পাইলস কি কেন হয় ? পাইলস কি ভালো হয় /পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ।

পাইলস কি ?

Piles

অর্শ্বরোগ (ইংরেজি: Haemorrhoids, মার্কিন ইংরেজিতে Hemorrhoids, হেমোরয়েডস) ইউকে: /ˈhɛmərɔɪdz/, হল পায়ূ পথে বিদ্যমান অঙ্গ রক্তনালী যা মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফোলা বা প্রদাহ থেকে এগুলো রোগ সংক্রান্ত বিষয় বা পাইলস-এ পরিণত হয়। শারীরবৃত্তীয় পর্যায়ে এগুলো ধমনী-শিরা পথ এবং যোজক কলা দ্বারা গঠিত কুশনের ন্যায় কাজ করে।

 আমরা অনেকেই পাইলস, অ্যানাল ফিসার, ফিস্টুলাসকে ৩ ধরনের রেকটাল ডিজিজ এবং ১ ধরনের রোগ (পাইলস) বলে মনে করি। যাইহোক, আসলে মলদ্বারের রোগের 3 টি ভিন্ন প্রকার রয়েছে।

চলুন আমরা আজ এই মলদ্বার এর ৩ টা রোগের লক্ষন অনুযায়ী রোগগুলো সম্পর্কে জানবো ও চিনবোঃ

১. পাইলসঃ

 মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ে, পায়খানার সময় প্রেসার দিলে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে, ব্যাথা / জ্বালা যন্ত্রনা করে না। ১ম ডিগ্রি ও ২য় ডিগ্রি পাইলস এর ক্ষেত্রে  মলদ্বারের ভিতর থেকে কিছু বের হয়ে আসে না,

 কিন্তু ৩য় ডিগ্রি ও ৪র্থ ডিগ্রি পাইলস ছোট ছোট আংগুর ফল/ছোট বল এর মত পায়খানার রাস্তা দিয়ে বের হয়ে আসে, রক্ত পড়ে, মাঝে মাঝে তাজা রক্তে পুরো টয়লেটের প্যান লাল হয়ে যায়। 

২. এনালফিসারঃ 

এটি মূলত মলদ্বার ফাটা, এটি হলে মলত্যাগের সময় টপটপ করে রক্ত পড়ে, ফোটায় ফোটায় রক্ত পড়ে, কখনো কখনো পায়খানার সাথে রক্ত লেগে লেগে যেতে পারে। 

মলদ্বারের কিছু অতিরিক্ত মাংসে পিণ্ড থাকতে পারে, যা পানি ব্যবহার করার সময় হাতে লেগে থাকে। মলের পরের অংশে জ্বালাপোড়া হয়, ব্যাথা হয়, কিছুক্ষণ পর ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়, মলদ্বার দিয়ে শ্লেষ্মা/আঠালো পানীয় আসতে পারে। 


পায়খানা শক্ত হলেই সমস্যাটি বৃদ্ধি পায়। প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের এই সমস্যা আছে।

  

৩. ফিস্টুলাঃ 

 মলদ্বার এর পাশে . একটু দূরে ছোট ফোড়ার মত হয়, পুজ পড়ে, ব্যাথা করে, কাপড় নস্ট হয়, ওষুধ খেলে হয়তো বাহিরের মুখটি শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়, কিন্তু ভেতরের মুখ শুকিয়ে যায় না, কিছু দিন  কিছু মাস পর আবার হয়।


অনেকে অপারেশন করিয়ে ভাল হন না, তার কারন হল ভিতরের মুখটি থেকেই যায়, যার ফলে আবার হয়, আবার হয়। এটি অনেকে গাছের শিকড়ের সাথে তুলনা করে, এটি একদম গোড়া থেকে চিকিৎসা করতে হয়।

পাইলস এর চিকিৎসা ?

পাইলস চিকিৎসার জন্য বহু ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ইনজেকশন, রিংলাইগেশন, ইলেকট্রোকোয়াগুলেশন, আল্ট্রয়েড, ক্রায়োথেরাপি, ইনফ্রারেড ফটোকোয়াগুলেশন, এনাল ডাইলেটেশন, লেজার থেরাপি, প্রচলিত অপারেশন এবং লংগো অপারেশন।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা ?

অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) পাইলস রোগের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে দিনে দু'বার খান। 

এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।

 অ্যালোভেরা: বাহ্যিক (এক্সটারনাল) এই রোগের জন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।

পাইলস এর লক্ষণ ?

পাইলসের যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হচ্ছে- পায়ুপথের অন্ত্র বা ভেতরের অর্শরোগে সাধারণত তেমন কোনো ব্যথা বেদনা, অস্বস্তি থাকে না, অন্যদিকে পায়ুপথের বহিঃঅর্শরোগে পায়ুপথ চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সাথে টক টকে লাল রক্ত দেখা যায় কিংবা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগা, পায়ুর চারপাশে এক বা একের অধিক ।

 বিঃদ্রঃ আশা করি উপরের পাইলস্, এনালফিসার, ফিস্টুলা ৩ টা রোগ আমরা আলাদা আলাদা ভাবে সনাক্ত করতে পারবো। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না করাতে পারলে এই থেকে Ca Rectal নামক পায়ুপথ ক্যান্সার এর মতো জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। 

সুতরাং রোগ গুলোর মধ্যে কোনো একটা রোগ আপনের মাঝে লক্ষ করতে পারলে বেশি টেনশন না করে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ একজন বিশেষজ্ঞ জেনারেল সার্জন বা কোলোরেক্টাল সার্জন একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।

আশা করি আমাদের প্রত্যেকটি পোষ্ট আপনাদের ভালোলাগবে এবং উপকারে আসবে ।

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোনো সমস্যা হয় ?

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না ?

দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।

পিরিয়ড চলাকালিন মেয়েরা যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন ।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্ষতি কী । এবং জেনে নিন ঘুম না হলে কী করবেন ?