ই-হেলথ (E-Health)
১৯৯৯ সাল থেকে ই-স্বাস্থ্য (E-Health) ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সাধারণমানুষের অসুস্থতা বা রোগ নির্ণয়ে দারুন ভূমিকা পালন করে আসছে। ই-স্বাস্থ্য বাংলাদেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে কম সময়ের মধ্যে পৌছে দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এর সেবা ডাটাবেস সিস্টেম উন্নত এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নিরলস কাজ করছে। এছাড়া ই-হেলথ স্ট্যান্ডার্ডস এবং অভ্রন্তরীন প্রক্রিয়ার কাঠামো বিকশিত করার উদ্যোগও নিয়েছে। এতে স্বাস্থ্য সংস্থা , এনজিও, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচীর মান এবং অভ্যন্তরীন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে অবস্থিত বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ ইন্টারনেট সুবিধাসহ ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রদান করা হচ্ছে।
২০১২ সাল শেষ হবার আগেই আরও ৩,৫০০ ল্যাপটপ বাকি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহ করা হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনা বর্তমান সরকারের মুখ্য কর্মসূচীগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।
প্রতি ৬,০০০ জনসংখ্যার জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ক্সতরির পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং দেশের সর্বস্তরের
আমাদের গ্রামীণ জনসংখ্যার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৮,০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগ হতে এই কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে বিভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যে ল্যাপটপ দেয়া হচ্ছে যেমনঃ টেলিমেডিসিন, লোকাল হেলথ বুলেটিনে ডাটা হালনাগাদকরণ, সাধারণ নাগরিককে স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি। এই ল্যাপটপগুলোতে তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ এবং অর্ন্তগ্রথিত ওয়েব ক্যামেরা ও অডিও সিসটেম আছে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে সিএইচসিপিগণ
স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। যদি কোন রোগীর একজন চিকিৎসকের নিকট থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত পরামর্শ দরকার হয় তবে এক্ষেত্রে টেলিমেডিসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কাছের যে কোন উপজেলা হাসপাতালে
উপস্থিত ডাক্তার ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই সেবা দিতে পারবেন। এর ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে
ডাক্তারের অনুপস্থিতি পূরণ করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থার জন্য মানদন্ড নির্ধারণ ও একই বা
ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইজসমূহের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা (Inter-operability) নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি খসড়া গাইডলাইন ক্সতরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান যেমন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থা ও কর্মসূচিসমূহ; অন্যান্য মন্ত্রণালয়ভূক্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ; বেসরকারি সংস্থাসমূহ ও উন্নয়ন-সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে।
আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ ।
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।
বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।