ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট।ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট কী,সুবিধা, সীমাবদ্ধতা।

 ফ্রিল্যান্সারদের জন্য  সুখবর নিয়ে এলো ব্র্যাক ব্যাংক

Any help24

 ফ্রিল্যান্সারদের জন্য  নিয়ে  ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের সুবিধা ঃ


দেশে দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সার বেড়েয় চলেছে , আর সেই সাথে বাড়ছে তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও। তবে এখনও ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম অসুবিধা পেমেন্ট নেয়া ও বাহিরে পেমেন্ট প্রদান করা। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বাহিরের দেশের সাথে লেনদেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশ থেকে অর্থ দেশে আনার ব্যাপারটা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজ হয়েছে গেছে। তবে দেশ থেকে বিদেশে পেমেন্ট করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার দরকার হয়।


বাংলাদেশ হতে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড ও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাহিরের দেশে পেমেন্ট করা যায়। ডুয়াল কারেন্সি বলতে একই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুই ধরণের অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা থাকাকে বোঝানো হয়। বাহিরের দেশে পেমেন্ট করার জন্য সবথেকে জনপ্রিয় অর্থ হচ্ছে ডলার। কিন্তু ডলার ও টাকার ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খোলা খুব সহজ ব্যাপার নই।


প্রথমত আপনাকে পূর্ণবয়স্ক হতে হবে এবং পাসপোর্ট থাকতে হবে। তবেই শুধুমাত্র ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব। কিন্তু অনেক ফ্রিল্যান্সার কিশোর বয়স হতেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে বলে তাদের জন্য এই অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব হয় না। তাই বাহিরের দেশে পেমেন্ট করা বেশ ঝামেলার ব্যাপার দেশের কিশোর ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।


এই সমস্যা সমাধান করতে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন এক ধরণের ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট সেবা নিয়ে এসেছেন যা যে কোন ফ্রিল্যান্সারদের পরিচয় যাচাইয়ের মাধ্যমে খুব সহজেই খুলে নিতে পারবে। এই অ্যাকাউন্টটা নতুন ধরণের হওয়ায় এবং সাধারণ ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট হতে ভিন্ন হওয়ায় আমাদের অনেকেরই এই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা নেই। এই অ্যাকাউন্টের সকল সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করা হবে আমাদের এই পোস্টে।


ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট কী?


ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট সাধারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হতেই আলাদা এক ধরণের ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টটা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সাররাই খুলতে পারবে। সাধারণ মানুষের জন্য এই অ্যাকাউন্ট নই। ফ্রিল্যান্সার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য আপনার বাহিরের দেশের সাথে লেনদেনের বিবরণ ও সরকার কতৃক প্রদত্ত ফ্রিল্যান্সার কার্ড দরকার হবে। ফ্রিল্যান্সার কার্ড নিয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটা দেখে নিতে পারেন।


সাধারণ ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্টে আপনি ডলার ব্যবহার করতে গেলে পাসপোর্ট থাকতে হয় এবং পাসপোর্টে এনডোর্স করার মাধ্যমে ট্রাভেল কোটা হতে আপনাকে বাহিরের দেশে পেমেন্ট করতে দেয়া হয়। তবে এখানেই ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট ভিন্নতর । ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টে পাসপোর্ট এনডোর্স করার কোনো দরকার  নেই। এই অ্যাকাউন্টে যে ডলার থাকে সেটি আপনার ট্রাভেল কোটা হয়তেও শেষ হইবে না। এই অ্যাকাউন্টের ডলার একটি ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট। ইআরকিউ মানে এক্সপোর্ট রিটেনসন কোটা। অর্থাৎ আপনার ব্যবহৃত ডলার আমদানি ও রপ্তানি কাজে ব্যবহৃত কোটা থেকে হিসাব হবে।


অর্থাৎ এই অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনাকে সেবা রপ্তানিকারক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি এলসি খোলার মাধ্যমে যে পদ্ধতিতে আমদানি-রপ্তানি করে আপনার এই অ্যাকাউন্ট সেভাবেই কাজ করবে। এটিই সাধারণ অ্যাকাউন্ট থেকে মৌলিক পার্থক্য ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের।


ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের সাথে আপনি একটি ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট ভিসা কার্ড পেয়ে যাবেন। যার মাধ্যমে আপনি দেশের বাহিরেও কেনাকাটা করতে পারবেন এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তাই ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য অনেক বেশি সুবিধা নিয়ে আসেন।



ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের সুবিধাঃ-


বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিশেষ সুবিধাযুক্ত এই ক্যাটাগরির তিন রকমের অ্যাকাউন্ট রেখেছে। যেমনঃ


* ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট

* ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট

* ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স কারেন্ট অ্যাকাউন্ট

এগুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট শুধুমাত্র ডুয়াল কারেন্সি অ্যাকাউন্ট। যেখানে একটি ইআরকিউ অ্যাকাউন্ট আছে ইউএসডি ব্যালেন্সের জন্য, অপরটি সাধারণ বিডিটি লোকাল কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট। মূলত বাহিরের দেশের ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করতে চাইলে এবং পেমেন্ট সরাসরি ডলারে পেতে চাইলে এই অ্যাকাউন্ট করতে হবে ফ্রিল্যান্সারদের।


সব থেকে বড় সুবিধা হলো এর সাথে থাকা ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড যেটি দিয়ে বাহিরের দেশের যে কোনো ওয়েবসাইটে কেনাকাটা করতে পারবেন। এমনকি বাহিরের দেশে ভ্রমণে গিয়ে এটিএম থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন খুব সহজেই। এই কার্ডের প্রথম বছরের ফি সম্পূর্ণ ফ্রি, তবে পরের বছর হতে বার্ষিক ১০ ডলার পর্যন্ত চার্জ কাটতে পারে। এই কার্ড ব্যবহারে ডলার ব্যয়ে আপনার ট্রাভেল কোটা থেকে হিসাব নেওয়া হবে না।


ট্রাভেল কোটা অত্যন্ত সীমিত আকারে হয়ে থাকে এবং ৩০০ ডলারের অধিক ব্যয় করতে হলে আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই অ্যাকাউন্টে সেরকম সমস্যায় পড়বেন না। কেননা আপনাকে একজন সেবা-রপ্তানিকারক হিসেবে সেই কোটা হতে এই ডলার খরচের হিসাব ধরা হইবে। সুতরাং অনেক বেশী সীমা পর্যন্ত খুব সহজেই এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।


আরেকটি সুবিধা বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস যেমন: আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম, ফাইভার ইত্যাদি জায়গা থেকে সরাসরি আপনার এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে ডলারের পেমেন্ট নিতে পারবেন। তবে ১০ ডলারের উপরে প্রতিটি পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ৩৫% শুধু ডলারে জমা হবে। বাকি ৬৫% টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার লোকাল কারেন্সি অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে পরবর্তীতে আপনি চাইলেই ব্র্যাঞ্চ বা অ্যাপ ব্যবহার করে বাকি ডলার কে টাকায় রূপান্তর করতে পারবেন। ১০ ডলারের নিচে পেমেন্ট প্রতিটি টাকাতেই জমা হবে। কিন্তু এভাবে সরাসরি ডলারে পেমেন্ট নেওয়ার সুবিধা দেশের আর কোনো অ্যাকাউন্টের নেই।


👉বিকাশ অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট যেভাবে পাবেনঃ-


এই অ্যাকাউন্ট দিয়েই সাধারণ ব্যাংকের মতোই সকল কাজ করতে পারবেন। আছে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ব্র্যাঞ্চ ব্যাংকিং ও অন্যান্য সকল ধরণের সুবিধা। লোকাল কারেন্সি অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার পরিমাণের উপর নির্ভর করে বর্তমান রেট অনুযায়ী ইন্টারেস্টও পেয়ে যাবেন অ্যাকাউন্টে। ব্র্যাক ব্যাংকের আস্থা নামের অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনেই লেনদেনের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। সুতরাং ঘরে বসেই এই অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।


অ্যাকাউন্টের বড় সুবিধা হলো যে এই অ্যাকাউন্টের কোনো ধরণের মেইনটেন্যান্স ফি নেই। একদম শূণ্য ব্যালেন্স দিয়ে এই অ্যাকাউন্টটা খোলা যায়। শুধুমাত্র ডেবিট কার্ডের চার্জ আপনাকে প্রদান করতে হইবে।


বাহিরের দেশে লেনদেনের জন্য খুবই কার্যকর এই অ্যাকাউন্টটা। অন্য ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের জন্য কল করে বা ব্রাঞ্চে গিয়ে অনুমতি নিতে হয় মাঝেমধ্যেই। তবে এই অ্যাকাউন্টে এই ধরণের কোনো সমস্যা পাবেন না। দেশে ও দেশের বাহিরে খুব সহজেই সকল ধরণের লেনদেন করতে পারবেন।


ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের কিছু সীমাবদ্ধতাঃ-

ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্ট বাহিরের দেশে লেনদেনের জন্য বেশ ভালো একটি অ্যাকাউন্ট হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এগুলো তাই এই অ্যাকাউন্ট করার আগেই জেনে নেওয়া দরকার। প্রথমত এই একাউন্টে পুরোপুরি ডলার ব্যালেন্স পাবেন না, প্রতি পেমেন্টের ৩৫% শুধু জমা হবে ডলার ব্যালেন্সে।


এই অ্যাকাউন্টের সাথে থাকা ডেবিট কার্ডের চার্জ প্রথম বছর ফ্রি হলেও পরের বছর থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত যা সাধারণ ব্যাংকের ডেবিট কার্ড এর থেকে বেশি। তাই চার্জের ব্যাপারটি মাথায় রাখা সকল ফ্রিল্যান্সারদের উচিত। ডলার ব্যালেন্সের জন্য কখনোই ইন্টারেস্ট পাবেন না, যা কেউ কেউ নেতিবাচক দেখতে পারেন। ম্যাট্রিক্স কার্ড দেশের মধ্যে পিওএস ও ইকমার্স লেনদেনের ক্ষেত্রে  কোনো ভাবেই ব্যবহার করা সম্ভব না। এটি এই কার্ডের বড় একটি সীমাবদ্ধতা বলতে পারেন।


সুতরাং ম্যাট্রিক্স অ্যাকাউন্টের সীমাবদ্ধতার চেয়ে সুবিধাই বেশি। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারই যে এই কার্ড আপনার জন্য কতটা সুবিধা বয়ে আনতে পারে। এই অ্যাকাউন্টের আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন ব্র্যাক ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে।

আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।  

পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে

ফুটবল খেলার ইতিহাস ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।

জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।

আরো বিভিন্ন বিষয় পড়ুন ।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান, 

ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ । 

বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।

বাংলা যুক্তবর্ণ

Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।

বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।

বিভিন্ন বিসিএস এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরিক্ষায় আসা বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান, কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর ।

কিডনি সম্পর্কিত কিছু কথা ।