পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে ওপারে পাড়ি দিলেন ফুটবলের রাজা পেলে
মানুষ জন্মগ্রহণ করে এটা যেমন সত্য তেমনি একটি সময় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ওপারে পাড়ি জমাতে হবে এটাও তেমনি সত্য।
সৃষ্টিকর্তার নির্মম এই জন্ম মৃত্যুর খেলায় দিন দিন অনেকেই মারা যাবে অনেকেই জন্ম নেবে। এর সাথে সাথে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে অনেক কিংবদন্তি, তারকা, বিখ্যাত ব্যক্তি। আর এভাবেই আমাদের মাঝে থেকে চলে গেলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। মৃত্যুকালীন সময়ের পেলের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তাকে ব্রাজিলের সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়
সাও পাওলো আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। বেশ কয় বছর ধরে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত ছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে।
সবকিছুই চলছিল ঠিকমতো তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন নিজের সুস্থতার কথা। কিন্তু হঠাৎ করে থমকে গেল সব। ক্লোন ক্যান্সার অপারেশন এরপর সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে ছিলেন ব্রাজিলের কালো মানিক পেলে।
হঠাৎ করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গেল ৩০ শে নভেম্বর আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যে মানুষটা দাঁড়িয়ে ছিলেন ফুটবল মাঠে, যার খেলা দেখে বিশ্ব নতুন করে চিনেছিলেন ফুটবলকে।
ফুটবলের এই কিংবদন্তি চলে গেলেন সবাইকে কাঁদিয়ে। ফুটবলের আসর গুলোতে আর দেখা যাবে না তাকে। কোন ফ্যান আর ছবি তোলার সুযোগ পাবে না তার সাথে।
বিশ্ব ফুটবল কে এগিয়ে নিতে আর কোন পরামর্শ দিবেন না তিনি। ১৯৪০ সালের ২৩ শে অক্টোবর ব্রাজিলের জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার বিশ্বকাপের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে গোল করেন।
১৯৫৮ সালের সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে বাইসাইকেল কিকে করা তার গোলটি অনেকের মতে ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসের এখনো সেরা গোল।
পেলে চার বার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে তিনবার ব্রাজিলকে উপহার দেন শিরোপা। জাতীয় দল বা ক্লাব ফুটবল প্রতিটি ক্ষেত্রে পেলের যাদুঘরে ফুটবল মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। তার ফুটবল নৈপুণ্যের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
ফুটবলের যখন আধুনিকতার ছায়াও পরেনি সেই সত্যিকারের সাদাকালো যুগের রঙিন খেলোয়ার হলো পেলে।
১৯৫৩ সালে ফুটবল পাইয়ে ছুটতে শুরু করে সদ্য শৈশব পার করা ব্রাজিলিয়ান এডসন আরান্তেস ডো নাসিমেন্টো পরবর্তীতে তিনি পেলে নামে পরিচিতি পান। ১৯৫৫ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে হেরে ব্রাজিলের শিরোপা জেতা স্বপ্নভঙ্গ হয়। সেই দিনের ছোট পেলে বাবাকে কথা দিয়েছিলেন বড় হয়ে নিজেই বিশ্বকাপ জেতাবে ব্রাজিলকে।
পেলের জীবনী নিয়ে নির্মিত ছবি বার্থ অফ এ লিজেন্ড তে ফুটে উঠে সেই দৃশ্য। ক্যারিয়ার এর শেষ প্রান্তে এসেও মেসি, রোনালদোদের একটি বিশ্বকাপের জন্য কতই না হাহাকার। অথচ ইতিহাসের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপ জিতে বসে আছেন রাজার আসনে। তিনি ১৯৫৮, ১৯৬২,১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে করেছেন চ্যাম্পিয়ন।
কিন্তু ১৯৬৬ সালে ট্রফি জেতা হয়নি তার।
তবে ১৯৫৮ সালে ১৭ বয়সী পেলের হাত ধরে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেন সেলে সাউথ এরা। সুইডেনের সেই আসরে ছিল পেলে প্রথম বিশ্বকাপ। সেবার প্রথম দুটি ম্যাচে মাঠেই নামানো হয়নি তাকে। শেষ চারটি ম্যাচের সুযোগ পেয়ে ছয়টি গোল করেন তিনি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের বিপক্ষে জয় সূচক গোলটা এখনো বিশ্বকাপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার আসনে বসে আছেন পেলে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়ার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন আর এই রেকর্ডটা এখনো অক্ষত আছে। ফাইনালের সুইডেনের বিপক্ষে করেছিলেন জোড়া গোল।
ব্রাজিলের হয়ে পেলে ৯২ টি ম্যাচ করেছিলেন ৭৭ টা গোল। আন অফিসিয়াল সহ ১৯৯ ম্যাচে গোলের সংখ্যা ১৩৫৪ টা তবে অফিসিয়াল ৭৩২ টা। তবে বিশ্বকাপে ১৪ টি ম্যাচে গোল করেছেন ১২ টা। পেলে তার ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটিয়েছেন SANTOS FUTEBOL CLUBE. ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটির হয়ে ৬৩৬ ম্যাচে গোল করেছেন ৬১৮টা। নিউইয়র্ক ক্র্যাচম্যাচের হয়ে ৬৪ ম্যাচে ৩৭ টা গোল।
বেশির ভাগ ফুটবল বিশেষত্বের মতে সবার চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন পেলে। ২০০০ সালে আই.এফ.এফ.এইচ.এস এর উদ্যোগে সাবেক খেলোয়ার ও সাংবাদিকদের ভোটে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি পান পেলে।
সেখানে ১৭০৫ টি ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করেন পেলে । পেলের পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে একটা কথা বেশি শোনা যায়। তিনি কখনোই ইউরোপের লিগে খেলে নেই। কিন্তু ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স দেখলে চোখ কপালে উঠবে। ইউরোপে মোট ১৩০ টি ম্যাচ খেলে মোট গোল করেন ১৪২ টা।
এই অভিস্মরণীয় ফুটবল ক্যারিয়ার গড়ে তুলে সকল ফুটবল ভক্তদের হৃদয় স্থান করে নিয়েছে। আর এই ফুটবল ভক্তদের কাঁদিয়ে সে চলে গেলেন দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে। বছর দুয়েক আগে ফুটবলের আরেক কিংবদন্তি ম্যারাডোনা বিদায় তখন মুচ্ছমান পুরা বিশ্বে তখনই জেনেযায় টুয়েটয়ে বিদায় পেলে বলে যান বন্ধু তোমার সাথে একদিন ফুটবল খেলবো স্বর্গে।
আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ ।
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।
বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।