিগণ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। 

✅বিশ্ব ইজতেমার শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আখেরি মোনাজাত। প্রবল ধর্মচেতনায়র উদ্দীপনা নিয়ে মুসল্লিগণ আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন আর আমিন আমিন বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আখেরি মোজাতের সময় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর যেন পরিণত হয় মুসল্লিদের জোয়ারে। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়েই বিশ্ব ইজতেমার মূল কার্যক্রম শেষ হয়।


আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।
আরো পড়ুন