অ্যানালগ সিগন্যাল (Analogy Singnal) :
অবিচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক সংকেতকে অ্যানালগ সিগন্যাল বলে। সময়ের সাথে অ্যানালগ সিগন্যালের মানের পরিবর্তন অসীম। সাধারণ সিগন্যাল উৎপাদন্নকারী যন্ত্র, ভৌত রাশিমালা। যেমন: চাপ, তাপ আলোকতীব্রতা শব্দ ইত্যাদীকে ট্রান্সডিউসার এর মাধ্যমে সমতুল্য অ্যানালগ ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপান্তর করে। এ সিগন্যালের মান সর্বদাই পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ যে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল এর মান সময়ের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বৃদ্ধি পায় তাকে অ্যানালগ সিগন্যাল বলে। নিম্নে অ্যানালগ সিগন্যাল এর চিত্র দেখানো হলো,
চিত্র: অ্যানালগ সিগন্যাল |
ডিজিটাল সিগন্যাল (Digital Signal):
ডিজিটাল মোডে কাজ করার সুবিধা বর্ননা:
ডিজিটাল মুডে কাজ করার সুবিধা: অ্যানালগ সিগন্যালের চেয়ে ডিজিটাল সিগন্যালের অনেক সুবিধা রয়েছে। নিচে ডিজিটাল মোডে কাজ করার বিবেচ্য বিষয় আলোচনা করা হলো-
*ইলেকট্রিক্যাল নয়েজ: বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ, ইলেকট্রিক মোটর, বজ্রপাত প্রভৃতির কারণে ইলেকট্রনিক সার্কিটে সৃষ্ট নয়েস দ্বারা অ্যানালগ সিগন্যাল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পক্ষান্তরে ডিজিটাল সিগন্যাল অবাঞ্ছিত বৈদ্যুতিক নয়েজ দ্বারা আক্রান্ত কম হয়।
*খরচ: অ্যানালগ সার্কিটে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ যেমন- অ্যামপ্লিফায়ার ফিল্টার ইত্যাদি বেশ ব্যয়বহুল; ডিজিটাল সার্কিটের প্রকৃতি সরল এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপকহারে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট আকারে তৈরি হয় বিধায় দামও কম।
*প্রদর্শন: অ্যানালগ পদ্ধতিতে সিগন্যালের পরিমাপ স্কেলে দেখানো হয় বলে 5 ভোল্টকে 4.95 অথবা 5.05 পড়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল সংখ্যা দেখানো হয় বলে। এ ধরণের ভোলের সম্ভাবনা থাকেনা।
*তথ্য সংরক্ষণ: ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাটা সংরক্ষণ, অ্যানালগ পদ্ধতির চেয়ে সহজ ও তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল।