রাতকানা রোগ কী ? রাতকানা রোগ কেন হয় ? এবং এর প্রতিকার ।

 রাতকানা রোগ এটা একধরনের জেনেটিক রোগ । 

blind


যেখানে রাত্রিকালীন দৃষ্টির পাশাপাশি দিনের বেলা দেখার ক্ষমতাও নষ্ট হতে থাকে। রাত্রিকালীন অন্ধত্বের ফলে জন্ম থেকে রড কোষ জন্মের পর থেকেই কাজ করে না, বা অল্প পরিমাণ কাজ করে, কিন্তু এই অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। রাতকানা রোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রেটিনল বা ভিটামিন এ-এর অভাব 

রাতকানা রোগের কারণ ? 

ভিটামিন এ স্বল্পতার কারনে  রাত কানা রোগ হয় : শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ঘাটতিজনিত কারণে চোখের রড সিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে শিশুর ডায়রিয়াজনিত কারণে হঠাৎ করে ভিটামিন এ ঘাটতি খুব বেশী হয়েগেলে এ সমস্যাটি দেখা দেয়। ভিটামিন এ কেম্পেইনের কারণে এ সমস্যার তীব্রতা আগের যেকোনো সমসয়ের চেয়ে কম। তবে এখনো এটি ঝুঁকিমুক্ত নয়।
চোখের রোগ : চোখের এমন কিছু সমস্যা আছে যেগুলোতে রড সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রাতকানা রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন : রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা (আরপি); হাই মায়োপিয়া; রেটিনাল ডিস্ট্রোফি ইত্যাদি।

রাতকানা রোগ প্রতিরোধের উপায় ।

আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যদিওবা ক্যাপসুল খাওয়ানোর নির্দিষ্ট একটি নিয়ম রয়েছে। এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের প্রথম দিন একটি, দ্বিতীয় দিন দুইটি; অর্থাৎ দুই সপ্তাহে ১৪ টি ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। এবং এক বছরের কম বয়সী শিশুদের একই নিয়মে অর্ধেক ভিটামিন এ ক্যাপসুল অর্থাৎ প্রতিবার চার ফোঁটা করে খাওয়াতে হবে।

একটু সর্তকতা অবলম্বন করলেই রাতকানা রোগ থেকে দুরে থাকা যাবে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধের বেশ কিছু উপায় রয়েছে।

রাতকানা রোগীদের জন্য সাবধানতা ।

আপনার যদি রাতকানা রোগ থাকে তবে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে আপনার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার রাতকানা রোগের কারণ নির্ধারিত না হওয়া এবং সম্ভব হলে চিকিত্সা না করা পর্যন্ত রাতে যতটা সম্ভব গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন।দিনের বেলা আপনার ড্রাইভিং করার ব্যবস্থা করুন, বা আপনার যদি রাতে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ট্যাক্সি পরিষেবা থেকে যাত্রা নিরাপদ করুন।আপনি যখন উজ্জ্বল আলোকিত পরিবেশে থাকবেন তখন সানগ্লাস বা একটি কাটা টুপি পরাও ঝলক কমাতে সহায়তা করতে পারে যা অন্ধকার পরিবেশে রূপান্তরকে সহজ করতে পারে।

রাতকানা রোগের ঔষধ

প্রতিরোধ এই রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাদ্য, যেমন: মাছের যকৃতের তেল, কলিজা, সবুজ শাকসবজি, রঙিন ফল(পাকা আম, কলা ইত্যাদি) ও সবজি (মিষ্টি কুমড়া, গাজর ইত্যাদি) এবং মলা-ঢেলা মাছ খেতে হবে।
উচ্চক্ষমতা সমূর্ণ ভিটামিন (এ ) ক্যাপসুল খেতে হবে ।

রাতকানা রোগীদের সাবধানতা

আপনার যদি রাতকানা রোগ থাকে তবে নিজেকে এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে আপনার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আপনার রাতকানা রোগের কারণ নির্ধারিত না হওয়া এবং সম্ভব হলে চিকিত্সা না করা পর্যন্ত রাতে যতটা সম্ভব গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন।দিনের বেলা আপনার ড্রাইভিং করার ব্যবস্থা করুন, বা আপনার যদি রাতে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা ট্যাক্সি পরিষেবা থেকে যাত্রা নিরাপদ করুন।আপনি যখন উজ্জ্বল আলোকিত পরিবেশে থাকবেন তখন সানগ্লাস বা একটি কাটা টুপি পরাও ঝলক কমাতে সহায়তা করতে পারে যা অন্ধকার পরিবেশে রূপান্তরকে সহজ করতে পারে।



আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?