ব্যাডমিন্টন খেলা আবিস্কারের ইতিহাস
আজ থেকে প্রায় সোয়াশো বছর পূর্বে এই খেলার সূত্রপাত ঘটে। ইংল্যান্ডের গ্লুচেষ্টারশায়ার রাজ্যেও ব্যাডমিন্টন নামক গ্রামের ব্যাটেরডোর হলে ১৮৭৩ সালের একবৃষ্টি ভেজা দিনে এ খেলা হয়। এরপর থেকে এখানে নিয়মিত খেলা হত এবং দর্শকরা উৎসাহিত ও আগ্রহ সহ কারে এই খেলা উপভোগ করত। এভাবে ধীরে ধীরে খেলাটি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে ’ব্যাডমিন্টন এসোশিয়েশন’ গঠন করা হয়। জনপ্রিয়তা অব্যাহত থাকায় ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডের একটি পুরুষ ALL England Championship অনুষ্ঠিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতা সিঁড়ি বেয়ে ১৯৩৪ সালে International Badminton Federation (I.B.F) গঠিত হয়। এই এর প্রথম সভাপতি হন স্যার ভাই থমাস। তিনি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের জন্য একটি রূপার কাপ দেন। তার নামানুসারে আজস ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’থমাস কাপ’ নামেই প্রচলিত।
মেয়েদের জন্য টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা সর্বপ্রথম করা হয় ১৯৫৭ সালে। মিসেস এইচ,এস, ’উবের মেয়েদের জন্য একটি কাপ দেন। বর্তমানে মহিলাদের টুর্নামেন্টের কাপটি ” উবের কাপ” নামেই পরিচিত । এর দু’বছর পরে ১৯৫৯ সালে এশিয়ার কয়েকটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে এক বৈঠকের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে International Badminton Federation (I.B.F) গঠিত হয়।
১৯৬৬ সালে এশিয়ান গেমসে ব্যাডমিন্টনকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তরকালে গঠন করা হয় International Badminton Federation (I.B.F) বর্তমানে বাংলাদেশে অন্যান্য খেলার মত ব্যাডমিন্টনও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
১৯৩৪ সালে International Badminton Federation (IBF) গঠিত হওয়ার পর১৯৩৮ সালে সর্বপ্রথম খেলাটির নিয়ম কানুন প্রণীত হয়। তারপর বিভিন্ন সময়ে তা পরিবর্তিত, সংশোধিত ও সংযোজিত হয়ে ১৯৮৩ সালের মে মাসে পূর্ণতা লাভ করে। ১৯৮৩ সালে প্রণীত নীতিমালা এখনও কার্যকর রয়েছে। নিম্নে ব্যাডমিন্টন খেলার আইনকানুন তুলে ধরা হলঃ
কোর্ট (Court ) নিয়ম :
✅ ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টটি হবে আয়তক্ষেত্র এবং পরিকল্পিত নকশা ”এ” অনুযায়ী (১.৫ এর শর্ত ব্যতীত)। এবং সীমানা নির্ধারণ করতে হবে ৪০ মি.মি প্রস্থ করে।
✅কোর্টটি সাদা অথবা হলুদ লাইন দিয়ে রেখা বা দাগ কাটতে হবে যাতে সহজে পৃথক করা যায় ।
✅.সঠিকভাবে অঞ্চল রেখা অংকন করতে হবে (আইন ৪.৪)। অতিরিক্ত চারটি রেখা ৪০ মি.মি। ৪০ মি.মি ভিতরের দিকে এককভাবে খেলার জন্য কোর্ট হবে। আর পেছন থেকে সীমানা রেখা হবে ৫৩০ মি.মি এবং ৯৯০ মি.মি।
✅.প্রতি সীমানার রেখা আয়তনের অংশ হবে যেখান থেকে সীমানা নিরূপণ করা হয়েছে ।
✅.যদি দ্বৈত খেলার স্থান উপযুক্ত না হয় তাহলে ’নকশা বি’ অনুযায়ী একক খেলার কোর্ট করতে হবে। পেছনের সীমান্ত রেখা লং সার্ভিস লাইনে অথবা পোস্টে অথবা উপকরণ সমূহের (আইন ২.২) পার্শ্ব লাইনের উপর হবে।
দন্ড (Posts)
📌দন্ডটি ১.৫৫ মিটার উঁচু হবে এবং নেটকে সংবদ্ধ রাখার জন্য পার্শ্বের সীমানার নির্দেশিত রেখার সাথে ভূমিতে পুঁততে হবে (আইনত)। এবং ডাবলস্ খেলার জন্য সাইড সীমান্ত লাইন রাখতে হবে। (নকশা ’এ’)
📌 প্রয়োজন অনুসারে স্ট্যান্ডটি তৈরি করা যাবে। তবে যেখানে এাঁ প্রয়োগ সম্ভবপর না হবে সেখানে অন্যভাবে কিংবা অন্যপদ্ধতিতে বাউন্ডারি অবস্থান দেখাতে হবে, যেন তা নেটের নিচে দিয়ে অবস্থান করে।
📌এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে ৪০ মি.মিটারের কম প্রশস্ত নয় এমন পোস্ট কিংবা উপকরণ ব্যবহার করা যাবে যেটি পার্শ্ব বাউন্ডারি লাইনে স্থিও থাকে এবং নেট কোর্টে সমান্তরাল থাকে।
📌 ডাবলস্ খেলার জন্য কোর্টে যখন এটি ব্যবহার করা হবে তখন সিঙ্গেলস্ কিংবা ডাবলস্ উভয় খেলাতেই তা পার্শ্ব বাউন্ডারি লাইনে রাখতে হবে।
📢 জাল তৈরি করতে হবে সুন্দর কালো দড়ি অথবা রঙীন দড়ি দিয়ে। আর জালটি বুনন ফাঁকগুলো ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটারের বেশি ফাঁক হবে না।
📢 জালের গভীরতা হবে ৭৬০ মি.মি।
📢 জালের উপরের প্রান্ত ৭৫ মি.মি সাদা টেপ বা ফিতা দিয়ে এঁটে দিতে হবে যা পোস্টের উপরের দিকে বাঁকা থাকবে।
📢 দড়ি বা তারটি উপযুক্ত আকার এবং ওজন অনুযায়ী পডটি টেনে লম্বা করে দিতে হবে।
📢 নেটের উপরিভাগ মধ্য ভূ-ভাগের ভূ-তল থেকে ১.৫২৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত থাকবে এবং পোস্টটি ১.৫৫ মিটার উচ্চতায় থাকবে।
📢 নেট বা জালের শেষ প্রান্ত এবং দন্ডটির শেষ প্রান্তে কোন শূন্য জায়গা থাকবে না। আর যদি প্রয়োজন হয় তবে নেটের পুরো গভীরতা পর্যন্ত শে প্রান্ত বেঁধে দিতে হবে।
শাটল (SHUTTLE)
শাটলটি কোন প্রাকৃতিক কিংবা নানা বস্তু দিয়ে গঠিত হতে পারে। তবে যা কিছু দিয়ে গঠিত হবে তা একই ধরনের প্রাকৃতিক পালকের মতো স্তরে স্তরে সাজাতে হবে এবং পাতলা চামড়ায় স্থাপন করতে হবে। শাটলটি নিম্নরূপ হবে:
💢 সাধারণ আকার
💢শাটলটি নির্ধারিত ১৬ টি ফিদার বা পালক স্তরে স্তরে সাজতে হবে।
💢 শাটলটির পালক লম্বা হবে ৬৪ টি মি.মি থেকে ৭০ মিলিমিটারের মধ্যে এবং মূল থেকে পরিমিত আকারে।
💢 পালকগুলোর চারপাশের ব্যাস ৫৮ মি.মি থেকে ৬৮ মি মিটারেরর মধ্যে গোলাকার হবে।
💢পালকগুলো সূতা অথবা এ জাতীয় জিনিস দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।
💢নিচের অর্থাৎ তলদেশের ব্যাসরেখা হবে ২৫ মি.মি থেকে ২৮ মি. মিটারের মধ্যে।
💢 ওজন: শাটলের ওজন হবে ৪.৭৪ গ্রাম থেকে ৫.৫০ গ্রামের মধ্যে।
💢 পালকহীন শাটল
💢 ঘাঘরা জাতীয় বা তার অনুকরণে নানা বস্তুর মিশ্রণে তৈরি হলেও চলবে, তবে তা যেন প্রাকৃতিক পালকের মত হয়।
💢 তলদেশের আকার হবে আইন ৪.১.৫ এর অনুরূপ।
💢 মাপ নির্ধারণ এবং ওজন হবে আইন ৪.১.২, ৪.১.৩ এবং ৪.২ অনুযায়ী। যা হোক যদি বিশেষ ভারী হয় এবং মিশ্রণ পদার্থের তৈরি হ তাহলে তুলনামূলক শাটলের পালকগুলো ১০% ভাগ গ্রহণযোগ্য হবে।
শাটল টেস্টিং
💢যদি এই অবস্থার সৃষ্টি হয় যখন খেলার সাথে প্রয়োজনীয় শাটলের পিস সঠিক হবে যদি একজন মাঝারী শক্তির খেলোয়াড় সাইড লাইনের উপর সমান্তরাল কোন লাইনের কোন স্থান থেকে গড়- পড়তা শক্তিতে আঘাত করে যাতে উর্ধ্ব কোনাকার গর্ত থাকে।
👉 আর তা যেন অন্যদিকের পেছনের প্রান্তরেখার ৫০মিলিমিটারের কম নয় কিংবা ৯৯০ মিলিমিটারের বেশি যাতে না হয় এমন অবস্থানে পড়ে ।
👉 শাটলের ডিজাইন, ওজন, ফ্লাইট, প্রেস সাধারণত পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে তা করা যেতে পারে।
তবে তা
👉 কোন স্থানে যদি আবহাওয়া বা জলবায়ু শাটল ব্যবহার ব্যাঘাত না ঘটায়।
👉 কোন বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি হলে যদি খেলার স্বার্থে শাটলের পিস সঠিক হয়।
র্যাকেট (Racket)
👉র্যাকেটের উপরিভাগ অর্থাৎ আঘাত হানার জায়গাটি হবে সমতল। যা আড়াআড়িভাবে দড়ি জাতীয় তার দিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে পেঁচানো থাকবে। দড়িটি হবে সাধারণ ধরনের কিংবা বিশেষ। যা হোক তার কেন্দ্রের চারিদিকে কাছাকাছি করে পেঁচানো থাকবে।
👉 র্যাকেটের ফ্রেম হাতলসহ লম্বায় ৬৮০ মিলিমিটারের বেশি হবে না এবং সামনের গভীরতা ২৩০ মি. মিটারের বেশি হবে না।
👉 র্যাকেটের সামনের মাথা লম্বায় হবে সর্বসমেত ২৯০ মি. মিটারের মধ্যে।
👉 তবে ক্ষেত্র বিশেষ উপরিভাগটি ২৮০ মিলিমিটারের বেশি লম্বা এবং ২২০ মিটারের বেশি গভীর হতে পারবে না।
👉 র্যাকেট
👉 র্যাকেটটি বহি প্রসারণ থেকে মুক্ত থাকবে যাতে কোন কিছু আটকে না যায় এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। র্যাকেটের হাতল এবং বুনন ও ওজন সঠিক থাকবে।
👉তবে র্যাকেট যে কোন ধরনের কৌশলের বাইরে থাকতে হবে যাতে খেলোয়াড়রা র্যাকেটের আকার পরিবর্তন করে খেলতে পারে।
অনুমোদিত সরঞ্জাম (Approved Equipment)
International Badminton Federation যে কোন প্রশ্নের কারণেই র্যাকেট, শাটল তথা অন্যান্য উপকরণের ব্যবহারের আদর্শ বা নমুনা ব্যবহারের কথা বলেছে, খেলোয়াড়রা যাতে সম্মত হয়ে খেলতে পারেন। অন্যকথায় খেলোয়াড়ের জন্য অনুমোদিত হবে, না হয় অনুমোদিত হবে না। তবে এর দায়িত্ব থাকবে ফেডারেশন যারা আরম্ভ করবেন তাদের।
খেলোয়াড় (Players)
💥 ম্যাচে যারা অংশগ্রহণ করবে তারাই হবে খেলোয়াড়।
💥যদি এক পক্ষে দুজন করে খেলে তাহলে সেটা হবে ’দ্বৈত খেলা বা ডাবলস্ আর যদি এক পক্ষেএকজন করে থাকে তাহলে সেটা হবে’একক বা সিঙ্গেলস’ খেলা।
💥 যারা সার্ভিস করবে তাদের পক্ষকে বলা হবে ’ইন’ সাইড আর তার বিপক্ষ দলকে বলা হবে ’আউট’ সাইড।
টস (Toss)
💥 খেলা শুরুর পূর্বে দু’পক্ষের মধ্যে টস হবে। যারা টসে জিতবে তারা নিম্মরূপ সুবিধা পাবে; (আইন ৮.১.১ অথবা ৮.১.২)
💥 প্রথম সার্ভিস করবে।
💥 সাইড নিরূপণ বা পছন্দ করবে।
💥 তারপর যে দল টসে হেরে যাবে সে দল বাকি যে কোন একটি পছন্দ করে নিবে।
পয়েন্ট (Scoring)
💅 পুরুষদের একক বা দ্বৈতখেলায় ১৫ পয়েন্ট গেম সফল হবে যদি পয়েন্ট ১৩ সমান সমান হয়।
💅 এ ক্ষেত্রে যে দল প্রথমে তের (১৩) করবে তাদের ৫ পর্যন্ত সেটিং করার অধিকার থাকবে।
💅 ১৪ সমান পয়েন্ট হলে ৩ পর্যন্ত সেটিং করার অধিকার থাকবে। কিংবা খেলোয়াড়রা ইচ্ছা করলে ১৫ পয়েন্টেই ডিউস না নিয়ে শেষ করতে পারবে।
💅 গেম শেষ হয়ে যাবার পর পয়েন্ট দাঁড়াবে লাভ অল (খড়াব ধষষ) এবং যে দল সমান সমান ১৩ বা সমান সমান ১৪ পয়েন্টের সেট অনুযায়ী ৫ বা ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করবে সে দল বিজয়ী হবে।
💅 গেম সেট করার অধিকারের জন্য ১৮ সমান যা ১৪ সমান পয়েন্ট এ যাওয়ার পরের সার্ভিস করার পূর্বেই সমান করতে হবে।
💅 মেয়েদের সিঙ্গেলস্ খেলা ১১ পয়েন্ট হবে। যদি ৯ সমান পয়েন্ট হয় তবে যে প্রথম ৯ পয়েন্ট করবে তার ৩ পয়েন্ট সেট করার এবং পয়েন্ট ১০ সমান হলে যে প্রথম ১০ করবে তার ২ টি সেটিং করার অধিকার রয়েছে।
💅 এ ক্ষেত্রে ইচ্ছা করলে খেলোয়াড়রা ১১ পয়েন্টেই ডিউস্ না নিয়ে শেষ করতে পারবে।
💅 যে পার্শ্ব বা দল প্রথম সুযোগে সেটিং করার অধিকার প্রত্যাখান করবে তাকে দ্বিতীয় সেটিং করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
💅 উল্লিখিত ’এ’ প্যারাগ্রাফ সত্ত্বেও, পূর্ব ব্যবস্থা থাকলে কেবল একটা গেম খেলা যেতে পারে এবং সেটা হবে ২১ পয়েন্টে, সে ক্ষেত্রে সেটিং হবে ১৫ পয়েন্টের খেলার মত ১৯ এবং ২০ এ বিকল্প হিসেবে নম্বর হবে যথাক্রমে ১৩ এবং ১৪ পয়েন্টের মতো।
শেষের পরিবর্তন (Change of Ends)
💦 তিনটিতে সর্বোত্তম এমন খেলার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে কিংবা পারস্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্বান্ত নিতে হবে।
💦 দ্বিতীয় খেলা শুরুর পূর্বে খেলোয়াড়রা দিক বা স্থান করবে।
💦 তৃতীয় খেলা শুরুর পূর্বে খেলোয়াড়রা দিক বা স্থান বদল করবে।
💦 তৃতীয় খেলার শেষে আবারও স্থান বদল হবে। যখন:
✋১৫ পয়েন্টের খেলায় ৮ পয়েন্ট হবে।
✋ ১১ পয়েন্টের খেলায় ৬ পয়েন্ট হবে।
✋১১ পয়েন্টের খেলায় ৬ পয়েন্ট হবে।
💦অথবা প্রতিবন্ধকতামূলক ইভেন্টস এ খেলা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পয়েন্টের অর্ধেক পয়েন্ট কোন পক্ষ স্কোর করে। কিংবা যখন কেবল একটি ’গেম’ খেলতে সম্মত হয় তখন খেলোয়াড় বা তৃতীয় গেমের ক্ষেত্রে যেভাবে পার্শ্ব পরিবর্তন করবে।
💦 ২১ পয়েন্টে খেলারক্ষেত্রে বিজয়ী ১১ পয়েন্ট অর্জন করলে পার্শ্ব বা কোর্ট পরিবর্তন করবে অথবা প্রতিবন্ধকতামূলক খেলায় উপরের নিয়মানুযায়ী হবে। তবে ১১ পয়েন্ট কিংবা উক্ত তালিকা অনুসারে পয়েন্ট অর্জনের সাথে সাথে কোর্ট পরিবর্তন করতে ভুল হয়ে থাকলে এই ভুল ধরার সাথে সাথে কোর্ট পরিবর্তন করতে হয় এবং এ সময়ে অর্জিত পয়েন্ট বহাল থাকবে।
সার্ভিস (Service)
💫 সঠিক সার্ভিস হলো।
💫১ ডান হাতের সার্ভিস কোর্ট থেকে প্রতিবারের প্রথম সার্ভিস করতে হবে।
💫২ সার্ভিসকারীর র্যাকেটের দ্বারা শাটল আঘাতপ্রাপ্ত হলেই সার্ভিস হয়েছে বলে ধরা হবে। শাটল তারপর ’ইন’ থাকবে।
💫৩ সার্ভিস হওয়ার পরে সার্ভিসকারী তার পক্ষের খেলোয়াড় নিজেদের দিকে যে কোন স্থানে দাঁড়াতে পারবে বা যেতে পারবে।
💫 তবে যার কাছে সার্ভিস করা হবে প্রথমে কেবল সেই সার্ভিসটি গ্রহণ করবে, কিন্তু তার অন্যসঙ্গী সার্ভিস রিসিভ করলে বিপক্ষ খেলোয়াড় পয়েন্ট পেয়ে যাবে।
💫কেবল একজন খেলোয়াড় (যে খেলার শুরুতে সার্ভিস শুরু করবে) প্রথম ইনিংসে ।