কিডনি |
কিডনি কি ?
কিডনি হলো মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গ । আমরা জানি মানুষের শবীরে মোট ২টি কিডনি রয়েছে ।
কিডনির কাজ কী ?
কিডনির কাজ হলো মানুষের শরীরের রক্তকে শোধন করা এবং শরীরকে সুস্থ রাখা। এছাড়া কিডনি আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে ।
এই কিডনি দুটি আমাদের শরীরের তলপেটের বিপরীত দিকে থাকে। তবে এই কিডনি ২টি দেখতে আকারে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি দৈর্ঘের এবং দেখতে মুষ্টি আকৃতির হয়ে থাকে।
আবার কিডনিরও ক্ষুদ্রতম অংশ রয়েছে,যাকে বলা হয় শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ নির্গত করা,জল ও খনিজ লবণের ভারসাম্য রক্ষা করা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা ।
কিডনির রোগ ।
অমরা তো এটা জানি যে মানুষের শরীরে মোট ২টি কিডনি থাকে । কিন্তু অমরা সবাই হয়তো জানিনা যে মানুষের শরীরে যে কিডনি দুটি রয়েছে তাতে অসংখ্য ছাঁকনি রয়েছে। আর এই ছাঁকনি গুলির দ্বারা রক্ত পরিশোধিত হয়ে থাকে ।
এছাড়া কিডনি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্তণ করে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। তবে অনেক সময় কোনো কোনো মানুষ একটি কিডনির উপর নির্ভর করে মানুষ বেঁচে থাকে ।
এবং মনে করেন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একটি কিডনিই যথেষ্ঠ।
কিন্তু তা ঠিক নয় । চিকিৎসকরা বলে থাকেন, দুটো কিডনির জায়গায় যখন একটা কিডনির উপর নির্ভর করে মানুষের শরীরকে চালনা করে তখন ওই একটা কিডনির উপর খুব চাপ সৃষ্টি হয় । ফলে ওই কিডনির পরমায়ূ আনেকটা কম হয় এবং সেই সঙ্গে মানুষের জীবনের পরমায়ূও অনেকটা কমে যায় ।
এছাড়া মানুষের শরীরে অনেক রোগ থাকে। যেমনঃ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং নেফ্রাইটিস ইত্যাদি। কিড়নির নির্দিষ্ট কোন রোগ নয়। তবুও শরীরের এই রোগ গুলি আকান্ত করে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে মারাত্মক জটিল রোগের সৃষ্ট করে।
এজন্য বলা হয়ে থাকে এসমস্ত রোগের ক্ষেত্ত্রে প্রাথমিক অবস্তা থেকেই চিকিৎসার সতর্ক হওয়া উচিত ।
ডায়াবেটিস-এর দিক থেকে বলা যায়, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ডায়াবেটিস- এ আকান্ত রোগী কিডনির সমস্যায় আকান্ত হয়ে পড়ে। আবার প্রায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর কিডনি অকেজো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে শরীর উচ্চ রক্তচাপের কারনে ।
আরও একটা দিক জেনে রাখা ভালো , যেকোনো মানুষের বয়স যখন ৪০ বছরের থেকে বেশী হবে তখন আপনার শরীরে যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ-রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে , তবে অবশ্যই আপনার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া দরকার কিডনির কোনো রকম সমস্যা হয়েছে কিনা। কারণ কিডনির রোগ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়, তবে এই রোগ বংশগত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
আশাকরি যতটুকু আলোচনা করেছি বুঝতে পারছেন ।