কম্পিউটার পরিচিতি

 

কম্পিউটার

আমরা সবাই কম্পিউটার এর নাম তো শুনেছি এবং দেখেছি । কিন্তু আমরা অনেকেই  কম্পিউটার  সম্পর্কে অনেক কিছু জানি না ,যেগুলো জানা আমাদের খুবই প্রয়োজন । কারণ আজকাল আমাদের জীবনের একটা গুরুত্ব অধ্যায় হলো কম্পিউটার । আর গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় গুরুত্বভাবে নেওয়াটাই ভালো । তাই আমাাদের  কম্পিউটার সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারনা থাকা প্রয়োজন । 

আজকে কয়েকটি  ধাপে কম্পিউটার সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো ।

কম্পিউটার কি ?

আমরা সকলেই জানি , কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র । যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই অল্প সময়ে প্রচুর তথ্য সম্বলিত বড় গাণিতিক হিসাব সহ ভিবিন্ন ধরনের কঠিন কঠিন কাজ ও ভিবিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারি । বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে ।

কম্পিউটার এর জনক কে ?

 কম্পিউটার তৈরির সর্বপ্রথম ধারনা দেন বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ  । ১৮৩৩ সালে সর্ব প্রথমে (Analytical Engine) এ্যানালটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরীর পরিকল্পনা করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করেন । 

পরবর্তীকালে তার তৈরীকিত নকশা ও কম্পিউটারের  উপর ভিত্তি করেই আাজকের আধুনিক কম্পিউটার তৈরী করা হয় । তার এই পরিকল্পনার কারনে তাকে আজ কম্পিউটারের জনক বলা হয় । 

আধুনিক কম্পিউটারের জনক ?

মূলত আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় চার্লস ব্যাবেজ তবে  জন ভন নিউম্যানকে ও আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় । তিনি  ছিলেন একজন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ । নিউম্যান কোয়ানন্টাম বলবিদ্যায় অপারেটর তত্ত্ব ব্যাবহারের অগ্রদূত । 

তিনি সেটতত্ত্ব,জ্যামিতি,প্রবাহী গতিবিদ্যা,অর্থনীতি,যোগাশ্রয়ী প্রোগ্রামিং,কম্পিউটার বিজ্ঞান,পরিসংখ্যান সহ আরো অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন ।

কম্পিউটারের ব্যাবহার ।

কোন এক সময় কম্পিউটারের ব্যাবহার শুধু বিশেষ বিশেষ কারণ গুলোতে হতো । কারণ তখন কম্পিউটার ছিলো অনেক ব্যায়বহল একটা যন্ত্র তাছাড়া এর কাজ সম্পর্কে সবার ধারনা ছিলো না বা সবাই এটি ব্যাবহার করতে পারতেন না । 

কিন্তু আজকাল কম্পিউটার আমাদের জীবনের দৈনন্দিন কাজের একটা অধ্যায় হিসেবে নেওয়া হয় । আজকাল  মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায় । তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যাবহার বেড়েই চলেছে । 

কম্পিউটার দিয়ে আমরা আমাদের জীবনের প্রায় সব কাজ গুলোই করতে পারি । 


যেমন

চিকিৎসা ক্ষেত্রে
গবেষণায়
যোগাযোগ ব্যবস্থায়
ব্যাংকিং জগতে
সংস্কৃতি ও বিনোদনে
অফিস ব্যাবস্থাপনা
শিক্ষা ক্ষেত্রে
শিল্প ক্ষেত্রে
সামরিক ক্ষেত্রে
ডিজাইনে
প্রোগামিং
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে
অর্থবাজারে
আদালত
বিনোদন
ইত্যাদি

আধুনিক কম্পিউটারের গঠন ।

আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় ১৯৫০ সালে । 

  আধুনিক কম্পিউটার মূলত ৫টি অংশ নিয়ে গঠিত ঃ

১। মেমোরি

২। নিয়ন্ত্রণ অংশ

৩।গাণিতিক যুক্তিক অংশ

৪। ইনপুট অংশ

৫। আউটপুট অংশ


১। মেমোরি :


মেমোরি

 কম্পিউটারের যে অংশে তথ্য জমা থাকে/জমারাখি তাকে মেমোরি বলে। মেমোরি দুই ধরনের হয়। যথা:-

১/  প্রাইমারি মেমোরি।

২/ সেকেন্ডারি মেমোরি। 

আমরা কম্পিউটারে যে সকল ফাইল জমারাখি তা সব মেমোরিতে জমা রাখতে হয় 

কম্পিউটার কার্যকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় তথ্য মেমোরিতে জমা করে রাখতে পারে এবং প্রায়োজনের সময়ে এখান থেকে তথ্য নিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগসহ যাবতীয় কাজ করতে পারে। মেমোরির সাথে কম্পিউটারের অন্যান্য অংশের সরাসরি সংযোগ থাকে। যেকোন তথ্য দিয়ে কম্পিউটারে কাজ করতে হলে প্রথমে সেই তথ্য মেমোরিতে জমা রাখতে হয়। 

২। নিয়ন্ত্রণ অংশ: 

এ অংশ মূলত কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ করে এ অংশ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের সাথে কন্ট্রোল বাসের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করে সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে । এ অংশটিও মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরে থাকে । মেমোরিতে কখন তথ্যের প্রয়োজন হবে, ক্যাশ মেমোরি থেকে মেমোরিতে নিতে হবে কিনা নিয়ন্ত্রণ অংশ এসব বিষয় ঠিক করে। মেমোরিতে ইনপুট গ্রহণ করার কাজ আর প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্য আউটপুটের মাধ্যমে বের করে দেয়ার কাজও নিয়ন্ত্রণ অংশ করে থাকে। প্রোগ্রামের নির্দেশনা অন্যান্য অংশে নির্দেশ প্রেরণ করাও এ অংশের কাজ। এছাড়া নিয়ন্ত্রক অংশ কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্যান্য হার্ডওয়্যার পেরিফেরালগুলো কার্যক্ষম রাখে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।

৩। গাণিতিক যুক্তি :

এ অংশের কাজ হলো ঃ প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাণিতিক সমস্যা সমাধান, যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ সংঘঠিত হয়। এ অংশ ডাটার উপর যাবতীয় গণনার কাজ; যেমন:- যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ইত্যাদি সম্পাদন করে এবং পাশাপাশি যুক্তি সম্পর্কিত যেমন (হ্যা)  এবং (না) সম্পর্কিত কাজগুলোও সম্পাদন করে। কার্য সম্পাদন শেষে ফলাফলসমূহ প্রধান স্মৃতিতে জমা হয় এবং আউটপুট ইউনিটে প্রেরণ করে এ অংশটি মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরে থাকে।

৪। ইনপুট :

এ অংশের কাজ হলোঃ  যেসকল ডিভাইসের বা যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটারে কোন নির্দেশ প্রদান করা কিংবা কোন ডেটা বা তথ্য অথবা মিডিয়া ইনপুট বা প্রবেশ করানো হয় তাকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- কি-বোর্ড , মাউস, স্ক্যানার, ডিক্স, কার্ড রিডার, মাইক্রোফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি। 

৫। আউটপুট

এ অংশের কাজ হলোঃ যে সকল ডিভাইস বা যন্ত্রের মাধ্যমে কম্পিউটার কোন তথ্য বা ডেটা অথবা মিডিয়া যে ইউনিটের মাধ্যমে দিয়ে থাকে বা পাওয়া যায় তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন:- মনিটর, স্পিকার, প্রিন্টার, হেডফোন, প্রজেক্টর, ডিক্স, পেনড্রাইভ ইত্যাদি।


কন্টেন ভিত্তিক কিছু নৈবেতিক ।


১। কম্পিউটার কি ?

উত্তরঃ ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র

২। কম্পিউটার এর জনক কে ?

উত্তরঃ চার্লস ব্যাবেজ

৩। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে কত সালে ?

উত্তরঃ ১৯৬৪ সালে 

৪। সর্বপ্রথম কম্পিউটার তৈরির  ধারনা দেন কোন বিজ্ঞানী ?

উত্তরঃ চার্লস ব্যাবেজ

৫। আধুনিক কম্পিউটারের জন কে ?

উত্তরঃ চার্লস ব্যাবেজ 

৬। আধুনিক কম্পিউটার প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় কত সাল থেকে ?

উত্তরঃ ১৯৫০ সাল 

৭। আধুনিক কম্পিউটার মূলত কয়টি অংশ নিয়ে গঠিত ?

উত্তরঃ ৫টি 

কম্পিউটার  নিয়ে লেখতে গেলে শেষ করা যাবে না হয়তো। কারণ আজকাল এই বিষয়টি দিন দিন আপডেট হচ্ছে ,আজ একটা লেখবো কাল আর একটা আসবে আশা করি যত টুকু লেখেছি বুঝতে পারছেন বাকিটা লেখবো পরের কন্টেনে  । আর আমার  প্রত্যেকটা কন্টেনের শেষে কিছু কন্টেন সম্পর্কিত  নৈবেতিক  দেওয়া থাকে আশা করি সেগুলো আরো ভালোভাবে পড়বেন । 


মোবাইল ফোন সম্পর্কে যানতে cleck hare

যুক্ত বর্ণ গুলো দেখুন