অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প স্যার এবং ছাত্রীর

 অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প স্যার এবং ছাত্রীর 

love story 


কলেজের এক স্যার সে একটা ছাত্রীকে অনেক ভালোবাসতো কিন্তু কোনো দিন বলার সাহস হয় নাই। হঠাৎ একদিন মেয়েটা অসুস্থ হয়ে যায় আর তার চির বিদায়ের ঘন্টা বেজে যায়। আর স্যারকে শুন্য করে চলে যায় দূর আকাশে। 
স্যার এই সংবাদটা শোনা মাত্র দৌড়ে চলে যায়। সেই হসপিটালে গিয়ে দেখে তার প্রিয় মানুষের লাশটি তাকিয়ে আছে করুন দৃষ্টিতে। এখনো চোখের পাতা বন্ধ করে নাই স্যার সেখানে গিয়ে। তার পাসে  বসে দুই চোখের পানি ছেড়ে মাথায় হাত  দিলো। আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে লাশটির পাসেই লুটিয়ে পড়ে৷ 

আর স্যারের চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে আর কেমন জানি করতে থাকে এইটা দেখে সেখানকার লোকজন  সাথে সাথে  ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করে। কিছুক্ষন পরে ডাক্তার  স্যারকে বাচাতে ব্যর্থ হয়। এই দৃশ্য দেখে অনেক অবাক হলো। কারন এই মেয়েটার স্যারের সাথে কি সম্পর্ক যে এমন হলো। তখন  দেখলো মেয়েটার হাতে একটা কাগজ। মেয়েটার হাত থেকে কাগজটা নিয়ে দেখতে পেলো কাজটায় লেখা । 

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। কিন্তু আমি ভালো নাই কারন আমি এখনও আমার ভালোবাসার কথা আমার স্যারকে বলতে পারি নাই। তার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে নাহ। কষ্ট হচ্ছে এইটা ভেবে যে তাকে ছেড়ে আমি অনেক দুরে চলে যাচ্ছি। তাই এখন আর স্যারকে জ্বালানোর মতো কেউ থাকবে না, স্যারকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে গেলাম। 
কিন্তু স্যার এই স্বাধীনতা এমন ভাবে যাতে আর কারো জীবনে না হয়। কেউ যেনো তার প্রিয় মানুষটিকে ছাড়া এই পৃথিবী থেকে আমার মতো না যায়। আর হ্যা স্যার আমি যেনো মরার পড়ে আপনার হাতে স্পর্শ পাই। বেচে থাকতে তো ভালোবাসার স্পর্শ পেলাম না। এতটুকু লেখা পড়ে মেয়েটার মা নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না কারন যা লিখে গেছে। 

মেয়ে সব তার স্যার এর বেপারে লিখে গেছে তার মা বাবার বেপারে কিছু লিখে নাই। তারপরে লেখা আমার একটা আবদার আছে স্যার আপনি যদি আমাকে এক বিন্দু পরিমান ভালোবাসেন তাহলে আমার লাশকে আপনি একটু কুলে তুলে নিবেন। আর আলতো করে আমাকে একটু ঘুরাবেন আর আমার কপালে একটু চুমু খেয়ে নিবেন। আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো স্যার আমার শেষ নিশ্বাস টা আপনার বুকে ত্যাগ করবো কিন্তু তা আর হলো নাহ।

 আমি অনেক চেষ্টা করে ছিলাম বলতে আপনাকে আমি শেষ বারের মতো দেখতে। আর আপনার একটু স্পর্শ পেতে।  কিন্তু দেখেন স্যার আমার কথা বলার শক্তি আল্লাহ নিয়ে নিয়েছিলো তাই বলতে পারি নাই তবে এই কাগজটায় কিছু লিখে গেলাম।
আমার একটা ডাইরি আছে সেটা আপনি একটু পড়বেন আশা করি। সেই ডাইরিটা আছে আমার খাটের বাম বালিশের নিচে। কারন শুনেছি ভালোবাসা নাকি বাম দিকে হয় তাই এই ডাইরি টা আমি সব সময় বাম দিকে রেখেছি। 
ইতি আপনার একান্ত ভালোবাসার মানুষ সাইমা। 
এইটা পড়ে মেয়েটার মা অনেক জোরে চিৎকার করতে করতে গেলো স্যারের কাছে দেখলো স্যার অভিমান করে চোখ দুটো বন্ধ করে ঘুমিয়ে আছে।
স্যারকে অনেক  ডাকলো কিন্তু স্যার তার কথায় কোনো সারা দিলো নাহ। চুপটি করে সুয়ে আছে। তখন মহিলাটি স্যারের কর্লার ধরে বললো উঠেন স্যার উঠেন আপনার প্রিয় মানুষ আপনার জন্য অপেক্ষায় আছে তাকে একটু স্পর্শ ভালোবাসা নেওয়ার জন্য উঠেন স্যার স্যার উঠেন। বলতে বলতে জ্ঞান হারালো। আর এভাবেই হারিয়ে গেলো স্যার আর ছাএীর ভালোবাসা।
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।